লাঙ্গলে দিকে ঝুঁকছে বিএনপি সমর্থকরা
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট স্থানীয়রা দাবি করেছেন গত ১০টি বছর নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা কিংবা রাজনৈতিক সহিংসুতা ছিলো না। দুই টার্মে রাজনৈতিক সহাবস্থান ছিলো সোনারগাঁয়ের রাজনীতিতে। কিন্তু এর আগে ২০০৮ সাল থেকে ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগ পর্যন্ত শুধুমাত্র আওয়ামীলীগের মাঝেই ঘটেছিলো একাধিক রাজনৈতিক সংঘাত ও টেন্ডারবাজি নিয়ে হানাহানি মারামারি সহ মামলা মোকদ্দমার মত ঘটনা। যে কারনে স্থানীয় বিএনপি কর্মীসমর্থক ও অনুগামীরা মনে করেন এই আসনে জাতীয় পার্টির বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকাই সকলের জন্য নিরাপদ। যে কারনে বিএনপির কর্মীসমর্থক ও বিএনপির অনুগামী ভোটাররা প্রকাশ্যে লাঙ্গলের পক্ষে মাঠে নেমেছেন। জানাগেছে, সোনারগাঁ আসনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে লড়াইয়ে নেমেছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। এখানে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে লড়ছেন এ আসনের দুইবারের রানিং এমপি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। মুলত অন্যান্য বেশকটি দলের প্রার্থী থাকলেও মুল লড়াইটা মুলত নৌকা ও লাঙ্গলের মাঝেই হচ্ছে। নৌকার লোকজন চাচ্ছেন সাধারণ ভোটারদের ভয়ভীতি হুমকি ধমকি দিয়ে নিজেদের দলে ভীড়াতে। কিন্তু সাধারণ মানুষ উল্টো নৌকার বিরুদ্ধে চলে যাচ্ছে নৌকার লোকজনকে ভয় পেয়ে। যেখানে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মী ও এমপি খোকা ভোটারদের ঘরে ঘরে যাচ্ছেন নরম স্বরে আকুতি মিনতি করে ভোট প্রার্থনায়। এভাবে জাতীয় পার্টি চাঙ্গা হয়ে ওঠেছে। চাপে পড়ে যাচ্ছে নৌকার সমর্থন। এর মুল কারন হিসেবে স্থানীয়রা জানান, তারা মনে করেছিলেন নৌকা পেলেই কায়সার হাসনাত সহজেই এমপি হয়ে যাবেন। কিন্তু সেই সুযোগ এখানে দেয়া হয়নি। এখানে সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের মাধ্যমে ভোটে জয়ী হতে হবে। যার ফলে নৌকার নেতাকর্মী সমর্থকেরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। এখন স্থানীয় লোকজনকে ভয়ভীতি হুমকি ধমকি দেখিয়ে নৌকার পক্ষে নেয়ার জন্য চেষ্টা করছেন, যে কারনে উল্টো নৌকার ভোট কমে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ আতংকগ্রস্থ হয়ে নৌকার প্রার্থী ও নৌকার লোকজনকে ভয় পাচ্ছেন। তারা জাতীয় পার্টির লাঙ্গলকেই নিরাপদ মনে করছেন। একই ধারণা এখানকার বিএনপির নেতাকর্মী সমর্থক ও বিএনপির অনুগামী ভোটারদের। তারাও মনে করছেন এখানে নৌকার এমপি থাকার চেয়ে জাতীয় পার্টির লাঙ্গলের এমপি থাকলে তাদের জন্য নিরাপদ। এ ছাড়াও হুমকি ধমকির কারনে নৌকার প্রার্থী ও তার লোকজনের প্রতি মানুষ ভীত হয়ে ওঠেছে। যে কারনে সাধারণ মানুষের ভোটগুলো ঝুকছে লাঙ্গলের দিকে। এখানে বিএনপির বিপুল পরিমান ভোটও পাবেন এমপি খোকা। নৌকার প্রার্থী কায়সার হাসনাতকে নিরাপদ মনে করেনা এখানকার বিএনপির নেতাকর্মী সমর্থকেরা। কিন্তু এমপি খোকা সকলের জন্য নিরাপদ, সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই বিএনপির লোকজনও নেমেছে লাঙ্গলের পক্ষে। উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নুরুজ্জামান খান প্রকাশ্যে এমপি খোকাকে বিজয়ী করার ঘোষণা দিয়ে নেতাকর্মীদের শপথ পড়িয়েছেন। এ ছাড়াও যারা নির্বাচনে আসেনি এমন অন্যান্য ইসলামী দলগুলোর ভোটও পাবেন খোকা।