আজ সোমবার | ১১ আগস্ট ২০২৫ | ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৬ সফর ১৪৪৭ | রাত ১১:৪৪

সোনারগাঁয়ে বেকায়দায় নৌকা!

ডান্ডিবার্তা | ০৪ জানুয়ারি, ২০২৪ | ৭:৫৮ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট সোনারগাঁ আসনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে মনোনিত প্রার্থী একা হয়ে পড়েছেন। এ আসন থেকে যেসব নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশি ছিলেন তাদেরকে দেখা গেলো না নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের পাশে জোরালোভাবে। দু’একজনকে নামেমাত্র উঠান বৈঠক কিংবা পথসভায় ঝাঁঝালো বক্তৃতা দিয়েও তাদের নৌকা পক্ষে থাকার অবস্থান দেখিয়েছেন। কিন্তু নৌকা পক্ষে ভোট প্রার্থনায় যা যা করণীয় তার কানাকড়িও করেননি তারা। বাকি মনোনয়ন প্রত্যাশিদের তো হদিশ পাওয়া গেলো না নৌকার পক্ষে প্রচারণায়। নৌকা প্রতীক প্রত্যাশি বঞ্চিতরা যেনো একজোট হয়েছে নৌকা ডুবানোর মিশনে। এমন সুযোগে ভোটের মাঠ চষে বেড়িয়েছে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকার নেতাকর্মী সমর্থকরা। যে কারনে স্থানীয়রা বলছেন- নৌকার মাঝি একা হয়ে পড়েছেন, যেখানে ভোটের মাঠে চাষ করে বেড়াচ্ছেন লাঙ্গল। স্থানীয়রা জানান, সোনারগাঁ আসন থেকে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশি ছিলেন আওয়ামীলীগের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবু জাফর চৌধুরী বিরু, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক এএইচএম মাসুদ দুলাল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুঁইয়া, তার ছেলে উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মারুফুল ইসলাম ঝলক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য এরফান হোসেন দ্বীপ, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা দীপক কুমার বনিক ও কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ ওমর। এদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনযনপত্র সংগ্রহ করেছিলেন এএইচএম মাসুদ দুলাল, মারুফুল ইসলাম ঝলক, এরফান হোসেন দ্বীপ ও কায়সার হাসনাতের সহধর্মিনী রুবিয়া সুলতানা। কায়সার হাসনাত নৌকা প্রতীকে মনোনিত হওয়ার পর ঝলক, দ্বীপ ও রুবিয়া সুলতানা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলেও প্রত্যাহারের তারিখের একদিন পর সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান দুলাল। রুবিয়া সুলতানা নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থনায় থাকলেও বাকিদের হদিশ পাওয়া যায়নি নির্বাচনে। একই দশা উপরোক্ত নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশিদের ক্ষেত্রে। শুধুমাত্র কালাম ও বিরুকে দু,একটি উঠান বৈঠক ও পথসভায় নামেমাত্র বক্তৃতা দিতে দেখা দেলেও বাকিদের দেখা যায়নি নৌকার মাঝির পক্ষে। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সামসুল ইসলাম ভুঁইয়ার ভুমিকা আরো বেশি রহস্যজনক। কাঁচপুর ইউনিয় পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ ওমর ও তার ছোট ভাই উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বাবুল ওমর বাবুর ভুমিকাও নাই নৌকার পক্ষে। অনেকে বলছেন- স্বামী কায়সার হাসনাত ও সহধর্মিনী রুবিয়া সুলতানাই নৌকার পক্ষে পুরোদমে কাজ করেছেন। এ ছাড়া মাঝারি কিংবা আনাড়ি ধাচের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন এলাকার পাড়া মহল্লায় গিয়ে স্থানীয় লোকজনদের হুমকি ধমকি ভয় ভীতি দেখিয়ে নৌকার পক্ষে নিতে গিয়ে উল্টো হিতে বিপরীত হয়েছে নৌকার জন্য। স্থানীয়দের মতামত-কায়সার হাসনাতের লোকজন ভেবেছিলো নৌকা পেলেই জয়। কিন্তু নির্বাচনে ভোটের মুখোমুখী হতে হবে এমনটা তারা ধারণাও করেনি। যে কারনে নৌকা প্রতীক পাওয়ার সাথেই সাথেই তারা বিজয় উল্লাস করে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মী সমর্থকদের হুমকি ধমকি ভয় ভীতি দেখানো শুরু করে দেয়। এ ছাড়া নৌকার প্রার্থীর চারপাশে বিতর্কিত লোকজনদের আনাগোনার কারনে সোনারগাঁয়ের মানুষ আরো ভীত হয়ে ওঠেছে। প্রকাশ্যে নৌকার লোকজনের সঙ্গে মিশলেও তারা গোপনে কাজ করছেন লাঙ্গলের পক্ষে। আবার লাঙ্গলের লোকজন অনেকটা নীরিহ অবস্থায় ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট ভিক্ষা চাচ্ছেন। যার ফলে এখানে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ভোট হলে নৌকার কোনো জয়ের সম্ভাবনাই দেখছেনা সাধারণ মানুষ।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা