প্রধানমন্ত্রী কাউকে পরিচয় করাননি
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলায় নির্বাচনী সমাবেশে বক্তব্য রেখেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমাবেশগুলোতে তিনি উপস্থিত ভোটারদের মাঝে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিয়ে তাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার জন্য ভোটারদের আহবান জনিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলার প্রার্থী ও ভোটাররাও অপেক্ষায় ছিলেন নৌকার মনোনীত প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিবেন দলটির সভাপতি। কিন্তু নারায়ণগঞ্জে তা ঘটেনি। নারায়ণগঞ্জের ১ জাতীয় পার্টির প্রার্থীসহ মঞ্চে ৫ জন প্রার্থী থাকলেও কোন প্রার্থীকেই জনসমাবেশে পরিচয় করিয়ে দেননি শেখ হাসিনা। গতকাল বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জে ছিল আওয়ামী লীগের শেষ নির্বাচনী সমাবেশ। ইসদাইরের শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের আয়োজনে নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই’র সভাপতিত্বে জনসমাবেশে উপস্থিত ছিলেন রূপগঞ্জ আসনের নৌকার প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী, আড়াইহাজার আসনের নৌকার প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবু, সোনারগাঁ আসনের নৌকার প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সার, ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের নৌকার প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান, সদর-বন্দর আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী একেএম সেলিম ওসমান। বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের বিভিন্ন ফিরিস্তি তুলে ধরেন। তিনি নারায়ণগঞ্জকে স্মার্ট সিটি করার ঘোষণা দেন। তিনি সারাদেশে আওয়ামী লীগের উন্নয়ন তুলে ধরে আবারও নৌকায় ভোট দেয়ার আহবান জানান। বক্তব্যের পুরো সময় নৌকার ৪ প্রার্থী প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে থাকলেও কোন প্রার্থীকেই পরিচয় করিয়ে না দিয়ে সমাবেশস্থল ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নারায়ণগঞ্জের ইসদাইরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শেষ জনসভায় যোগ দিতে শহর ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে দলে দলে সমাবেশস্থলে এসেছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে কুয়াশা উপেক্ষা করে সকাল থেকে খÐ খÐ মিছিল নিয়ে হাজির হওয়া মানুষে দুপুরে মধ্যেই প্রায় পূর্ণ হয়ে যায় শহরের ইসদাইরে একেএম শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠ। জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও থানা এলাকা থেকে আসা বাস, ট্রাক ও পিকআপ ভর্তি কর্মী-সমর্থকও জড়ো হন সমাবেশস্থলে। জনসভা অভিমুখে মিছিলগুলোতে নেতা-কর্মীদের হাতে জাতীয় পতাকা, দলীয় প্রতীক নৌকা সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন হাতে আওয়ামী লীগ ও দলীয় সভানেত্রীর পক্ষে ¯েøাগান দিতে দেখা যায়। সমাবেশে জেলার ৫ টি আসনের প্রার্থীরা নিজেদের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে আনন্দ উচ্ছ¡াস হাজির হলেও ফিরে যাওয়ার সময় তাদের মধ্যে সেই উচ্ছ¡াস দেখা যায়নি। এই বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই বলেন, ‘আমরাও ভেবেছিলাম প্রার্থীদের নেত্রী পরিচয় করিয়ে দেবেন। কিন্তু তিনি এইটা এখানে করেননি। কেন করেননি তা বলতে পারবো না।’