আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | বিকাল ৩:৩৬

আবারো কোরবানীর হলেন তৈমুর

ডান্ডিবার্তা | ০৮ জানুয়ারি, ২০২৪ | ৬:০৯ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট আওয়ামীলীগের পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর সঙ্গে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হেরে গিয়ে আবারও কোরবানীর হলেন সাবেক বিএনপি নেতা এবং তৃনমূল বিএনপির মহাসচিব এড.তৈমুর আলম খন্দকার। সোনালী আঁশ প্রতীক নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেন তিনি। নির্বাচনের কিছু দিন আগে প্রয়াত সাবেক মন্ত্রী নাজমুল হুদার প্রতিষ্ঠিত দল তৃনমূল বিএনপিতে যোগদান করেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের সাবেক উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার। দলটির দ্বিতীয় শীর্ষ পদে আসীন হোন তিনি। আওয়ামীলীগের সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে আলোচনা করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেন এই নেতা। নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়ের ব্যাপারে অনেক আশাবাদী ছিলেন। কিন্তু এবারও জয়ের দেখা পেলেন না নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে মজলুম নেতা হিসেবে পরিচিত এড.তৈমুর। ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে আওয়ামীলীগের ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভীর সঙ্গে প্রতিদ্ব›দ্বীতায় নামেন তৎকালীন জেলা বিএনপির সভাপতি এড.তৈমুর আলম। সেবার জনমত তার পক্ষে থাকলেও দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে নির্বাচনের আগের রাতে তাঁকে নির্বাচন থেকে সরে যেতে হয়। একযুগ পর ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আওয়ামীলীগের জনপ্রিয় মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভীর কাছে পরাজিত হয়। এরপর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তৈমুর আলমকে দলের সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। প্রসঙ্গ, ১৯৯৬ সালে তৈমুর নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলেও শামীম ওসমানের কারণে তা আর হয়ে ওঠেনি। পরে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দেন। সে সময় চাষাঢ়ায় অবস্থিত শহীদ জিয়া হলের নাম পরিবর্তনের তীব্র বিরোধিতা করে আলোচনায় আসেন তৈমুর। সেই বছরই নিষ্ক্রিয় আবুল কালামকে সরিয়ে শহর বিএনপির সভাপতি পদ দেওয়া হয় তৈমুর আলম খন্দকারকে। বিএনপিতে যোগদানের পর শামীম ওসমানের সঙ্গে বিরোধ আরও জোরালো হয়। শহরের শায়েস্তা খান সড়কে তৈমুরের চেম্বার থাকলেও শামীম ওসমানের সঙ্গে বিরোধের কারণে ১৯৯৭ সালে নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে ঢাকায় আইন পেশায় যুক্ত হন। ওই সময় একটি রাজনৈতিক মামলায় হাইকোর্ট থেকে গ্রেফতার হোন। ২০০১ সালের ১৬ জুন নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলার ঘটনায় তৈমুর আলমকে প্রধান আসামি করা হয়। এরপর থেকে আলোচনায় উঠে আসেন তৈমুর। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর তৈমুর আলম খন্দকার বিআরটিসির চেয়ারম্যান হন। এর আগে তিনি ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল। ২০০৩ সালে তৈমুরকে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ২০০৭ সালে ওয়ান ইলেভেনের পর যৌথ বাহিনী তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর বিরুদ্ধে আটটি মামলা দায়ের করা হয়, যার মধ্যে একটি মামলায় ১২ বছরের জেল হয়। পরে অবশ্য ২০০৯ সালের মে মাসে তিনি মুক্তি পান। ওই বছরের জুন মাসে তৈমুরকে আহŸায়ক করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়। বছরের শেষ দিকে ২৫ নভেম্বর সম্মেলনের মাধ্যমে তৈমুর হন জেলা বিএনপির সভাপতি। একই সঙ্গে তাঁকে কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আইনবিষয়ক সম্পাদক ও জেলার ১৮ দলীয় ঐক্যজোটের আহŸায়ক করা হয়। ২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হয়েছিলেন তৈমুর। বিএনপি প্রথম দিকে তাঁকে সমর্থন দিলেও ভোটের মাত্র ৭ ঘণ্টা আগে দলীয় চেয়ারপারসনের নির্দেশে তিনি নির্বাচন থেকে সরে আসেন তিনি।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা