অন্ধকারে ডুবছে তৃনমূল বিএনপি!
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট বহু আলোচিত ও নিজেদের বাংলাদেশের মূল বিরোধীদল হতে যাচ্ছে এমন ঘোষনার মুখে চুন কালি পড়েছে। নির্বাচনে নেমে তারা বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর সাথে চুক্তি করেছেন তারাই দেশের বিরোধী দল হবে। কিন্তু তারা বিরোধীদলতো দূরের কথা সংসদের ১টি সিটও অর্জন করতে পারেনি। শুধু তাই নয় তারা সারা দেশে জামানত হারিয়েছে। অনেকের অভিমত তারা যেমন বিএনপির সাথে পল্টি মেরেছে তেমন জনগণও তাদের সাথে পল্টি দিয়েছে। এদিকে তৃনমূল বিএনপির মহাসচিব এবার নির্বাচন সুষ্ঠ হয়নি বলে আখ্যায়িত করেছেন। এদিকে ভোটের রাজনীতিতে চমক দেখানে গিয়ে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছেন দলের চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী। নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে হেরে এখন জামানতও হারাতে হয়েছে তাকে। তিনি সিলেট-৬ আসনে তৃণমূল বিএনপির এই চেয়ারপার্সন দলীয় প্রতীক সোনালী আঁশ নিয়ে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন। গত রোববার রাতে বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফলে ওই আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৭৭৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সরওয়ার হোসেনের প্রাপ্ত ভোট ৩৯ হাজার ৪৮৮টি। এদিকে শমসের মবিন চৌধুরী পেয়েছেন ১০ হাজার ৯৩৬ ভোট। নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী, জামানত রক্ষায় প্রার্থীদের মোট প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ সাড়ে ১২ শতাংশ ভোট পেতে হবে। সেই হিসাবে জামানত বাতিলের তালিকায় পড়েন শমসের মোবিন। জামানত বাঁচাতে তার প্রয়োজন ছিল অন্তত ১৪ হাজার ৫৮৭ ভোট। অথচ ভোটের মাঠে গুঞ্জন ছিল কৌশলে শমসের মবিনকে এই আসনে বিজয়ী করে নেওয়া হতে পারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভাগফল শূন্য। এমনটি শোচনীয় পরাজয়ের পাশাপাশি জামানত হারাতে হলো তাকে। অপরদিকে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকরের চরম ভরাডুবি হয়েছে। মাত্র ৩ হাজার ১৯০ ভোট পেয়েছেন তিনি। এতে তার জামানতই বাজেয়াপ্ত হয়েছে। যদিও নির্বাচনের শুরু থেকে নিজেকে শক্ত প্রার্থী হিসেবে দাবি করে আসছিলেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত এ নেতা। তিনি রূপগঞ্জ আসনে সোনালি আঁশ প্রতীকে নির্বাচন করেছেন। গত রোববার রিটার্নিং কর্মকর্তা ঘোষিত বেসরকারি ফলাফলে জানা যায়, আসনটিতে চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী। তিনি এক লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভূঁইয়া কেটলি প্রতীকে ৪৫ হাজার ৭৫ ভোট পেয়েছেন। আর তৈমুর আলম খন্দকার পেয়েছেন মাত্র তিন হাজার ১৯০ ভোট। সেই হিসাবে জয়ী প্রার্থীর সঙ্গে তৈমুরের ব্যবধান এক লাখ ৫৩ হাজার ২৯৩ ভোটের। বিধান অনুযায়ী, মোট প্রদত্ত ভোটের অন্তত সাড়ে ১২ শতাংশ ভোট না পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। সেই হিসাবে জামানত বাঁচাতে তৈমুর আলমের প্রয়োজন ছিল অন্তত ২৬ হাজার ৫৭৮ ভোটের। এদিকে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি বলে এমন হার দেখতে হয়েছে বলে দাবি তৈমুর আলম খন্দকারের। তৈমুর বলেছিলেন, নৌকার প্রার্থী টাকা বিলি করছে আমরা অভিযোগ করে আসছি। মিডিয়াতেও এসেছে এটা। একজন পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছে। গতকাল রাতে বরপা এলাকায় আমার এজেন্টদের পিটিয়ে এসেছে ছাত্রলীগ, যুবলীগের ছেলেরা। মাটি কামড়ে হলেও নির্বাচনের শেষ দেখবেন বলে জানান তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব। এদিকে রাজনৈতিক মহলের অভিমত তৈমূর আলম এনিয়ে ৩বার কোরবানী হলেন। তার অনেক খায়েস ছিল এমপি হওয়ার সেটা তার ভাগ্যে জোটেনি। তিনি যাদের বিএনপি থেকে ছিনিয়ে নিয়ে তার কিংস পার্টি তৃনমূল বিএনপিতে ঢুকিয়েছেন তাদেরও রাজনৈতিক অবিষ্যত ধ্বংস করেছেন। তার এই দল অঙ্কুরেই ঝরে গেল। তারা বিএনপির সাথে বিশ^াস ঘাতকতা করে দেশের জনগণের সাথে বিশ^াস ঘাতকতা করেছেন। এজন্য তাদের পরিনতি এমন হয়েছে। তারা অঙ্কুরে যেমন ঝড়ে গেল তেমন আগামীকে তারা একেবারেই হারিয়ে যাবে। এবং যাদের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাতারে নিয়েছে তাদেরও রাজনৈতিক ভবিষ্যত ধ্বংস করে দিয়েছে। সামান্য কয়েক দিন আলাচনায় থাকলেও তারা হারিয়ে গেল গহীন অন্দকারে।