নির্বাচনে সদরে আ’লীগ-জাপা একাট্টা
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জে জাতীয়পার্টির মান রেখেছে সেলিম ওসমান। আর তাকে বিজয়ী করতে এক কাতারে ছিল সদর-বন্দর এলাকার আওয়ামীলীগ ও জাতীয়পার্টি। সকল ভেদাভেদ ভুলে সেলিম ওসমানকে বিজয়ী করতে সকলে মাঠে নামেন। আর তারই ফসল ঘরে তুলেন সেলিম ওসমান। সেলিম ওসমানকে বিজয়ী করতে আওয়ামীলীগ এ আসনে কোন দলীয় প্রার্থী দেননি। সেলিম ওসমানের জন্য এ আসনটি ছেড়ে দেয়া হয়। দলের নির্দেশে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা সেলিম ওসমানের জন্য কোমর বেধে মাঠে নেমে যান। সেলিম ওসমানের জন্য সভা সমাবেশ ও উঠান বৈঠক করেন জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা। শুধু তাই নয় সেলিম ওসমানকে বিজয়ী করতে জাতীয়পার্টির চেয়ে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা বেশী মাঠে ছিল। নির্বাচনের দিন বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, জাতীয়পার্টির চেয়ে আওয়ামীলীগ সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা ভোটারদের ভোটদানে আকৃষ্ট করতে অভিরাম প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন। বন্দরের হাজী সিরাজউদ্দিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, মহানগর আওয়ামীলীগ নেতা হুমায়ূন কবির মৃধা তার দলবল নিয়ে ভোটারদের এনে ভোট দানের জন্য কাজ করেন। বন্দর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে জাতীয়পার্টি নেতা শাহআলম নিজে ভোটদেন ভোটারদের ডেকে এনে কেন্দ্রে ভোটদানে উৎসাহিত করেন। নাসিক ২৭নং ওয়ার্ডে ফুলহর স্কুলে যুবলীগ নেতা ওয়াহিদুজ্জামান অহিদ কেন্দ্রের সামনে নিজেদের লোকজন নিয়ে ভোটারদের এনে ভোট দিতে উৎসাহ যোগাতে দেখা যায়। সারা দিন তিনি কেন্দ্রে অবস্থান করে কাঙিখত ফলাফল নিয়ে বাসায় ফিরেন। বাগদোবাড়িয়া কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, শেখ হাসিনার দেয়া নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে সেলিম ওসমানকে বিজীয় করতে সার্বক্ষনিক মাঠে ছিলেন মদনপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম এ সালাম ও যবলীগ নেতা এসআই জুয়েল, আওয়ামীলীগ নেতা আজিজুল হক আজিজ। মুছাপুরে জাতীয়পার্টি নেতা মাকসুদ চেয়ারম্যান, তার ছেলে শুভ ও অনুসারিরা দিনভর ভোটারদের কেন্দ্রে এনে ভোটদানে উৎসাহিত করেন। তাদের দিনভরের পরিশ্রমে বিপুল ভোটে জয় পান সেলিম ওসমান। এদিকে মেয়র আইভী ভোট প্রদান করে বলেন, আমি শেখ হাসিনার নির্দেশে ভোট দিলাম। এ বিষয়ে অনেকে মনে করেন সেলিম ওসমানের বিজয় জাতীয়পার্টির চেয়ে আওয়ামীলীগের অর্জন বেশী। অপদিকে দেখা যায়, সেলিম ওসমানকে বিজয়ী করতে মাঠে কাজ করতে গিয়ে ভোটের দিন আটক হন বন্দর ইউপি চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন। পরে তাকে সন্ধ্যার পর ছেড়ে দেয়া হয়। কিন্তু তার অনুসারিরা সারা দিন মাঠে কাজ করেন। তবে সেলিম ওসমান শুধু জাতীয়পার্টি নয় আওয়ামীলী ও বিএনপির ভোটও পেয়েছেন বলে অনেকে মনে করেন। কারণ সেলিম ওসমান বন্দর সকল দলকে এক কাতারে রেখে রাজনীতি করেছেন। তাই তিনি সকলের কাছে গ্রহযোগ্য নেতা বলে মনে করেন। এদিকে আওয়ামীলীগ নেতাদের দাবি সেলিম ওসমান জাতীয়পার্টির হয়ে নির্বাচন করলেও তিনি আওয়ামী ঘরানার লোক। তাই তাকে সহজে সকলে গ্রহণ করে নেন।