ডান্ডিবার্তা | জানুয়ারি ১০, ২০২৪, ১০:৫৪ | Comments Off on সাইবোর্ডে শ্রমিকলীগ নেতার নেতৃত্বে চাঁদাবাজি
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় ওয়ার্ড শ্রমিকলীগ নেতার নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে সঙ্গবদ্ধ চাঁদাবাজ চক্র। থানা আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতার মদদে চাঁদাবাজ চক্রটি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। পরিবহন শ্রমিকরা হয়ে পড়েছে চক্রটির কাছে জিম্মি। স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চক্রটি মাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করছে বীরদর্পে। জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড ও আশপাশ এলাকার আতঙ্ক নাসিক ২নং
ওয়ার্ড শ্রমিকলীগ সভাপতি কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে গড়ে উঠা চাঁদাবাজ চক্র। চাঁদাবাজির পাশাপাশি জুয়ার আসর ও মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করছে চক্রটি। মহাসড়কে ছিনতাই ডাকাতির সাথে তারা জড়িত বলে নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র জানায়। পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ, চক্রের প্রধান সেনাপতি আসলাম ওরফে বরিশাইল্যা আসলাম। অভিযোগ জানা গেছে, কথিত শ্রমিকলীগ নেতা কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত ১৫-২০ জনের একটি দল সাইনবোর্ড, মৌচাক, সাহেবপাড়া ও মিতালী মার্কেট এলাকার ত্রাসে পরিণত হয়েছে। তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত তিন চাকার বাহন, লেগুনা, সিএনজি ও ফটপাত থেকে প্রকাশ্যে চাঁদা আদায় করছে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে এসব পরিবহন চালকদের মারধ করা হচ্ছে। খুলে নেওয়া হয় গাড়ির ব্যাটারি। ফলে বাধ্য হয়ে চাঁদা দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন চালকরা। সরেজমিনে অনুসন্ধান করে জানা গেছে, সাইনবোর্ড
সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে দৈনিক ৩ হাজার করে মাসে ৯০ হাজার, মহাসড়কের উত্তর পাশে বিভিন্ন পরিবহন টিকিট কাউন্টার থেকে ৫ হাজার করে মাসে দেড় লাখ, অবৈধভাবে সরকারি জায়গা দখল করে গড়ে উঠা সাহেবপাড়া বাজার থেকে মাসে দেড় লাখ, মহাসড়কে পার্কিং করে রাখা প্রতিটি গাড়ি থেকে মাসে দেড় হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করছে। ফুটপাতসহ সাইনবোর্ড ও আশপাশ এলাকা থেকে মাসে কমপক্ষে ২০ লক্ষাধিক টাকা চাঁদাবাজি করছে চক্রটি। এছাড়াও মিতালী মার্কেট, সাহেবপাড়া আনন্দলোক উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন ও মৌচাক এলাকায় একাধিক মাদক স্পট নিয়ন্ত্রন করছে চক্রটি। জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চক্রটি মাঝে মাঝে মোটরসাইকেল মোহড়া দিয়ে নিজেদের শক্তি জানান দেয়। চক্রটির সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে রয়েছেন আসলাম ওরফে বরিশাইল্যা আসলাম। চাঁদাবাজ চক্রের নেতা কামরুল ইসলাম বলেন, আমি রাজনীতি করি। বহু কর্মীসমর্থক আছে। দলীয়
মিটিং মিছিলে গেলে টাকা খরচ হয়। বাপের জমি বিক্রি করে রাজনীতি করতে আসিনি। আমরা যা করছি প্রশাসন ম্যানেজ করেই করছি। কামরুল ইসলামের সেকেন্ড ইন কমান্ড আসলাম বলেন, চাঁদাবাজির টাকা আমরা একা খাইনা। প্রশাসন সাংবাদিক সবাইকে মাসে মাসে টাকা দেই। সিদ্ধিরগঞ্জ আদমজী আঞ্চলিক শ্রমিকলীগ সভাপতি ছামাদ বেপার বলেন, আমার জানামতেশ্রমিক লীগের কোন নেতাকর্মী চাঁদাবাজির সাথে জড়িত নয়।
শ্রমিক লীগের নাম ভাঙিয়ে কেউ চাঁদাবাজি করার প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, সাইনবোর্ড এলাকায় চাঁদাবাচির বিষয়ে অবগত নই। কেই কোন অভিযোগ করেনি। কেহ চাঁদাবাজি করলে ছাড় পাবেনা। তদন্ত করে আনিগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।