মায়ের সাথে প্রতারনা শ্রীঘরে গেলেন ছেলে
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট জন্মদাত্রী মায়ের সাথে প্রতারণা করে তার জমি অন্যত্র বিক্রি করায় মায়ের মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে ছেলেকে। গতকাল বৃহস্পতিবার মায়ের জমি প্রতারনামূলকভাবে অন্যত্র বিক্রি করার অভিযোগে একরামুল আহসান কাঞ্চন নামে ঐ ব্যক্তিকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট মো. ইমরান মোল্লা। গত বুধবার তাকে গ্রেপ্তার করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। পরে তাকে গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হয়। এর আগে ২০২৩ সালের ১৮ মে মায়ের দায়ের করা জালিয়াতির মাধ্যমে জালদলিল সৃজনের মাধ্যমে জমি লিখে নেয়ার দায়ে আদালত তার দুই ছেলে, দলিল লিখক ও সাক্ষী সহ ৬ জনকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেছেন আদালত। বাদী পক্ষে আইনজীবি জুবায়ের আহাম্মদ জীবন জানান, ২২ নভেম্বর ২০০৯ সালে মা মোসাঃ কমরের নেহার সাক্ষর জাল করে, অন্য মহিলাকে দাতা সাজিয়ে তার দুই ছেলে কামরুল আহসান ও একরামুল আহসান কাঞ্চন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার পিলকুনি মৌজায় ১২৭ শতাংশ জায়গা রেজিস্ট্রি করে নেয়। ঘটনা জানাজানি হলে ২০১০ সালের ৪ মার্চ তার দুই ছেলে, দলিল লিখক, দলিলের সাক্ষিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন বাদী। পরবর্তীতে ওই জায়গা অন্যত্র বিক্রি করে দেয়ায় একরামুল আহসান কাঞ্চনকে আসামি করে অপর আরো একটি মামলা দায়ের করেন তিনি। ঐ মামলায় আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী আরো জানান, প্রতারনার মাধ্যমে মায়ের জায়গা অন্যত্র বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ দায়ের করা অপর একটি মামলায় আদালত কামরুল আহসান কাঞ্চনকে জেল হাজতে পাঠায়। জানা গেছে, ২২ নভেম্বর ২০০৯ সালে মা মোসাঃ কমরের নেহারের স্বাক্ষর জাল করে, অন্য মহিলাকে দাতা সাজিয়ে তার দুই ছেলে কামরুল আহসান ও একরামুল আহসান নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার পিলকুনি মৌজায় ১২৭ শতাংশ জায়গা রেজিস্ট্রি করে নেয়। ঘটনা জানাজানি হলে ২০১০সালের ৪ মার্চ তার দুই ছেলে, দলিল লিখক, দলিলের সাক্ষিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ যুক্তি তর্ক শেষে ২০২৩ সালের ১৮ মে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ বদিউজ্জামান উপরোক্ত রায় প্রদান করেন।