না’গঞ্জে জাপা’র রাজনীতিতেও বিভক্তি
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট দুইভাগে বিভক্ত হয়ে নিয়ন্ত্রিত নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি। এক গ্রæপে রওশন এরশাদ, অপর গ্রæপে জিএম কাদের। দেবর-ভাবির দ্ব›েদ্ব প্রভাব পড়ছে গুরুত্বপূর্ণ জেলার জাতীয় পার্টিতে। সাবেক এমপি লিয়াকত হোসেন খোঁকা, আলমগীর হোসেন লোটন জিএম কাদের এর সমর্থক। এমপি সেলিম ওসমান রওশনপন্থী। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের এখন সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা। জাতীয় পার্টি সংসদীয় দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা জিএম কাদেরের নেতৃত্বেই সংসদে যাবে। সদ্যঘোষিত হওয়া দ্বাদশ নির্বাচনের পর জাতীয় পার্টি প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের নিয়ে এক সভা শেষে গণমাধ্যমকে পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি এ কথা বলেন। জাতীয় পার্টি মহাসচিব বলেন, ‘প্রেসিডিয়াম সভায় উপস্থিত নেতারা ঐক্যবদ্ধভাবে ওই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। জিএম কাদেরই বিরোধীদলীয় নেতা। তিনি বলেন, ‘বেগম রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক, এটি আলংকারিক পদ। দলীয় কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার করার এখতিয়ার নেই বেগম রওশন এরশাদের। দলীয় বা প্রশাসনিক কোনো দায়িত্ব নেই বেগম রওশন এরশাদের। নৈতিকতার প্রশ্নেই বেগম রওশন এরশাদের বিরোধীদলীয় নেতার পতাকা ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ সংসদীয় দলের সদস্যরা গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচিত করেছেন। আর মসিউর রহমান রাঙা নিজেই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি জিএম কাদেরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি করবেন না। তাই তার বিরোধীদলীয় হুইপের পদে থাকার প্রশ্নই আসে না।’ এ সময় চুন্নু বলেন, ‘জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভক্তি নেই, জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধ। এখন জাতীয় পার্টির কোনো কাউন্সিল হচ্ছে না, জাতীয় পার্টির কাউন্সিলের সময় এখনো হয়নি। কিছু মানুষ একটি কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে জাতীয় পার্টির নাম ব্যবহার করছে। আসলে ওই কাউন্সিলের সঙ্গে জাতীয় পার্টির কোনো সম্পর্ক নেই।’ তিনি বলেন, ‘আমরা ওই কাউন্সিলকে আমলেই নিচ্ছি না। প্রেসিডিয়ামের ৪১ সদস্যের মধ্যে ৩৮ জন এবং ২৬ এমপির মধ্যে ২০ জনই আজ উপস্থিত ছিলেন। যারা আসতে পারেননি, তাদের কেউ বিদেশে অথবা অসুস্থ। আসলে সবাই জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।’ এ সময় জাতীয় পার্টি মহাসচিব বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে জাতীয় পার্টি আর কোনো জোটে নেই কিংবা জোটে আবদ্ধ থাকবে না। গনতান্ত্রিক পন্থায় পূর্বের মতই এবারের নির্বাচনেও তারা অংশ নিয়েছে। জাতীয় পার্টি নিজস্ব রাজনীতি নিয়ে গণমানুষের পক্ষে কথা বলছে, এতে কেউ কেউ মনে করে জাতীয় পার্টি বুঝি আওয়ামীলীগের সঙ্গে জোট বদ্ধ। আসলে জাতীয় পার্টি নিজস্ব রাজনীতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় পার্টি কারো জোটে নেই। আওয়ামী লীগ-বিএনপি নয়, জাতীয় পার্টি দেশের মানুষের সঙ্গে আছে।’ এর আগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সভাপতিত্বে প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্যদের যৌথ সভা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আবুল কাশেম, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ফখরুল ইমাম এমপি, সাবেক এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা, সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, এটিইউ তাজ রহমান, সোলায়মান আলম শেঠ, নাসরিন জাহান রতনা এমপি, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, লে. জে. (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, মো. মিজানুর রহমান, নাজমা আখতার এমপি, আলমগীর সিকদার লোটন, এমরান হোসেন মিয়া, মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল এমপি, মো. জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, মোহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিক, জরিুল আলম রুবেল, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা রওশন আরা মান্নান, শেরীফা কাদের, শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, নুরুল ইসলাম তালুকদার, পনির উদ্দিন আহমেদ, পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান।