হতাশয় বিএনপির কর্মী সমর্থকরা
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা রিজভীকে নিয়ে রাজনৈতিক অংগনে চলছে নানান সমালোচনা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তে বিএনপির বাঘা বাঘা নেতা পুলিশের হাতে আটক হলেও গ্রেফতার হননি রিভজী।অথচ পুলিশ ইচ্ছে করলেই গ্রেফতার করতে পারতো। রিজভীর রহস্যজনক ভূমিকা নিয়ে সারা দেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। চাউর হচ্ছে, রিজভী সরকারের পাকা এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে।রিজভী নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকেও চলছে তীব্র সমালোচনা। বিএনপির হাজার-হাজার কর্মী যখন দেশজুড়ে গ্রেফতার হচ্ছিলেন তখন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আত্মগোপনে ছিলেন এবং হঠাৎ-হঠাৎ ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে উদয় হয়ে ৫-১০ জন ব্যক্তি সহ ঝটিকা মিছিল ও লিফলেট বিতরণ করছিলেন। তখন তার সাথে থাকা ব্যক্তিরা কারা ছিলো সেটা বিএনপির অনেকেই আমাকে পরিস্কার করে বলতে পারেননি। দলটির সকল নেতাকর্মী যখন গ্রেফতার আতংকে পর্যদুস্ত, তখন এই রিজভী সাহেব ঢাকা শহরে বসেই লাইভে এসে বিভিন্ন বিবৃতি প্রদান করছিলেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রযুক্তি-নজরদারি সরঞ্জাম নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করার সুবাদে, আমি বেশ জোরালো ভাবেই বলতে পারি — তাদের কাছে এমন প্রযুক্তি আছে যার মাধ্যমে কেউ এ ধরনের লাইভ করলে বা বিভিন্ন স্থানে হঠাৎ করে উদয় হলে ওই ব্যক্তির অবস্থান শনাক্ত/লোকেট করতে তারা সক্ষম। বিষয়টি বেশ আশ্চর্যজনক যে, প্রভাবশালী অনেকে গ্রেফতার হলেও জনাব রিজভী কখনোই গ্রেফতার হননি। কিন্তু বিশেষ মহলের বিশ্বস্ততা অর্জনে ঝুঁকির মধ্যে থেকেও নিজ সাংগঠনিক শক্তি প্রমানে তিনি সব সময়ই সচেষ্ট ছিলেন। অতীতেও তিনি সেলফ ডেডিকেশন স্টাবলিশ করতে দীর্ঘদিন গ্রেফতার এড়িয়ে নয়া পল্টনের বিএনপি কার্যালয়ে ঘুমিয়েছেন। এমনকি ১০ দিন আগেও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান মুহাম্মদ হারুন অর রশিদ নিজে বলেছেন যে, তিনি রিজভী সাহেবকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন এবং পেলেই গ্রেফতার করবেন। কিন্তু গতকাল মতিঝিল থানা থেকে ১০০-১৫০ মিটার দূরে অবস্থিত ইধহমষধফবংয ঘধঃরড়হধষরংঃ চধৎঃু-ইঘচ’র প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তিনি তালা ভেঙ্গে সেখানে প্রবেশ করেন, তারপর কিছু নেতা-কর্মীকে সাথে নিয়ে সেখানে প্রেস ব্রিফিংও করেন — কোন রকমের ঝামেলা বা হয়রানি ছাড়াই! তথ্যগত কোন ভুল না থাকলে আমি বেশ স্পষ্ট করেই বলতে পারি বিএনপি প্রধান কার্যালয় ২৪ ঘন্টা গোয়েন্দা নজরদারীতে থাকে। দেশব্যাপী বিএনপির অসংখ্য নেতা-কর্মী যেখানে স্বজন-পরিবার ত্যাগ করে পালিয়ে বনে-বাদাড়ে দিনরাত কাটাচ্ছেন, সেখানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার প্রধান গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে খুঁজে বেড়াচ্ছে এমন এক ব্যক্তি কিভাবে দিনের আলোয় তালা ভেঙ্গে দলীয় কার্যালয় প্রবেশ করে সংবাদ সন্মেলন করে গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারেন, তা এক রহস্যই বটে।