সিদ্ধিরগঞ্জে টিসিবির পন্য ছিনিয়ে নিয়েছে সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট সিদ্ধিরগঞ্জে টিসিবির পন্য সামগ্রিসহ ঠিকাদারকে তুলে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শফির সহযোগীরা এ কাজ করেছেন বলে জানা গেছে। গতকাল সোমবার দুপুরে (নাসিক) ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিস সংলগ্নে এমন ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে জানা যায়, অন্যান্য দিনের মতো আজও কাউন্সিলর অফিসের সামনে টিসিবির পন্য বিক্রি করে আসছিল ওই এলাকার ঠিকাদার মান্নানসহ তার অধীনে কর্মরত কর্মচারীরা। পরে দুপুরের দিকে সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শফির কিছুসংখ্যক লোকজন স্পর্টে উপস্থিত হয়ে পন্য বিক্রি বন্ধ করে দেয়। একপর্যায়ে ওই ঠিকাদারকে তার অফিসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা আরও বলে, পন্য সামগ্রি বিক্রি বন্ধ করে দেয়া ব্যক্তিরা বলে আসছিল কাউন্সিলর নয় সেচ্ছাসেবক লীগের শফির মাধ্যমে ঠিকাদারকে তার অফিসের সামনে টিসিবির পন্য বিক্রি করতে হবে। ভুক্তভোগী ঠিকাদার মান্নানকে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তার কলটি রিসিভ হয়নি। ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শফি বলেছেন, এই অভিযোগগুলো সম্পূর্ন রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মূলক। ইকবাল বিএনপির রাজনীতি করে। আমরা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি। ইকবালের অফিসের সামনে টিসিবি পন্য দেয়া হচ্ছিল। সেখানে ইকবালের লোকজন প্রভাব খাটিয়ে কার্ড বহির্ভুত অনেক লোককে পন্য দিচ্ছিল। অনেক মহিলারা আমাদের কাছে এসে অভিযোগ করে বলেছে যে, যারা নৌকার কর্মী সমর্থক তাদেরকে টিসিবি পন্য দেয়া হবে না। যারা বিএনপি করে তাদেরকেই টিসিবি পন্য দিবে। আমরা বিষয়টি জেনে ডিলারকে বলেছি যে, এই স্পট বাদ দিয়ে অন্য স্পটে গিয়ে বিতরণ করতে। মালামালের গাড়ি নেয়ার সময় বালুতে চাঁকা আটকে যায়। পরে অন্য একটি ট্রাকে মালামাল উঠিয়ে স্থানান্তর করা হয়। মালামাল ডিলারের। দায় দায়িত্ব তার। ডিলারের কাছ থেকে মালামাল নেয়ার কোনো সুযোগ নেই আমাদের। ডিলার ওয়ার্ডের যেকোনো স্পটে গিয়ে মালামাল বিতরণ করতে পারে। কাউন্সিলরের অফিসে বসেই দিতে হবে এমন কোনো আইন নেই। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন বলেন, আমার অফিসের সামনে আমার ঠিকাদার টিসিবির পন্য বিক্রি করে আসছিল। শফি জোরপূর্বক টিসিবির পন্য তার আন্ডারে নেয়ার জন্যে নিজের সহযোগীদের দিয়ে মালামালসহ ঠিকাদারকে ধরে নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক জানান, এমন কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। তবে, মালামাল আটকানোর একটি শোনার পর আমি পুলিশ পাঠিয়েছি।