যৌতুক না পেয়ে শ্বশুরবাড়িতে জামাতার আগুন
বন্দর প্রতিনিধি বন্দরে পরকীয়ায় আসক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী আদালতে মামলা করায় শ্বশুরবাড়িতে হামলার পর বাড়িঘরে আগুন ও ২জনকে ছুরিকাঘাত করার ঘটনায় জামাতা ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জসীট দিয়েছে পুলিশ। পলাতক জামাতা আমজাদ, তার সহযোগি আবুল হাসান ও শহীনকে খোঁজছে পুলিশ। তাদের গ্রেফতারে মাঠে রয়েছে পুলিশ ও র্যাব। আগুন দেয়ার ঘটনায় আরো একটি মামলা হয়েছে। জানা গেছে, বন্দরের হারুয়াপাড়া দশদোনা এলাকার মৃত ফজলুল হকের ছেলে আমজাদ যৌতুকের জন্য স্ত্রী সাথীকে মারধর করে পিত্রালয়ে পাঠিয়ে দেয়। স্ত্রী সাথী গত বছরের ১৮ আগষ্ট মামলা করলে ১৯ আগষ্ট রাতে জামাতা আমজাদ শ^শুড়বাড়িতে গিয়ে বাড়ি ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। এ সময় বাড়ির লোকজন বেরিয়ে এলে সাথীর ভাই ফারুক (৩১) ও তার চাচা জসিম (৪০)কে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এ দুটি ঘটনায় পুলিশ তদন্ত্র করে ৩জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জসীট দাখিল করে। এ ব্যপারে সাথীর পিতা শাহজাহান মিয়া জানান, প্রেমের সম্পর্কে পার্শ¦বর্তী দশদোনা গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে আমজাদের সঙ্গে আমার মেয়ে সাথী আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আমজাদ পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ে। এবং বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের জন্য মেয়েকে নির্যাতন করে। গত ১৮ আগস্ট যৌতুকের টাকা আনতে সাথীকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এ ঘটনায় গত ১৯ আগস্ট সাথী আক্তার বাদী হয়ে আমজাদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি যৌতুক মামলা দায়ের করা হয়। আদালতে এ মামলার খবর পেয়ে আমজাদ ক্ষিপ্ত হয়ে তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে ১৯ আগস্ট রাতে বাড়িতে হামলা চালায় এবং আমার ছেলে ফারুককে কুপিয়ে জখম করে। এবং রাত ৩টার দিকে পেট্রোল ছিটিয়ে বসতঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এ আগুনে পুড়ে প্রায় ১৫ লাখ টাকা ক্ষতিসাধন হয়েছে। পুলিশ দুটি ঘটনার স্যতা পেয়ে আদালতে চার্জসীট দাখিল করে। এ ব্যপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই খোকন বলেন, আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।