আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | রাত ৩:০০

ফতুল্লায় অপ্রতিরোধ্য কিশোরগ্যাং।

ডান্ডিবার্তা | ১৯ জানুয়ারি, ২০২৪ | ৯:৪১ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট ফতুল্লা থানাধীন পশ্চিম মাসদাইর গুদারাঘাট, বাড়ৈভোগ, খানকামোড়সহ আশপাশ এলাকায় কিশোরগ্যাং গ্রæপের অন্যতম কর্নধার ফেরদৌস ও দানিয়েলগংদের অপরাধের স্বর্গরাজ্যে যেন কোনভাবেই দমানো সম্ভব হচ্ছেনা। থানা পুলিশের নিরবতায় একদিকে যেমন মাদকের সা¤্রাজ্যে পরিনত হয়েছে পুরো ফতুল্লা এলঅকা তেমনী কিশোরগ্যাংদের অপ্রতিরোধ্য গতি যেন অনেকটাই ভাবিয়ে তুলেছে বসবাসকারী প্রতিটি অভিভাবককে। বিসিক শিল্পাঞ্চল ঘেঁষা পুরো মাসদাইর এলাকাটি যেন প্রচুর জনবসতিতে পরিনত হয়েছে। স্থানীয়দের চেয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত কর্মজীবি মানুষগুলো অত্র মাসদাইরকে আরো বেশী ঘনবসতিতে পরিপুর্ন করে তুলে। গার্মেন্টস এ কর্মরত নারী-পুরুষরা কর্মশেষে বাড়ি ফেরার পথে পশ্চিম মাসদাইর গুদারাঘাট, বাড়ৈভোগ, খানকামোড়সহ আশপাশ এলাকাতে চুরি, ছিনতাই, চাদাঁবাজি, ইভটিজিং, মাদক বিক্রি ও সেবন এমন কোন অপকর্ম বাদ নেই যা হচ্ছেনা কিশোরগ্যাং লিডার ফেরদৌস ও দানিয়েল গ্রæপের সদস্যদের দ্বারা। আর এলাকায় মাদক ব্যবসা, ছিনতাই, চুরিসহ নানাবিধ অপকর্মের প্রতিবাদ করায় কিশোরগ্যাং লিডার ফেরদৌস ও দানিয়াল গ্রæপের হামলায় ছাত্রলীগ নেতা অনিকসহ প্রায় ৩/৪জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে বলে দাবী স্থানীয়দের। স্থানীয়রা জানান, মাসদাইর ও আশপাশ এলাকাতে কিশোরগ্যাংয়ের অন্যতম লিডার ফেরদৌস। বাবা লাবু মিয়ার তেমন নাম-ডাক না থাকলেও মায়ের পরিচয়ে অধিক পরিচিত এ ফেরদৌস। ফেরদৌসের মা বিভিন্ন বাসাবাড়ির নির্মান কাজের সময় হাতুড়ির মাধ্যমে ইট ভাঙ্গার কাজ করেন। সেই সুবাদেই এলাকায় ব্যাপক পরিচিত ফেরদৌস। চুরি, ছিনতাই, চাদাঁবাজি, ইভটিজিং, মাদক বিক্রি ও সেবন এমন কোন অপকর্ম নেই যা ওর দ্বারা সুসংগঠিত হয়নি। এ কারনে ফতুল্লা থানায় ফেরদৌসের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে। সর্বশেষ স্থানীয় একটি গ্রæপ ফেরদৌসের চোখ উপড়িয়ে গনপিটুনী নিয়ে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের সাথে সোপর্দ করেছিলো। দীর্ঘদিন কারাভোগের পর জেল থেকে বেড়িয়ে ফেরদৌসের কিশোরগ্যাং গ্রæপের অন্যান্য সদস্য মাসদাইর বাড়ৈভোগ ফারিহা গার্মেন্টস সংলগ্ন মৃত.দেলোয়ার হোসেন @ দেলুর ছেলে দানিয়েল, বাড়ৈভোগ বটতলা এলাকার সাকু মিয়ার ছেলে শুভ, দক্ষিন মাসদাইর ঘোষেরবাগ এলাকার আলী মিয়ার ছেলে জাহিদ, রমজানের নাতি সাব্বির, মাসদাইর ছোট কবরস্থান এলাকার আবুকালামের ছেলে দিপুসহ সঙ্গীয়রা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। জানা যায়, ইতিপুর্বে মাসদাইর ঘোষেরবাগ ও গুদারাঘাট এলাকায় ফেরদৌস ও তার বাহিনীর সদস্যরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ব্যাপক তান্ডব চালিয়েছে। যে বিষয়ে ভুক্তভোগী অনেকেই ফেরদৌসসহ তার সঙ্গীয়দের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগসহ একাধিক মামলাও করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান, ফেরদৌসের মদদদাতা হিসেবে রয়েছে দক্ষিন মাসদাইর পঞ্চায়েত কমিটির কয়েকজন কর্তাবাবু। তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতার ফলেই ফেরদৌসের মত টোকাই ছেলে আজ পুরো এলাকাবাসীর জন্য আতংকে রুপ নিয়েছে। স্থানীয় মাদক বিক্রেতা সাব্বিরের পিতার সাথে ফেরদৌসের আশ্রয়দাতাদের আধিপত্য বিস্তারকে কাজে লাগাতেই এ সমস্ত টোকাই ফেরদৌস ও দানিয়েলদের জন্ম দিয়েছে বলে অভিমত স্থানীয়দের। তবে স্থানীয়রা এ বিষয়ে থানা পুলিণশের নিরবতাকেই দায়ী করছেন। প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় মাদকের ব্যাপক ছড়াছড়ি এবং মাদকাসক্তের ফলেই এ সকল কিশোরগ্যাংদের জন্ম। পুলিশ মাদক নির্মুলের পরিবর্তে উল্টো মাদক বিক্রেতাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে মাসোহারা গ্রহনকেই মুল কারন হিসেবে গ্রহন করছেন স্থানীয়রা। এদিকে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা প্রায় ৭টায় বাড়ৈভোগ এলাকায় সানাউল্লাহ মেম্বারের গ্যারেজের সামনে ছাত্রলীগ নেতা অনিকসহ তার বন্ধুদের উপর দানিয়েল ও ফেরদৌস বাহিনীর হামলাকে এলাকাতে চুরি, ছিনতাই, চাদাঁবাজি, ইভটিজিং, মাদক বিক্রি ও সেবন এর প্রতিবাদ করাটাকে প্রাধান্য দিচ্ছে স্থানীয়রা। তারা বলেন, দানিয়েল ও ফেরদৌস বাহিনী এখন পুরো এলাকাবাসীর কাছে আতংকের একটি নামে পরিনত হয়েছে। হামলার পুর্বে হোন্ডা থামিয়ে অনিক তার বন্ধু  জুম্মন ও বুলু’র সাথে কথা বলছিলো। এ সময় বিবাদীরা অনিককে উদ্দ্যোশ্যে করে অকথ্য ভাষায় হালাগাল করে। এক পর্যায়ে ১নং বিবাদীর কোমড়ে লুকিয়ে রাখা চাপাতি দিয়ে ওকে হত্যার উদ্দ্যেশে মাথার মধ্যে কোপ মেরে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। ২নং বিবাদীর হাতে থাকা চাকু দিয়ে অীনকের মাথায় কোপ মারিলে সে ডান হাতে তা প্রতিহত করতে গেলে ডান হাতের কজি¦র উপর লেগে কাটা জখম হয়। এসময় অঅমার নাতি মাটিতে পড়ে গেলে অন্যান্য বিবাদীরা ধারালো কিরিচ দিয়ে অনিকের ডান ও বাম হাটুর নিচে কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। ৪নং বিবাদী আমার বন্ধুর নাতি বুলুকে হত্যার জন্য কিরিচ দিয়ে মাথায় অঅঘাত করলে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে ডান হাতে লেগে রক্তাক্ত জখম হয়। ৫ ও ৬নং বিবাদী অনিকের বন্ধু জুম্মনকেও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। সংবাদ পেয়ে আমি ও আমার পুত্রা সোহাগ উভয়ে অনিক ও তার বন্ধুকে বাচাতে এগিয়ে গেলে বিবাদীরা আমাদেরকেও কাঠের ডাসা দিয়ে পিটিয়ে ও অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয়দের দাবী পশ্চিম মাসদাইর গুদারাঘাট, বাড়ৈভোগ, খানকামোড়সহ আশপাশ এলাকায় কিশোরগ্যাং গ্রæপের অন্যতম কর্নধার ফেরদৌস ও দানিয়েলগংদের অপরাধকর্ম নির্মুল করতে পুলিশকে আরো কঠোর থেকে কঠোর হতে হবে। আর ফেরদৌস ও দানিয়েলকে যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে তাদেরকেও আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করলে সমাজ থেকে কিশোরগ্যাং নামক আতংকিত ভাইরাসটির অবসান হবে। এ বিষয়ে উক্ত এলাকাবাসী থানা পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব-১১’র সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা