অবৈধ স্ট্যান্ড ও যানজটে নাকাল নগরবাসী
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে একাধিক যানবাহনের অবৈধ স্ট্যান্ড। সড়কের দুই পাশে, আনাচে-কানাচে অবৈধ স্ট্যান্ডের ছড়াছড়িতে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। বেড়েছে জনগণের ভোগান্তি। অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনায় ভেঙে পড়েছে নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থা। পরিবহন সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি শহরবাসী। বিভিন্ন স্থানে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী তোলা আর যত্রতত্র বাস রাখার বিষয়ে ট্রাফিক প্রশাসনও প্রশ্নবিদ্ধ। শহরে অবৈধ স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন মোটা অঙ্কের চাঁদা লেনদেন হয় বলে জানা গেছে। অবৈধ স্ট্যান্ডের বিষয়টি একাধিকবার প্রশাসনের সম্মুখে উপস্থাপন করা হলেও অদৃশ্য কারণে স্ট্যান্ডগুলোও এখনো বহাল রয়েছে। এমনকি অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করতে হাইকোর্ট এক রায় দিলেও হাইকোর্টের নির্দেশনা না মেনে এখনো বহাল রয়েছে অবৈধ স্ট্যান্ড। এসব স্ট্যান্ড এখন নগরবাসীর জন্য ‘বিষফোড়া’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নগরীর চলাচলকারী দুরন্ত, আনন্দ, শীতলক্ষ্যা, মৌমিতাসহ বেশ কয়েকটি বাস সার্ভিস বিভিন্ন পয়েন্টে স্ট্যান্ড করলেও তাদের নেই কোনো বৈধ পারমিট। এমনকি বেশির ভাগ বাসেরও নেই ফিটনেস। পাশাপাশি নগরী জুড়ে ব্যাটারিচালিত অবৈধ অটোরিকশা আর সিএনজি অটোরিকশার অবৈধ স্ট্যান্ডের ছড়াছড়ি থাকলেও এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ট্রাফিক বিভাগ রহস্যজনক কারণে নীরবতা পালন করছে। নারায়ণগঞ্জের বাস মালিক ও শ্রমিকদের কাছে জিম্মি কয়েক লাখ মানুষ। এদিকে এসব স্ট্যান্ড অবৈধভাবে বসার ফলে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের চাষাড়ায় চত্বর নিকটবর্তী এলাকায় অঘোষিতভাবে বানানো হয়েছে কমপক্ষে ৬টি অবৈধ স্ট্যান্ড। সরকারি মহিলা কলেজের সামনে সিএনজি ও ইজিবাইক অবৈধ স্ট্যান্ড, রাইফেল ক্লাবের বিপরীতে রয়েছে অবৈধ লেগুনার স্ট্যান্ড, আজগর ফিলিং স্টেশনের পাশে রয়েছে একটি সিএনজি-টেম্পু স্ট্যান্ড, জিয়াহলের সামনে স্ট্যান্ড, খাজা সুপার মার্কেটের সামনে লেগুনা স্ট্যান্ড এবং মার্কেটের বিপরীত দিকে সিদ্ধিরগঞ্জগামী লেগুনা স্ট্যান্ড। এসব স্ট্যান্ডে পার্কিং করে রাখা হয়েছে সিএনজি, লেগুনাসহ একাধিক যানবাহন। ফলে নগরে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ক্ষণে ক্ষণে লেগে থাকে যানজট। এছাড়াও জিমখানা, ২নং রেলগেট ফজর আলী ট্রেড সেন্টারের সামনে রয়েছে অবৈধ স্ট্যান্ড। নগর ভবনের নিকটবর্তী নিতাইগঞ্জে অবৈধ অটো স্ট্যান্ড রয়েছে। সেই সাথে রয়েছে ট্রাকস্ট্যান্ড। নিতাইগঞ্জ ট্রাক স্ট্যান্ডে ট্রাক থামিয়ে পণ্য উঠানো-নামানো হয়। একাধিবার এই ট্রাক স্ট্যান্ড উচ্ছেদ অভিযান চললেও কয়েক দিনের মধ্যে আবারও দখল করা হয়। শহরের রয়েছে দুইটি সরকারি কলেজ ও কালিবাজার রয়েছে একটি কলেজ যাদের সামনে সব সময় দেখা মিলে যানজটের তাতে করো ভোগান্তিতে পড়তে হয় কলেজ পরুয়া ছেলে ও মেয়েদের সহ নগরবাসীর। শহরে যানজটের প্রধান পয়েন্টগুলো হচ্ছে নিতাইগঞ্জ মোড়, মÐলপাড়া ব্রিজ, ২ নম্বর রেলগেট, নন্দিপাড়া মোড়, গ্রিন্ডলেজ ব্যাংক মোড়, নুর মসজিদ মোড়, পপুলার পয়েন্ট ও চাষাড়া চৌরাস্তা মোড়। চাষাড়া মোড়ে পথচারীদের সাথে কথা বলে যানা যায়, ‘রাস্তায় যানজট লাগে মানুষের স্বভাবের কারণে। এ মানুষগুলো হচ্ছে পরিবহন জগতের মানুষ। সকালে তারা বিভিন্ন যানবাহন নিয়ে রাস্তায় বের হন। নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড থেকে বের হয়েই বিভিন্ন পয়েন্টে বাস বা সিএনজি দাঁড় করিয়ে রাখেন যাত্রী তোলার আশায়। যাত্রীর আশায় চালক গাড়ি স্টার্ট দিয়ে দু-একটি ফ্যান চালু করে ঠায় বসে থাকে। সিএনজিগুলোর একই অবস্থা যাত্রীর জন্য রাস্তা দখল করে বসে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহরে ঢাকাগামী বাসগুলো ২ নম্বর রেলগেট চত্বর ঘুরতেই যানজট লাগে। এবিষয়ে ট্রাফিক পুলিশ থেকে জানানো হয়, আমরা সব সময় যানজট মুক্ত রাখার চেষ্টা করছি আমাদের সদস্যরা সব সময় কাজ করে যাচ্ছে। এ জন্য শহরবাসীর সহযোগিতা চাই যানজট মুক্ত রাখার জন্য। অবৈধ পরিহনের বিরুদ্ধে আমরা মামলা দিচ্ছি সব সময়।