আজ সোমবার | ১১ আগস্ট ২০২৫ | ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৬ সফর ১৪৪৭ | রাত ১১:৫৩

হতাশা ও ক্ষুব্ধ বিএনপির কর্মীরা

ডান্ডিবার্তা | ২১ জানুয়ারি, ২০২৪ | ১২:২৪ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট সময় দ্রæত ফুরিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি ধারাবাহিক আন্দোলনের ঘোষণার পর যেভাবে আন্দোলনের গতি বাড়াবে বলে অনেকে আশা করেছিল সেই গতি বাড়েনি। বিএনপির অনেকেই মনে করেছিল যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করলে সরকার নতজানু হয়ে যাবে, দুর্বল হবে এবং বাধ্য ছেলের মতো তত্ত¡াবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নেবে। সেটিও হয়নি। উল্টো সুষ্টুভাবে দ্বাদশ জাতীয় সাংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং পূনরায় আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করেছে। এরকম একটি পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে যে, বিএনপি এখন কি করবে? এমন অবস্থায় দেশের অন্যায় জেলার ন্যায় ঢাকার পাশ্ববর্তী জেলা নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজনীতিতে তৃনমূলে বিরাজ করছে হতাশা। জেলার সিনিয়র নেতৃবৃন্দরা দ্বাদশ নির্বাচনের আগ মুহুর্তে বলেছিলেন, অক্টোবরের মধ্যেই সরকারের পতন ঘটবে। কিন্তু পতন ঘটা তো দূরের কথা, বিএনপি এখন আন্দোলনের সংকটেই ভুগছে। বিএনপির নেতাদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা দেখা দিয়েছে। একেক জন বিএনপির নেতার ২০ থেকে ১০০টি পর্যন্ত মামলা রয়েছে। নিয়মিত তাদেরকে কোর্টে হাজিরা দিতে হচ্ছে। দীর্ঘ মেয়াদি আন্দোলনে তারা কোনো ফল দেখছেন না। এখন তারা হতাশায় ভুগছেন। শেষ পর্যন্ত যদি এই ভাবেই আন্দোলন এগোতে থাকে তাহলে নির্বাচনী পরবর্তী সময়ে তাদের দাবি আদায়ে কি মাঠে টিকে থাকতে পারবে কিনা এ নিয়েও যথেষ্ট সংশয় রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকমহল। এ অবস্থায় বিএনপির কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে। বিশেষ করে, নির্বাচনের আগ মুহুর্তে সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির কর্মীরা নিয়মিত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছে। সবকিছু উজাড় করে দিয়ে, জেল জুলুমের ভয় উপেক্ষা করে বিএনপির এই কর্মীদের কর্মসূচিতে থাকার লক্ষ্য একটাই ছিল। তারা মনে করছিল যে, যেকোনো ভাবেই হোক সরকার চাপে পড়বে এবং শেষ পর্যন্ত পদত্যাগে বাধ্য হবে। কিন্তু সরকারের মধ্যে কোনো রকমের চাপ লক্ষ্য করা যায়নি উল্টো নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছে। ফলে কর্মীরা ক্ষুব্ধ। কর্মীরা মনে করছেন যে, নেতারা বড় ধরনের কর্মসূচি নামমাত্র দিয়েছিলেন এবং তারা সরকারের সঙ্গে এক ধরনের আপোষ রফা করে ফেলেছেন। আর এই আপোষ রফার কারণেই বিএনপি বড় ধরনের কোনো কর্মসূচি দিতে পারছে না বলে অভিযোগ তাদের। দলের কর্মীরা প্রত্যাশা নিয়ে তারা মনে করছেন সরকারের বিরুদ্ধে আজকে কোনো কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে। গণমাধ্যমগুলো প্রতিদিনই বিএনপির কঠোর কর্মসূচির কথা লিখছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো কঠোর কর্মসূচি বিএনপি দিতে পারছে না। বিএনপির মধ্যেই চলছে নানারকম অবিশ্বাসের দোলাচল, কোন্দল এবং একে অপরকে অবিশ্বাস করছেন প্রতিনিয়ত। এরকম পরিস্থিতিতে বড় ধরনের কোনো আন্দোলন দিলে তার পরিণতি কি হবে সেটি নিয়ে বিএনপির মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন স্বীকার করেছেন যে, মানুষ অপেক্ষা করছে। এখন আর বসে থাকার সময় নেই। বিএনপি যদি এবার সরকারের বিরুদ্ধে বড় ধরনের আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারে তাহলে সামনে তাদের কঠিন সময় অপেক্ষা করছে। কিন্তু বিএনপির নেতারা যতই বলুক না কেন লন্ডন থেকে কঠোর আন্দোলনের কোনো বার্তা আসছে না। অন্যদিকে কর্মীরা বলছেন যে, নির্বাচনের পূববর্তী সময়ে টানা কর্মসূচির কারণে একদিকে যেমন তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা এবং নানা রকম হয়রানি হচ্ছে তারা বাসায় থাকতে পারছেন না অন্যদিকে এই ধরনের অহিংস আন্দোলনের ফলে সরকারও কোনো চাপ অনুভব করছে না। এর ফলে কষ্ট পাচ্ছে কর্মীরা। আর তাই কর্মীরা নেতাদের ওপর ক্ষুব্ধ হচ্ছেন। এরকম একটি পরিস্থিতিতে বিএনপি সামনে কি করে—সেটি এখন দেখার বিষয়।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা