বিএনপির লড়াকুরা হারিয়ে যাচ্ছে!
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ থেকে বিএনপির রাজপথের লড়াকু একাধিক সৈনিক হারিয়ে যাচ্ছে। কেহ হারিয়ে যাচ্ছে বহিস্কারে, কেহ হারিয়ে যাচ্ছে বাধ্যর্কে আবার কেহ হারিয়ে যাচ্ছে কমিটি বানিজ্যের কারণে। এছাড়াও অনেকে মামলায় কাবু হয়ে দল ছাড়ছেন। যারা বিএনপির রাজপথ কাঁপাতের তাদের অনেকে আবার কমিটি বানিজ্যের কারণে বাইরে রয়েছে। একারণে তারা অনেকে আবার আন্দোলনে নামতে আগ্রহ হারাচ্ছেন। বিএনপির প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা থাকলেও দলে নেতা না থাকায় দিন দিন মানুষ বিএনপিকে ভুলে যেতে শুরু করেছে। তাছাড়া বিএনপি দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত ক্ষমতার বাইরে। আর ক্ষমতার বাইরে থাকলেও তারা তেমন আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। সেই সাথে বিএনপির উপর জ¦াল্ওা পোড়াও তকমা রয়েছে। আর এ কারনে অনেক যাদরেল নেতা নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন। তাই আগের মত বিএনপি রাজপথে তেমন সুবিধা করতে পারছে না। বর্তমানে যারা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে রাজনীতি করেন তাদের অনেকে রাজনীতির বাইরে রাখা হয়েছে। দল তাদের মত পরিপক্ষ রাজনীতিবিদদের স্থান দেয়নি। সেই সকল রাজনীতিবিদদের সমর্থকরাও এখন রাজনীতি করতে অনিহা প্রকাশ করছেন। বলা চলে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির কমিটি দেয়াটা কেন্দ্রের ভুল সিদ্ধান্তে আজ নারায়ণগঞ্জে বিএনপি মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছে না। বিএনপির অনেক নেতা ছিলেন, যারা নিজেদের কর্মীদের রক্ষার জন্য ক্ষমতাসীনদের সাথে মাঝে মধ্যে আতাঁত রেখে চলেছেন। যাতে নিজ দলের কর্মীদের হামলা মামলা থেকে রক্ষা করা যায়। যখন কেন্দ্র সেই সকল রাজনীতিবিদদের দলের বাইরে ফেলে দিলেন তখন থেকেই কর্মীরা নানা ভাবে নাজেহাল হতে থাকেন। এর দায় কেন্দ্রকে দিচ্ছের রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহল। সম্প্রতি হয়ে যাওয়া নির্বাচনের আগে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির ছয় নেতাকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। বহিষ্কৃত নেতারা হলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আতাউর রহমান মুকুল, সিটি কপোরেশনের ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু, ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহমদ, বিএনপির নেতা হান্নান, সাবেক কাউন্সিলর গোলাম নবী মুরাদ ও ৩নং বিএনপির সহসভাপতি নুরুজ্জামান। তাদের সদস্য পদসহ বিএনপি অঙ্গসংগঠনের সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া বয়সের ভাড়ে বা দলে তেমন স্থান না থাকায় সাবেক এমপি আবুল কালাম, রূপগঞ্জের কাজী মনির, সোনারগাঁয়ের অধ্যাপক রেজাউল করিমসহ অনেক নেতা এখন রাজনীতির মাঠে নেই। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ কাাঁপানো নেতা এটিএম কামলাকে বহিস্কার করার পর নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজনীতি প্রায় স্তমিতই বলা চলে। বতর্মান নেতারা নারায়ণগঞ্জে বিএনপিকে তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন। কেন্দ্রীয় নেতারাও নারায়ণগঞ্জে এসে নারায়ণগঞ্জ বিএনপিকে দাঁড়কারে পারছেনা। আর এভাবেই নারায়ণগঞ্জ বিএনপির অনেক যাদরেল নেতা অকালে হারিয়ে যাচ্ছে।