মিশুক চলাচল বৈধ করতে কাউন্সিলরদের প্রস্তাব
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ নগরীর জন্য সমন্বিত পরিবহন মহাপরিকল্পনার অগ্রগতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল টায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৫ম তলায় সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এর মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। উক্ত সভা সঞ্চালনা করেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এর নগর পরিকল্পনাবিদ মোঃ মঈনুল ইসলাম। প্রকল্প পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরেন। এরপরে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের টিম লিডার ড. মোঃ মাহবুবুল বারী নারায়ণগঞ্জ নগরীর বহুমুখী পরিবহন সম্পর্কিত বিদ্যমান সমস্যাসমূহ এবং তা সমাধানে করনীয় বিষয়ক বিস্তারিত উপস্থাপনা প্রদান করেন। উপস্থাপনার শেষ পর্যায়ে তিনি প্রকল্পের বর্তমান অগ্রগতিও তুলে ধরেন এবং পরবর্তীতে সভায় উপস্থিত বিভিন্ন অংশীজন উক্ত পরিকল্পনার উপর তাঁদের মতামত এবং পরামর্শ প্রদান করেন। উক্ত অগ্রগতি সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো: আব্দুল আজিজ, নগর পরিকল্পনাবিদ মো: মঈনুল ইসলাম এবং প্রকল্প পরিচালক মো: মিজানুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ। উক্ত সভায় মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, নারায়ণগঞ্জ নগরীর পরিবহন সম্পর্কিত বিদ্যমান সমস্যাসমূহ সমাধানে টেকসই, জনবান্ধব ও স্মার্ট নারায়ণগঞ্জ নগরী বিনির্মাণে সমন্বিত পরিবহন মহাপরিকল্পনার গুরুত্ব তুলে ধরেন ও সার্বিক দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। এসময় সিটি করপোরেশনের সভায় ব্যাটারি চালিত ছোট অটোরিকশাকে (মিশুক) বৈধভাবে চলতে এক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবে নারায়ণগঞ্জে সিটি করপোরেশন এলাকায় অবৈধভাবে চলাচল করা ব্যাটারি চালিত ছোট অটোরিকশাকে বৈধভাবে চলতে পায়ে চালিত রিকশার নাম্বার প্লেট দেয়ার কথা জানানো হয়। গত মঙ্গলবার এনসিসির মাসিক সভায় এ প্রস্তাব দেওয়া হয়। সভায় সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভিসহ কাউন্সিলর, মহিলা কাউন্সিলর, নাসিকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শহরের মাত্রাতিরিক্ত যানজটের কারণে বিকল্প উপায় খোঁজ করছিল সিটি কর্পোরেশন। অবৈধভাবে শত শত ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা নগরীর যত্রতত্র প্রবেশ ও চলাচলের কারণে নিয়মিত যানজটের সৃষ্টি হয়। এবার যানজট কমাতে এনসিসি শহরে এসব ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ করবে। তা করতে পুরাতন পায়ে চালিত রিকশার ১৭ হাজার নাম্বার প্লেটের অর্ধেক মিশুক গাড়িকে দেয়ার প্রস্তাব আসে। বলা হয়, যদি এই নাম্বার প্লেটগুলো দেয়া হয় তবে নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট মাত্রায় অটোরিকশা শহরে প্রবেশ করতে পারবে। এতে করে যানজট কমে আসবে। যাদের নাম্বার প্লেট থাকবেনা, তাদের সিটি কর্পোরেশনে চলাচল করতে দেয়া হবেনা। এদিকে প্রস্তাবটি আমলে নিয়ে এটিকে আরো কিভাবে সুন্দর করে সাজানো যায় তা ভাববে এনসিসি এবং এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক বিভাগসহ বিভিন্ন দপ্তরের সাথে বৈঠক করবে। পরবর্তীতে যদি যানজট নিয়ন্ত্রণে এটি কার্যকর মনে হয় তাহলে এ নাম্বার প্লেটগুলো দিয়ে বৈধভাবে মিশুক চলাচলের অনুমতি পাবে সিটি কর্পোরেশনের এলাকায়। তবে এ ব্যাপারে কোন চূড়ান্ত বা প্রাথমিক সিদ্ধান্ত আসেনি। প্রস্তাবটি গুরুত্ব দিয়েই বিবেচনা করবে এনসিসি। যদি কার্যক্রম প্রস্তাব মনে হয় সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে, তবে এটি চুড়ান্ত হতে পারে। স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা বা মিশুক শহরে চলাচল করায় অনেকেই এনসিসির নাম্বার প্লেট জমা দিয়ে এখন পায়ে চালিত রিকশা বাদ দিয়ে মিশুক চালাচ্ছেন। মিশুকে কষ্ট কম ও অল্প সময়ে দ্রুত আয় করা যায় বলে মিশুককে পছন্দ এখন চালকদের। এ কারণে পায়ে চালিত রিকশার নাম্বার প্লেটগুলো অর্ধেকের কম-বেশী নাসিকে ফের জমা পড়ে। সেগুলো এখন এই মিশুককে দিয়ে গাড়ির সংখ্যার হিসাব ঠিক রেখে নাসিক যানবাহনগুলোর মধ্যে ভারসাম্যতা করতে চাচ্ছে।