বায়ুদূষণে শ^াসকষ্ট রোগ বাড়ছে
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট বায়ুতে অক্সিজেনের পরিমাণ যেমন কমছে, তেমনি বিভিন্ন ক্ষুদ্র কণাসহ ক্ষতিকর নানা গ্যাসীয় পদার্থের পরিমাণ বাড়ছে। নিশ্বাসের সঙ্গে এসব ক্ষতিকর পদার্থ টেনে নেওয়ায় আমাদের ফুসফুস আক্রান্ত হচ্ছে। এর কারণে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগে। একইসঙ্গে বাড়ছে ক্যানসারসহ আরও অনেক শারীরিক সমস্যা। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে প্রতিবছর যত মানুষ রোগাক্রান্ত হয়ে মারা যায়, তার প্রায় এক-চতুর্থাংশেরও বেশি মারা যায় বায়ুদূষণজনিত কারণে। এমন অবস্থায়ও বায়ুদূষণ রোধে আমাদের ব্যর্থতা আকাশছোঁয়া! আমাদের বেঁচে থাকতে বায়ুদূষণ কমা হবে। এজন্য আমাদের প্রত্যেকের সচেতন হতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনে আমাদের করণীয় সম্পর্কে জানতে হবে। জলবায়ু পরির্বতন ও বায়ুদূষণ রোধে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ঘরের বাইরে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। একইসঙ্গে আরও যেসব কাজ করতে পারেন তা হচ্ছে: পরিকল্পিতভাবে কারখানাগুলোর ধোঁয়া কমিয়ে আনা। কারখানাগুলো শহরের বাইরে নিয়ে যাওয়া। ট্রাফিক জ্যামের সমাধান। উন্নত জ্বালানি ব্যবহার করা। এয়ার কন্ডিশনার কম ব্যবহার করা। প্রচুর বনায়ন করা, কারণ গাছ বায়ুদূষণ প্রতিরোধে জোরালো ভূমিকা রাখে। বাড়িঘর ও আবাসিক এলাকাগুলো পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা, যেখানে উদ্যান ও পুকুর থাকবে। শুষ্ক মৌসুমে দূষিত শহরগুলোতে দুই-তিন ঘণ্টা পর পর পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করা। নির্মাণ কাজের সময় নির্মাণ স্থান ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ঢেকে নেওয়া। রাস্তায় ধুলা সংগ্রহের জন্য সাকশন ট্রাক ব্যবহার করা। অবৈধ ইট-ভাটা বন্ধ করে উন্নত প্রযুক্তির সেন্ড বøকের প্রচলন বাড়ানো। ব্যক্তিগত গাড়ি ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করা। এছাড়া গাছ লাগানো, ছাদবাগানে উৎসাহিত করা, জলাধার সংরক্ষণ সেই সঙ্গে নির্মল বায়ু আইনের বাস্তবায়ন ও পরিবেশ সংরক্ষণে বাজেটের ওপর গুরুত্ব দেওয়া।