ফতুল্লায় মিতুর মৃত্যু নিয়ে ধু¤্রজাল
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট ফতুল্লায় ইটালী প্রবাসীর কন্যা ও যুবলীগ নেতার ৩য় স্ত্রী আয়েশা আক্তার মিতু (২৬) নামের এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সংসারে কোন অভাব অনটন না থাকার পরও মিতু কেন গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করলো এলাকাবাসীর মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। গত সোমবার বিকেলে ফতুল্লার পুলিশ লাইন সংলগ্ন আফাজ নগর এলাকাস্থ ভাড়াটিয়া ফ্লাট থেকে পুলিশ মিতুর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেন। নিহত তরুণী মিতু শরিয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার মূলফুতগঞ্জের ইটালী প্রবাসী হান্নান মিয়া ও হালিমা ঢালীর মেয়ে ও ফতুল্লার শাসনগাঁও ভাঙ্গা ক্লাব এলাকার যুবলীগ নেতা সোহেলের স্ত্রী। সোহেল মাতবের এটি দ্বিতীয় বিয়ে বলে জানা যায়। এদিকে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সোহেল মাদবর ওরফে তিল্লা সোহেল নিহত মিতুর খালু হয়। মিতুর খালা সোহেলের প্রথম স্ত্রী। প্রথম স্ত্রী রেখে সোহেল আরেকটি বিয়ে করে। সোহেলের প্রথম স্ত্রীর বড় বোন হালিমা ঢালী। আর হালিমা ঢালীর মেয়েকে সোহেল বিয়ে করে। যুবলীগ নেতা সোহেল তার জেঠাসের মেয়ে মিতুকে বিয়ে করার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা সৃষ্টি হয়। তাদের বিয়ে নিয়ে যখন আলোচনা সৃষ্টি হয় তখন সোহেল তার লোকজন দিয়ে প্রচার করে সোহেল তার প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দিয়েছে। তালাক দেয়ার পর স্ত্রীর পরিচয় থাকে না ঠিক তেমনি তালাক দেয়ার স্ত্রীর বড় বোনও জেঠাস হয় না। যার কারনে মিতুকে বিয়ে করাটা কোন অন্যায় হয়নি বলে দাবি করে। এমন কথা শুনে সমাজের লোকজন সোহেলকে নিয়ে ধিক্কার দিতে থাকে। ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন মোল্লা নিহতের পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে জানায়, নিহত তরুনী সহ বাবা মা ইতালী প্রবাসী। তিন বছর পূর্বে সে ইতালী থেকে বাংলাদেশে আসে। তার বাবা মাও ইটালীতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে। নিহত তরুনীর আগে আরো দুটি বিয়ে হয়েছিল এবং প্রথম সংসারে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। আগের দুই স্বামী ডিভোর্স হওয়ার পর গত চার মাস আগে বিসিকের স্থানীয় যুবলীগ নেতা সোহেল মাতবর ওরফে তিল্লা সোহেলের সাথে বিয়ে হয়। সোমবার সকালে নিহত তরুণী বিসিকস্থ স্বামীর বাড়ী থেকে মায়ের বাড়ী আফাজ নগরে আসে। পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াদী নিয়ে নিহতের সাথে তার পরিবারের সদস্যদের সাথে মনমালিন্য এবং কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে নিহত তরুণী তার মায়ের ঘরে প্রবেশ করে দরজা লাগিয়ে দেয়। সোমবার বিকেলে নিহতের মা সহ ভাইয়েরা ডাকাডাকি করে কোন সারশব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে দেখতে পায় সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচানো নিহতের ঝুলন্ত দেহ। পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রæত খানপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের তদন্তের জন্য ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়।