বন্দরে ক্রমশই বাড়ছে অটো ছিনতাই ও চালক হত্যা
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট বন্দরে নিরাপদ নয় অটো চালকরা। অটো চরি, ছিনতাইসহ হতে হচ্ছে খুনের শিকার। অটো ছিনতাই চক্রের হাতে এ পর্যন্ত কয়েকজন চালকের প্রাণ হারাতে হয়েছে। এছাড়া অটোবাইক, মিশুক ছিনতাই বা চুরির কারণে অনেক চালক সর্বস্ব হারিয়ে মালিককে দিতে হচ্ছে জরিমানা। এছাড়াও বিভিন্ন জেলা থেকে এসে অপরিচিত চালকরা অটো রিকশা বা মিশুক নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। তাছাড়া অদক্ষ চালকের কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় অনেক পথচারীর মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। তবে সব চেয়ে বেশী ঘটেছে অটো চালক খুনের ঘটনা। জীবিকা স্বার্থে অটো চালকরা বিভিন্ন এলাকায় যাত্রী বহন করে যেতে হয়। অটো রিকশার বা মিশুকের কোন নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড নেই। যে যেখানে যেতে চায় তাকে নিয়ে সেখানেই যেতে হয়। আর সুযোগে খুনি ছিনতাইকারী চক্র তাদের ভাড়া করে নির্জন স্থানে নিয়ে হত্যা করে অটো ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। বন্দরসহ নারায়ণগঞ্জ জেলার অটোরিক্সা মিশুক সিএনজি চালকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই কাজ করতে হচ্ছে। আর কয়েক দিন পর পরই শুনা যায় অটো ছিনতাই বা চালক খুনের ঘটনা। আর এ সকল ছিনতাইকারী বা চোর চক্রের সাথে কতিপয় রিকশা গ্যাজের মালিকদের সাথে সখ্যতা রয়েছে। তারা চোরাই রিকশা বা অটো অল্প দামে কিনে তড়িগড়ি করে খুলে নতুন কারে সাজিয়ে আবার অন্যত্র বিক্রি করে। এ অভিযোগ অহরহ রয়েছে। বিভিন্ন সময় পুলিশ চোরদের কাছে থেকে ক্রয় করা রিকশা উদ্ধার করেছে কোন কোন রিকশা গ্যারেজ থেকে। আর এসব দুবির্ত্তরা অনায়াসে অপরাধ করে পার পেয়ে যাচ্ছে। যদিও র্যাব একাধিক ছিনতাকারী খুনি চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করতে পেরেছে কবে এখন এর মূল হোতারা রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তবে সাধারণ মানুষ মনে করেন, প্রশাসন চাইলেই এসব দুবৃত্তদের সহজেই নির্মূল করতে পারেন। গত ৩০ জানুয়ারী বন্দরের মদনগঞ্জ পিএম রোড এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে আলামিনকে ছিনতাইকারীরা যাত্রী বেশে তার চড়ে তাকে সোনারগাঁ নিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। ছিনতাইকারীরা তার মৃত্যু নিশ্চিত মনে তাকে তাকে উলঙ্গ অবস্থায় নির্জন স্থানে ফেলে রেখে অটো রিকশা নিয়ে চলে যায়। অনেক ক্ষণ অচেতন থাকার পর স্থানীয়দের সহায়তায় তিনি বেঁচে ফিরেন। তাকে স্থানীয়রা হাসপাতালে ভর্তি করে। ছিনতাইকারীদের নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, তাকে সোনারগাঁ যাওয়ার কথা বলে ৩জন ছিনতাইকারী তার অটো রিকশায় চড়েন। তাকে সোনারগাঁয়ের নির্জন স্থানে নিয়ে তাকে হাত-পা বেধে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আগুনের ছ্যাকা দিয়ে সারা শরীর জ¦লছে দেয়। এছাড়া ইট ও রড দিয়ে তার মাথা এভং শরীরে আঘাত করে। এর পর সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। বর্তমানে প্রায় পঙ্গু অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর পরিবার নিরুপায় হয়ে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অপরাধীদের পুলিশ গ্রেফতার করে আইনের আওয়ায় আনবেন এ প্রত্যাশায় রয়েছেন ভুক্তভোগির পরিবার। এদিকে সচেতন মহল মনে করেন এ ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ একটু ত’পর হলেই অপরাধী চক্রটি গ্রেফতার করতে পারেন। এ পর্যন্ত বন্দরের সাবদী, কলাগাছিয়ার মোহনপুর ও পুরানবন্দর এলাকা থেকে এধাধিক অটো চালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ যারা সকলেই ছিনতাইকারীদের হাতে খুন হয়েছে।