আজ সোমবার | ১১ আগস্ট ২০২৫ | ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৬ সফর ১৪৪৭ | রাত ৯:১৭

শেখ হাসিনার না থাকলে মুক্তিযোদ্ধার সম্মান টুকুও পেতেন না: সেলিম ওসমান

ডান্ডিবার্তা | ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ | ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট সদর-বন্দর আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান বলেন, শেখ হাসিনার না আসলে আপনারা মুক্তিযুদ্ধ ভবন, ভাতা পেতেন না। আপনারা মুক্তিযোদ্ধার সম্মানটাও পেতেন না। আমার মতে একজন মুক্তিযোদ্ধার থেকেও বেশি সম্মানিত হয়ে মিলন ভাই চলে গেছেন। ওমরার করতে গিয়ে সেখানে মারা যাওয়া এবং সেখানেই দাফন হওয়া এর থেকে বড় সম্মান আর কথায় হয় আমার জানা নেই। জীবনের শেষ সময়টা তিনি মক্কা মদিনায় কাটিয়েছেনে এবং হাসি মুখে আল্লাহর কাছে চলে গেছে। এমন একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং মুমিন আমাদের সঙ্গে ছিল কিন্তু আমরা বুঝতে পারিনি। গতকাল শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা ইউনিট কমান্ড কার্যালয়ে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সামিউল্লা মিলনের মৃত্যুতে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে এ কথা বলেন তিনি। প্রধান অতিথির বক্তব্য তিরি আরও বলেন,  আজ আপনাদের সামনে বসেই জানতে পারলাম বন্দরে আরেকজন মুক্তিযোদ্ধা মারা গেছেন। আসলে আমরা কে কখন মারা যায় সেটা আমরা কেউ বলতে পারিনা। দেখতে দেখতে মিলন ভাই আমাদের মাঝখানে চলে গিয়েছে। মিলন ভাই সব সময় মানুষের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। কার কখন কি প্রয়োজন, কার মেয়ের বিয়ে হবে, কার ছেলে লেখাপড়া হচ্ছে না সে সম্বন্ধে তিনি সবসময় খেয়াল রাখতেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে মিলন ভাই অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের অনেক ভালবাসতেন। তিনি নিজে একজন মুক্তিযোদ্ধো ছিলেন সেটা কখনো মনে করতেন না। তিনি মনে করতেন মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা করাই হয়তো তার কাজ। তার জীবনের এতো দিন মুক্তিযোদ্ধার সেবায়, জনগণের সেবায় পাড় করে দিয়েছেন। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা পয়সা জন্য যুদ্ধ করতে যাইনি, দেশের স্বার্থ জনগণের স্বার্থে যুদ্ধ করতে গিয়েছিলাম। আমরা মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলাম বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে। তিনি বলছিলেন, তোমাদের কাছে যা আছে তাই নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ো। আমরা তখন চিনতাম না বন্ধুক কি? রাইফেল কি? কিন্তু আমাদের কাছে যা ছিল সেটা নিয়ে আমরা ঝাপিয়ে পড়েছি। যুদ্ধ করে স্বাধীন করতে আমাদের নয় মাস লাগতো না যদি আমাদের মাঝখানে মীরজাফর না থাকতো। মুক্তিযুদ্ধের পর জননেত্রী শেখ হাসিনা এসেই মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিয়েছেন। যে নিজের অসুস্থ থেকে আমাদের সুস্থ রাখার কথা চিন্তা করেছেন। আমাদের উচিত সেই দেশরতœ শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করা। আমাদের যেন বাংলাদেশের মানুষকে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ভালো রাখতে পারেন। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে পেরেছে জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য। তিনি আশাতেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আজ ছোট-বড় সবাই জানতে পেরেছে। এমপি সেলিম ওসমান বলেন, আমরা চাই এমন আমরা মুক্তিযোদ্ধারা এখানে প্রায় মাসে একবার হলেও যেন বসতে পারি। আমরা যাতে জানতে পারি যে আমাদের মাঝখানে কারা আছেন এবং কারা চলে গেলেন। আমি আসার পর জেনেছি ফিরোজ মেম্বার মারা গেছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমরা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ভালো আছি এবং যারা চলে গেছেন আল্লাহতালা যেন তাদেরকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করেন। দোয়ায় নারায়ণগঞ্জ জেলা দিপুটি কমান্ডার এড নুরুল হুদার সভাপতিত্বে এবং সদর উপজেলা কমান্ডার শাজাহান ভূঁইয়া জুলহাসের উপস্থাপনায় আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নুরুন্নবী, ১৭ নম্বর ওয়ার্ড পাইকপাড়া ইউনিট কমান্ডার নুর উদ্দিন মিয়া, তাছাড়া মিলন মিয়ার ছেলে উজ্জ্বল এবং উত্তপল।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা