আজ সোমবার | ১১ আগস্ট ২০২৫ | ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৬ সফর ১৪৪৭ | রাত ১১:৫০

চাষাড়া শহীদ মিনারে কলেজ ছাত্রীর প্রকাশ্যে ধূমপান!

ডান্ডিবার্তা | ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ | ১১:১৮ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট ধুমপানসহ বিভিন্ন প্রকারের মাদকের পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও এগিয়ে যাচ্ছে তা মিলিয়ে। ছেলে কিংবা পুরুষ বন্ধুদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে মেয়েদেরকে সিগারেটসহ বিভিন্ন প্রকাশ নেশাজাতীয় দ্রব্যের প্রতি আগ্রহটা বাড়ছে অনেকাংশে। তবে স্কুল-কলেজ কিংবা ভার্সিটি পড়–য়া শিক্ষার্থীরা ইদানিং সিগারেটসহ নানা প্রকার মাদকের আসক্তের পরিমানটা অনেকটাই বেশী। (সধযধসঁফঁষ রংষধস ংযধঁৎড়া) নামে এক ব্যক্তির ফেসবুক আইডি থেকে ছবি থেকে দেখা যাচ্ছে চাষাড়া শহীদ মিনারের বেদীতে বসেই নারায়ণগঞ্জ সরকারী মহিলা করেজের এক শিক্ষার্থীকে দেখা যাচ্ছে প্রকাশ্যেই সিগারেট ফুঁকছেন। দুই আঙ্গুলের ফাঁকে সিগারেটটি রেখে হাস্যেজ্জলভাবে অন্যত্র তাকিয়ে রয়েছে। বিষয়টি দেখে শহীদ মিনারের অভ্যন্তরে হতবাক হলেও হতবাক হয়নি সেই কলেজ ছাত্রীটি। হাসিমাখা মুখেই সে প্রকাশ্যে নির্লজ্জের মতই যেন সিগারেটটি ফুঁকছেন। শুধু শহীদ মিনার নয় শহর ও শহরতলীর প্রতিটি বিনোদন কেন্দ্রে এবং চায়ের দোকানগুলো এমন দৃশ্য যেন অহরহ ব্যাপারে দাড়িয়েছে। কারোর দৃষ্টিতে পড়লে মাঝে-মধ্যে এসকল মেয়েদেরকে বাধা প্রদান করলে উল্টো বিপদে পড়ছেন বাধা প্রদানকারী। কারন হিসেকে উক্ত মেয়েদের দাবী, তারা তাদের বাবা-মায়ের টাকাতেই নাকি সিগারেট ক্রয় করে ফুঁকছেন। তাতে আপনাদের কি? অপরাধীর মুখে এ ধরনের কথা শোনামাত্র সেখানেই চুপসে যান প্রতিবাদী। চাষাড়া শহীদ মিনারটি যেন তিন কলেজের ( সরকারী তোলারাম কলেজ,নারায়ণগঞ্জ মহিলা কলেজ ও নারায়ণগঞ্জ কলেজ) ক্যাম্পাসে পরিনত হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা তো রয়েছেনই। প্রতিদিনই বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজ ফাঁকি দিয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়ার পাশাপাশি সিগারেটসহ বিভিন্ন প্রকারের মাদক সেবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন। আর অভিভাবকরা যেন তাদের সন্তানকে স্কুল কিংবা কলেজের পাঠিয়েই তাদেও দ্বায়িত্বটুকু সমাপ্ত করে দেন। কিন্তু শিক্ষার্জন করতে গিয়ে সেখানে তারা কতটুকু শিক্ষা গ্রহন করছেন তা যেন দেখভালের কথাটুকু মন থেকে মুছে ফেলেছেন। আর অভিভাবকদের এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে সুশিক্ষার পরিবর্তে দিনের পর দিন তারা মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে আর বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছেন। শহীদ মিনারে আগত অনেক সাধারন মানুষ বলেন, অনেক সময় দেখা যায় যে, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এখানে স্কুল কলেজের ছেলে-মেয়েরাই অবস্থান নেয়। তাহলে ওরা ক্লাস করে কখন? আর এর ভেতরে বসে ওরা যা করে তা বলার ভাষা জানা নেই। সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে বাবা-মা যে পরিশ্রম করছে তা প্রতিটি সন্তানই জানে। তারপরও ওরা কিভাবে দিনের পর দিন ওদেরকে ধ্বংস করতে সবকিছু জেনে। তাছাড়া স্কুল-কলেজের শিক্ষকরাই কি করছে? তারা কেনইবা শিক্ষার্থীরা প্রতিদিনের উপস্থিতিকে প্রাধান্য দিচ্ছেননা। আর অনেকের ভাষ্য যে,শহীদ মিনারের পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের এরুপ বেলাল্লাপনা বন্ধে শহীদ মিনারে মাঝে-মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালত বসানো উচিত। এদিকে প্রকাশ্যে কিংবা অন্তরালে মেয়েরা যেভাবে সিগারেটসহ বিভিন্ন মাদকে আসক্ত হচ্ছে সে বিষয়ে যদি অভিভাবক কিংবা রাষ্ট্র এখন থেকে কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেয় তাহলে এর দায় ভবিষ্যতে রাষ্ট্র কিংবা অভিভাবককেই বহন করতে হবে বলে অভিমত বিশিষ্টজনদের। মেয়েদের ধুমপানের বিষয়ে বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিভিন্ন রিসার্স সংস্থা থেকে যা ফুটে উঠেছে তাহলে মেয়েদেরকে ভয়ংকর রোগের মুখোমুখি হওয়া পাশাপাশি রাষ্ট্রেও জনসংখ্যা কমতে পারে বলে অভিমত। মেয়েদের ধুমপানের ফলে যে ক্ষতি তা হলো, যে মহিলারা ধূমপান করেন তাদের জীবনের আগে আরও গুরুতর ঈঙচউ হতে পারে। যে মহিলারা ধূমপান করেন তাদেরও মৌখিক গহ্বর, গলবিল, স্বরযন্ত্র (ভয়েস বক্স), খাদ্যনালী, অগ্ন্যাশয়, কিডনি, মূত্রাশয় এবং জরায়ুর ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। তারা করোনারি হৃদরোগের জন্য তাদের ঝুঁকি দ্বিগুণ করে। ধূমপান উর্বরতা হ্রাস করতে পারে, ১ গর্ভধারণ করা কঠিন করে তোলে । ধূমপান নেতিবাচকভাবে হরমোন উত্পাদন প্রভাবিত করতে পারে। ধূমপান এবং তামাকের ধোয়ার এক্সপোজার প্রজনন সিস্টেমের ক্ষতি করতে পারে। ধূমপান শুক্রাণুর ডিএনএ ক্ষতি করতে পারে। যে মহিলারা ধূমপান করেন তাদের গর্ভবতী হতে বেশি অসুবিধা হয় এবং কখনও গর্ভবতী না হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। গর্ভাবস্থায় ধূমপান অনাগত শিশুর টিস্যুর ক্ষতি করতে পারে, বিশেষ করে ফুসফুস এবং মস্তিষ্কে, এবং কিছু গবেষণা মাতৃ ধূমপান এবং ফাটল ঠোঁটের মধ্যে সংযোগের পরামর্শ দেয়। অধ্যয়নগুলি তামাক এবং গর্ভপাতের মধ্যে সম্পর্কের পরামর্শ দেয়। তামাকের ধোঁয়ায় থাকা কার্বন মনোক্সাইড বিকাশমান শিশুকে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পেতে বাধা দিতে পারে। তামাকের ধোঁয়ায় অন্যান্য রাসায়নিকও থাকে যা অনাগত শিশুদের ক্ষতি করতে পারে। যে মায়েরা ধূমপান করেন তাদের বাচ্চা প্রসবের সম্ভাবনা বেশি থাকে। প্রিটার্ম ডেলিভারি নবজাতকদের মধ্যে মৃত্যু, অক্ষমতা এবং রোগের একটি প্রধান কারণ। গর্ভাবস্থায় ধূমপানকারী মায়েদের প্রতি পাঁচজন শিশুর মধ্যে একজনের জন্ম ওজন কম। যে মায়েরা গর্ভাবস্থায় সেকেন্ডহ্যান্ড ধূমপানের সংস্পর্শে আসেন তাদের কম ওজনের বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। খুব ছোট বা খুব তাড়াতাড়ি জন্ম নেওয়া শিশুরা ততটা সুস্থ নয়। যে সকল শিশুর মায়েরা গর্ভবতী অবস্থায় ধূমপান করেন এবং যে সকল শিশু জন্মের পর সেকেন্ডহ্যান্ড ধূমপানের সংস্পর্শে আসে তারাই সিগারেটের ধোয়ার সংস্পর্শে না আসা শিশুদের তুলনায় সাডেন ইনফ্যান্ট ডেথ সিনড্রোম (ঝওউঝ) থেকে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। শিশু যাদের মায়েরা ধূমপান করেন তাদের (ঝওউঝ) থেকে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় তিনগুণ বেশি। যেসব শিশুর মায়েরা গর্ভাবস্থায় ধূমপান করেন বা যারা জন্মের পর সেকেন্ডহ্যান্ড ধূমপানের সংস্পর্শে আসেন তাদের ফুসফুস অন্যান্য শিশুদের তুলনায় দুর্বল থাকে, যা অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা