বিআরটিএ’র অনুমোদন ছাড়া কোন গাড়ি সড়কে চলবেনা: শামীম ওসমান
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেন, আমি এমপি হওয়ার পরও গাড়ি রাখার জন্য আলাদা জায়গা ভাড়া করেছি। আর অন্যান্যরা রাস্তার উপরে গাড়ি রাখছে এই জিনিসটা প্রশাসনের দেখা উচিত। আমার মতে, বিআরটিএ’র পারমিশন ছাড়া কোন গাড়ি সড়কে চলাচল করতে দেয়া যাবে না। এবং বিআরটিও অতগুলো গাড়ি পারমিশন দেবে না যতগুলো সড়কে দরকার নেই। এখানে অগ্রাধিকার পাবেন যারা নারায়ণগঞ্জে বসবাসকারী ব্যবসায় আছেন। যারা নিজেরা ট্রান্সপোর্ট ব্যবসা করেন তাদেরকে আগেও মূল্যায়ন করতে হবে। কারণ তারা আমাদের এলাকার মানুষ এবং আমাদের এলাকার ব্যবসায়ী। গতকাল শনিবার প্রেস ক্লাব ভবনে নগরীর যানজট ও ফুটপাত দখল সমস্যা সমাধানের এক গোল টেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি আরিফ আলম দিপু। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ও সমন্বয়কারী হিসেবে ছিলেন প্রেস ক্লাবের কার্যকরী পরিষদের সদস্য আফজাল হোসেন পন্টি ও জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুস সালাম। শামীম ওসমান আরও বলেন, মীর চুমলা এখন সম্পূর্ণ বন্ধ। আমি একটি রুট বলতে পারি, আপনাদের পছন্দ হলে সেই অনুযায়ী কাজ করেন। নারায়ণগঞ্জ মীরচুমলা সড়ক থেকে একটা গাড়ি ঢুকবে, গাড়িটি সোজা বাস টার্মিন চলে যাবে। যদি আইভি আমি আর সেলিম ওসমান সাহেব একসাথে কাজ করি তাহলে এটা সম্ভব যদি বন্দরের মানুষ কিছু মনে না করেন। হাই স্কুলের সামনের জ্যাম কমানো সম্ভব হবে না যদি ট্রেন বন্ধ না হয়। একটা ছোট শহর থেকে যদি একটা ট্রেন দিনে ১৬ বার আসে যায় তাহলে যানজটতো হবেই। এটা ঠিক করতে পুলিশ কেন ফেরেশতার পক্ষে সম্ভব না। আমরা রেল মন্ত্রণালয়ে কথা বলতে পারি যদি চাষাঢ়া হলে ২নং গেইট পর্যন্ত রেল লাইন টা উঠিয়ে দেওয়া যায় তাহলেই সম্ভব এই জ্যাম কমানো। চাষাড়া হতে ২নং রেল লাইনের এই সড়কটি যদি সেটা কর্পোরেশনের আওতায় নিয়ে যাওয়া যায়। তাহলে এই সড়ক থেকে বাস আসবে শহরে ঢুকবে। মীর চুমলা সড়ক দিয়ে যাবে এবং সিটি কর্পোরেশনের সড়ক দিয়ে বের হয়ে যাবে। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সড়কটি ১২০ ফুট চওড়া হচ্ছে তাহলে আমরা এই সড়কটাকে একটু উঁচু করে নিয়ে সড়ক মন্ত্রণালয়ের সাথে আলাপ করে যদি একটা ফ্লাইওভার দিয়ে সড়কটির সাথে সংযোগ করে দিতে পারি ভালো হয়। গাড়িগুলো ফ্লাইওভার দিয়ে উঠে যাবে। ডাকবাংলা এবং পুলিশের অফিস আছে এখানে জেলা প্রশাসক বলেছেন যে আমরা উন্নয়নের জন্য ভাঙতে পারবো সমস্যা নেই। ডাকবাংলা এবং পুলিশের অফিস ভেঙ্গে যদি ওই ফ্লাইওভারের সাথে মীর চুমলা সড়ক সংযোগ করে দেওয়া যায় তাহলে এই শহরে আপনি টেরও পাবেন না যে গাড়ি চলছে। গোল টেবিল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, সদর-বন্দর আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক, নারায়ণগঞ্জ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আমীর খসরু, বিকেএমইএ এর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরশেদ সারোয়ার সোহেল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) রুহুল আমিন সাগর, বিআরটিএ এর সহকারী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. শামসুল কবিরসহ জনপ্রতিনিধি ও সকল শ্রেণীপেশার মানুষ।