সিদ্ধিরগঞ্জে নারীর ফাঁদে ফেলে বø্যাকমেইল
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট সিদ্ধিরগঞ্জে নারী দিয়ে ফাঁদ পেতে ব্যবসায়ী, চাকুরিজীবি ও সম্মানিত ব্যাক্তিদের বাড়িতে ডেকে এনে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। এ চক্রটি নিজেদের আইনশৃঙ্খলা বাহীনি ও গণমাধ্যমকর্মী পরিচয় দিয়ে থাকে বিধায় ভুক্তভোগীরা ইচ্ছে থাকলেও আইনের আশ্রয় নিতে সাহস পাচ্ছেনা। এছাড়াও এ চক্রের সদস্যরা ভুক্তভোগীদের জোরপূর্বক বাধ্য করে তাদের আপক্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করে রাখে বলে মান সম্মানের ভয়েও এ বিষয়ে পুলিশের সহায়তা নিতে চাননা। এদিকে একাধিক ভুক্তভোগী তাদের নাম পরিচয় না প্রকাশের শর্তে এ প্রতিবেদককে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য প্রদান করেন। তারা বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন কৌশলে পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এ চক্রটি। এ চক্রের মূলহোতা হচ্ছেন বাদশা, সুমন দুই প্রতারক। তাদের মূল সহযোগী হলো ইরিনা, মুচকান, নুসরাত,ও লিপি। তাদের অধীনে রয়েছে একাধিক সুন্দরী নারী। এদের অনেকেই আবার নিজেদের মডেল বলে উপস্থাপন করে। মূলহোতাদে মধ্যে সুমন অটো চালক, বাদশা ইপেিজড গার্মেন্টস কর্মী তারা নিজেদের ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে সমাজের উচ্চবিত্ত ব্যক্তিদের সাথে সম্পর্ক তৈরী করে তাদের মোবাইল নাম্বার, ফেসবুক আইডি সংগ্রহ করে ইরিনা নামে এক সুন্দরী নারীর কাছে পাঠিয়ে দেয়। পরে ওই গ্রæপের নারীরা মাঠে নেমে পড়ে তাদের নির্দিষ্ট টার্গেটে। ছলেবলে কৌশলে তাদের সাথে গড়ে তোলে প্রেমের সম্পর্ক। ধীরে ধীরে তাদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরীর অভিনয়ে কাছে ডেকে নিয়ে যায় তাদের নির্ধারিত আস্তানায়। এরপর সেখানে পাল্টে যায় তাদের রুপ। নেমে আসে অত্যাচারের খড়গ। নেমে পড়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার কৌশলে। ওই সময়ই সাংবাদিক, পুলিশসহ বিভিন্ন পরিচয়ে বাদশা ও সুমন হানা দেয়। তারপর মেয়েদের দিয়ে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারন করে প্রকাশ করে দেয়ার ভয় দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়। এমন এক ভুক্তভোগীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সুমন কৌশলে তার পাতানো নারীদেরকে দিয়ে মোবাইল ফোনে অভিনব পন্থা অবলম্বন করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের ফ্যাটে নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পর তিনি দেখেন ওই ফ্ল্যাটে ইরিনাসহ একাদিক সুন্দরী মেয়ে রয়েছে। এক পর্যায়ে বাদশা এসে ওই সব মেয়েদের দিয়ে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারন করে প্রকাশ করে দেয়ার ভয় দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়। অনুসন্ধানে জানা যায়, বাদশা ও সুমন এভাবে বø্যাকমেইল করে নাম নাবলার শর্তে একাধিক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। প্রথমে বিভিন্ন ধনাঢ্য ব্যক্তিদের ফোন নাম্বার সংগ্রহ করে নারীদের দিয়ে যোগাযোগ স্থাপন করানো হয়। পরে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের কথা বলে নিজেদের ঠিক করা ফ্ল্যাট বাসায় আনা হয় এবং টার্গেটকৃত ঐ ব্যক্তিদের বাদশা ও সুমনের পালিত নারীদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করার পরিবেশ তৈরী করে। এসময় তাদের লোকজন উক্ত ফ্লাটে উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগীদের নগ্ন ছবি ও ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে এবং শারীরিক নির্যাতন করে। পরে ধনাড্ড ব্যক্তিদের বøাকমেইক করে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেয় বাদশা, সমনসহ তার সহযোগীরা। দীর্ঘদিন ধরে সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ফ্লাট বাসা ভাড়া নিয়ে এ কাজ করে আসছে তারা। কাজের সুবিধার্থে নিজেদের অপরাধ আড়াল করতে কিছুদিন পর পর তারা তাদের বাসা পরিবর্তন করে। এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, এরকম একটি অভিযোগ পেয়েছি। এদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে। আশা করি দ্রæত এদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।