শিমরাইল মোড়ে রিক্সা-মিশুক থেকে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে রিক্সা-মিশুক-ভ্যান মালিক শ্রমিক পরিষদের নামে চলছে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি। খানকায়ে জামে মসজিদের সামনে থেকে চালাচলরত ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও মিশুক থেকে টোকেনের মাধ্যমে আদায় করা হচ্ছে চাঁদা। দৈনিক ৩০ টাকা করে সহস্রাধিক বাহন থেকে কমপক্ষে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করছে সংগঠনের সভাপতি মামুন খান। যা মাসে দাঁড়ায় ৯ লাখ টাকা। জানা গেছে, শিমরাইল মোড় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উত্তর পাশে নাসিক ৩ নং ওয়ার্ডের খানকায়ে জামে মসজিদের সামনে থেকে বটতলা, রসুলবাগ হয়ে ডেমরার স্টাফ কোয়ার্টার পর্যন্ত প্রতিদিন সহস্রাধিক ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও মিশুক চলাচল করছে। এসব বাহন থেকে দীর্ঘদিন ধরে “সিদ্ধিরগঞ্জ রিক্সা-মিশুক-ভ্যান মালিক শ্রমিক নম্বনয় পরিষদ” এর নামে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রন করছেন সংগঠনটির সভাপতি মো. মামুন খান। চাঁদা আদায় করার জন্য লাইনম্যান হিসেবে শামীম ও রকি নামে দুইজনকে নিয়োজিত করেছেন মামুন খান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অটোরিকশা চালক বলেন, খানকায়ে জামে মসজিদের সামনে থেকে বটতলা, রসুলবাগ, মাদনীনগরসহ বিভিন্ন এলাকায় গাড়ি চালাতে হলে দৈনিক ৩০ টাকা চাঁদা দিতে হয়। চাঁদা না দিলে গাড়ি চলতে দেয় না। তাই নিরুপায় হয়ে চাঁদা দিয়েই গাড়ি চালাতে হচ্ছে। চাঁদা আদায়কারী রকি বলেন, আমি বেতনভুক্ত কর্মচারি। যানজট নিরসনের জন্য মামুন ভাই আমাকে এখানে দায়িত্ব দিয়েছেন। চালকরা খুশি হয়ে ২০-৩০ টাকা করে দিচ্ছে। জানতে চাইলে সংগঠনের সভাপতি মামুন খান বলেন, আমাদের সংগঠনের নামে কোন চাঁদা উত্তোলন করা হয়না। এলাইন দেখাশোনা করে শামীম। তার সাথে কথা বলেন। শামীমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তার বোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। স্থানীয় কাউন্সিল শাহজালাল বাদল বলেন, চাঁদা আদায়ের বিষয়ে আমার জানা নেই। খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি। আমার ওয়ার্ডে কোনা রকম চাঁদাবাজি করতে দেওয়া হবে না। হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. একেএম শরফুদ্দিন বলেন, মহাসড়কের পাশে হলেও ঐ রাস্তাটি আমাদের আওতার মধ্যে নয়। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, চাঁদাবাজির বিষয়টি আমি অবগত নই। কেই কোন অভিযোগ করেনি। কেউ চাঁদাবাজি করলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।