আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | রাত ১২:২১

তারেকের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতাশ বিএনপির নেতাকর্মীরা

ডান্ডিবার্তা | ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ | ৯:০৮ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার যোগাযোগ নেই নেতাদের। তিনি বিএনপির কোনো শীর্ষ নেতাদের ফোন ধরছেন না। তাদের সাথে যোগাযোগও করছেন না। কদিন আগেও বিএনপির নেতাদের সঙ্গে প্রতিদিনই যোগাযোগ করতেন। শুধু নেতাদের সঙ্গে নয়, তৃণমূল বিএনপির বিএনপি নেতৃবৃন্দের সঙ্গেও নিয়মিত ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করতেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলতেন। কিন্তু গত ৩ দিন ধরে তার কোন খবর পাওয়া যাচ্ছে না। গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সিদ্ধান্তের জন্য দলের শীর্ষস্থানীয় নেতা ড. মঈন খান তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন কিন্তু যে ফোনে তিনি যোগাযোগ করেন, সেই ফোনে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি ফোন ধরছেন না। একাধিক সূত্র বলছে, তারেক জিয়া হয়তো হতাশ হয়েই বিএনপি নেতাদের ফোন ধরছেন না কিংবা অন্য কোন ব্যস্ততার কারণে তিনি নেতাদেরকে এখন এড়িয়ে চলছেন। আর এর ফলে বিএনপির মধ্যে হতাশা আরও দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। নির্বাচনের পর থেকেই বিএনপির মধ্যে এক ধরনের হতাশা তৈরি হয়েছিল। অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করেন যে, নির্বাচনের পর থেকে নয়, আসলে বিএনপির মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছিল আরও আগে থেকেই। ২৮ অক্টোবর বিএনপির কৌশল ভুল প্রমাণিত হওয়ার পর থেকেই।বিএনপিতে সৃষ্টি হয় হতাশা এবং এক ধরনের আতঙ্ক। এদিন বিএনপির শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের বদলে হঠকারী আন্দোলনের পথ বেছে নেয়। সরকার ওই পরিস্থিতি কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। আর এই নিয়ন্ত্রণের প্রেক্ষিতে বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতা গ্রেপ্তার হন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ এর মতো নেতারা আটক হয়ে এখনও কারাগারে আছেন। বিএনপির নেতারা মনে করেছিল যে, এইভাবে নির্বাচন করলে শেষ পর্যন্ত সরকার পার পাবে না। কিন্তু ৭ জানুয়ারি বিএনপির বাধা বিপত্তি সত্তে¡ও সরকার নির্বাচন করতে সক্ষম হয় এবং নির্বাচনের পরে দেখা যায় যে আন্তর্জাতিক পরিমÐলে এক ধরনের পরিবর্তিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বিশ্বে যে দেশগুলো একতরফা নির্বাচনের বিরোধিতা করেছিল, যে দেশগুলো নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হবার করার জন্য তাগিদ দিয়েছিল, তারাই এখন সরকারের সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানাচ্ছে। সর্বশেষ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অংশীদারিত্বের সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছেন। আর এর ফলে নির্বাচন নিয়ে যে আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা সঙ্কট ছিল, তা পুরোপুরিভাবে কেটে গেছে। এটি বিএনপির হতাশাকে চূড়ান্ত সীমায় নিয়ে গেছে বলে অনেকে মনে করছেন। তারেক জিয়া বিএনপির নেতৃবৃন্দকে বলেছিল, আর যাই করুক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনকে মেনে নেবে না এবং নির্বাচনের পরপর সরকারের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা সহ বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল যে, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনকে ত্রæটিপূর্ণ বললেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকারকে মেনে নিয়েছে। তা ছাড়া নির্বাচনের পর বিএনপির কর্মীরাও এখন আত্ম উপলব্ধির চেষ্টা করছে। বিএনপির আন্দোলন কেন ব্যর্থ হল, নেতৃত্বের ব্যর্থতা ইত্যাদি নিয়ে বিএনপির ভেতরে এখন তোলপাড় চলছে। এই বাস্তবতায় বিএনপির জন্য আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। গত ৩০ জানুয়ারি বিএনপি কালো পতাকা মিছিল করেছিল কিন্তু সেই মিছিলে নেতাকর্মীদের উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল না। কর্মীদের উপস্থিতিও ছিল কম। সাধারণ জনগণও বিএনপির আন্দোলনের ব্যাপারে আগ্রহী নয়। এই বাস্তবতায় আন্তর্জাতিক মহলের পাশাপাশি বিএনপির মধ্য থেকেও আওয়াজ উঠেছে যে, দলের নেতৃত্ব পরিবর্তন করতে হবে। তারেক দুটি নির্বাচনে কৌশলগত ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এর ফলে তার নেতৃত্বে থাকার কোন অধিকার নাই এমন কথাও শোনা যাচ্ছে। আর এ কারণেই তারেক জিয়া নিখোঁজ হয়ে গেলেন কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। তবে নেতৃত্বের পরিবর্তন না করলে বিএনপি কালের গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে এই বক্তব্যটি ক্রমশ বিএনপি নেতাদের বিশ্বাস মূলে দৃঢ় হচ্ছে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা