ফতুল্লায় ইউপিতে স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় ইউনিয়নবাসী
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট আগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে প্রার্থীরা ছুটোছুটি করছেন তাদের কাংখিত পদটি লুফে আনার জন্য। ইতিমধ্যে প্রায় ৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন চেয়ারম্যান শূন্য ইউনিয়নের উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য। আর মনোনয়ন দৌড়ে প্রয়াত চেয়ারম্যানের স্ত্রী ছাড়াও আওয়ামীলীগের একাধিক প্রার্থীর নাম আলোচনায় উঠে এসেছে। আর দলীয় প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলী,সাধারন সম্পাদক মো.ফাইজুল ইসলাম,ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ ফরিদ আহমেদ লিটন, থানা ছাত্রলীগের সভাপতি হাজী আবু মো.শরীফুল হক, যুবলীগ নেতা হাজী মো.আজমত আলী, ইউপির ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার কাজী মাঈনউদ্দিন ও সৈনিকলীগ নেতা পরশ। তবে একাধিক প্রার্থীর মাঝে সাধারন ভোটারদের পছন্দের তালিকায় রয়েছেন থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলীর নামটি। ক্ষমতাসীনদল ছাড়াও দলের বাইরে থেকেও নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্ততি নিচ্ছে একাধিক ব্যক্তি। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনের নাম বেশ আলোচিত হচ্ছে। তবে ফতুল্লা ইউনিয়নবাসী স্বচ্ছ, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একজন ক্লিন ইমেজের, জনবান্ধব এবং গ্রহণযোগ্য ব্যাক্তিকে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করতে চাচ্ছেন। ইতিমধ্যে যে ক’জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন তারা বেশীরভাগই সাংসদ শামীম ওসমানের কর্মী হিসেবেই পরিচিত। তারা তাদের প্রার্থীতার জন্য গুরু শামীম ওসমানের কাছেই ধর্না দিচ্ছেন বলে সুত্রে জানা যায়। তবে সাধারন ভোটারের দ্বারে দ্বারে দেখা মিলছে ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলীকে। থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলী চেয়ারম্যান প্রার্থী হবেন এমন কথা শুনতেই খুশী ইউপির ৯টি ওয়ার্ডের অনেক সাধারন ভোটার। তারা অনেকে বলেন,ডিএনডি বাধের অভ্যন্তরে জলাবদ্ধতা নিরসনে সাংসদ শামীম ওসমানের পরে যদি কোন ব্যক্তির নাম উঠে আসে সেখানে প্রথমেই বললেন মীর সোহেলের কথা। ভোটাররা বলেন,এমপির নির্দেশে মীর সোহেল আলী সর্বক্ষন আমাদের পাশে ছিলেন। যেকোন সমস্যা সমাধানে তিনি আমাদের পাাশে থাকেন। আমরা চাই তার মতো যোগ্য একজন ব্যক্তিই আমাদের অভিভাবকের কাতারে আসুক। ভোটের মাঠে এদের মধ্যে মীর সোহেল আলী ও কাজী মাঈন উদ্দিন ক্লিন ইমেজের মানুষ হিসেবে এলাকায় সুপরিচিত। ইউনিয়নবাসীর কাছে তার বেশ গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। আলোচিত প্রার্থী হিসেবে ইউনিয়নবাসীর কাছে মীর সোহেল অতীতেও চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় ছিলেন। দলমত নির্বিশেষে তিনি অধিকাংশের পছন্দের ব্যক্তি। এছাড়া চেয়ারম্যান হিসেবে কাজী মাঈন উদ্দিন এবং আজমত আলীও রয়েছেন ফতুল্লাবাসীর পছন্দের তালিকায়। এদিকে আগামী ৯ মার্চ নির্বাচনকে ঘিরে ইতিমধ্যে সাধারন ভোটারের কাছে ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিত্ব মীর সোহেল আলী ক্রমেই জনপ্রিয়তার প্রিয়মুখে রুপান্তিত হচ্ছেন। সাধারন মানুষের সুখ-দুঃখের সার্বক্ষনিক সঙ্গী হিসেবে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। যে কোন প্রকারের সহযোগিতায় মীর সোহেল আলী বরাবরই প্রথমে থাকেন বলে জানান সাধারন ভোটাররা। ইউপির ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সাধারন ভোটারদের মতে প্রয়াত চেয়ারম্যানের পর মীর সোহেল আলীই চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ্য প্রার্থী। প্রতিদিনই তিনি বিভিন্ন ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচারনায় বের হয়ে সাধারন ভোটারদের ভালবাসায় সিক্ত মীর সোহেল বলেন, আমি আপনাদের ভালবাসায় সত্যিই আবেগআপ্লুত। আপনারা যেভাবে আমাকে কাছে টেনেছেন আশা করি ৯ তারিখের নির্বাচনের দিন আপনাদের মুল্যবান ভোটের মাধ্যমে আমাকে আপনাদের সেবক হিসেবে নিযুক্ত করবেন। সাধারন ভোটারদের দাবী, দীর্ঘ ২৮ বছর পর নির্বাচনের মাধ্যমে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের তকমা কাটিয়ে ভোটারের ভোটের মাধ্যমে লুৎফর রহমান স্বপন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার ২ বছরের মাথায় তিনি ইন্তেকাল করেন। আমরা চাই তার শূন্যপদটিতে ইউপির চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনটি হস্তক্ষেপবিহীন একটি সুষ্ঠ নির্বাচন হউক। যেখানে আমরা আমাদের মনমতো একজন প্রার্থীকে মুল্যবান ভোটের মাধ্যমে আগামী দিনের জন্য আমাদের অভিভাবক হিসেবে নির্বাচিত করবো। যার মাধ্যমে আমরা আমাদোর সকল সমস্যা সমাধান করবো।