আজ সোমবার | ১১ আগস্ট ২০২৫ | ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৬ সফর ১৪৪৭ | রাত ৮:২৫

সবুজ সংকেতের অপেক্ষায়!

ডান্ডিবার্তা | ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ | ৯:৪৭ পূর্বাহ্ণ

আর ১ মাস বাকি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের উপ নির্বাচন। এ নির্বাচনে কে পাচ্ছেন শামীম ওসমানের সবুজ সংকেত, কে হচ্ছেন চেয়ারম্যান এ নিয়ে আলোচনা এখন সর্বত্র। ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের অন্তর্গত ১নং ওয়ার্ড থেকে ৯নং ওয়ার্ড সব জায়গাতেই এ নিয়ে চলছে চুলচেড়া বিশ্লেষন। ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে সবাই শামীম ওসমানের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছেন তারা। ইতিমধ্যে অনেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। এরা হলেন ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলী, ফতুল্লা থানা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ফাইজুল ইসলাম, ফতুল্লা থানা আ’লীগের সদস্য মুজিবুর রহমান ও প্রয়াত চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান স্বপন এর স্ত্রী সেলিনা সুলতানা। তবে এখন পর্যন্ত মনোনয়ন সংগ্রহ করেননি ফতুল্লা থানা আওয়ামী যুবলীগ নেতা আজমত আলী, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের ১নং সদস্য শরিফুল হক ও ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ফরিদ আহম্মেদ লিটন। তবে ফতুল্লার কয়েকজন ত্যাগী ও দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত এমন কয়েকজন ব্যাক্তির সাথে এ বিষয় নিয়ে কথা বললে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ৮ জন প্রার্থীই বলছে তারা শামীম ওসমানের সিদ্বান্তের দিকে তাকিয়ে । শামীম ওসমান যাকে গ্রীন সিগন্যাল দিবেন তার হয়েই বাকিরা কাজ করবেন। এ ইউনিয়ন বাসী আসলে কেমন চেয়ারম্যান চায় এর উত্তর খুজতে বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে ঘরে প্রাপ্ত তথ্যমতে, একজন ক্লিন ইমেজের সাহসী ও দায়িত্বশীল চেয়ারম্যান সবার প্রত্যাশা। তারা বলছেন এ ইউনিয়নের মূল সমস্যা মাদক, কিশোরগ্যাং, ভূমিদস্যুতা , ইভটিজিং, চাঁদাবাজী ও মৌসুমী সমস্যা হলো জলাবদ্ধতা। যে ব্যাক্তি এ সমস্যাগুলো সমাধানে অগ্রনী ভূমিকা রাখতে পারবে এমন ব্যাক্তি এ ইউনিয়নবাসীর প্রত্যাশা। সমগ্র ইউনিয়ন এর একাধিক স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, আমরা সবাই চাই এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে আজমত আলী আসুক। কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, করোনার সময় যখন সবাই আতঙ্কে ঘর বন্দী তখন গরীব মানুষদের কথা ভেবে তিনি ঘরে থাকতে পারেননি। তিনি প্রথম দফায় ৫৫০টি পরিবারকে ও দ্বিতীয় দফায় ৮০০ পরিবারকে ত্রান সহায়তা দেন। এছাড়াও এ এলাকার যে মানুষই বিপদে পড়েছে তিনি সাধ্যমতো বিপদগ্রস্থ মানুষদের পাশে থেকেছে। তার দ্বারা মানুষ বিন্দু মাত্র ক্ষতির সম্মুখীন হয়নি। আমরা অনেক নেতাকে দেখি তার লোকদের কারনে এলাকায় শান্তিমতো আমরা থাকতে পারি না। মাদক, কিশোরগ্যাং, ভূমিদস্যুতায় তারা এক্সপার্ট তবে আজমত ভাই ও তার লোকদের কারনে কখনো কোনো অসুবিধা হয়নি। ফতুল্লার একাধীক রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গের সাথে কথা বললে তারা জানান, আজমত আলী একজন সত্যিকারের অর্থে ত্যাগী আওয়ামীলীগ নেতা। মানুষের পাশে থাকতে যে পদ পদবীর প্রয়োজন হয়না আজমত তার উৎকৃষ্ট উদহারন। সে আড়াই যুগেরও বেশি সময় ধরে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জ এ আওয়ামীলীগের যতগুলো কর্মসূচী হয়েছে প্রতিটি কর্মসূচীতে সবচেয়ে বড় মিছিলগুলোর একটি ছিলো আজমত এর। এছাড়াও বিএনপির ডাকা হরতাল অবরোধে তিনি গুরুত্বপূর্ন একাধিক স্পট এ তার কর্মী নিয়ে পাহাড়া দিতেন জনগনের জানমালের নিরাপত্তায়। এছাড়াও ফতুল্লার এক নেতা আছে যে পুলিশ অপরাধীদের ধরে আনলে সে নেতার কাজই অপরাধীদের ছাড়িয়ে দেওয়া কারন সে অপরাধীরা তার সেল্টারে অপরাধ করে সেখানে আজমত আলী কখনো থানায় অপরাধী ছাড়িয়ে আনতে সুপারিশ করেনি কারন সে অপরাধীদের শেল্টার দেয়নি। এছাড়াও সে ভোটের মাঠে অত্যন্ত ভালো ফলাফল দেখিয়েছে যা প্রশংসনীয়। তার কথায় মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে এসেছে। আবার কেউ কেউ বলছে ফতুল্লার চেয়ারম্যান হিসেবে শরীফুল হক যোগ্য প্রার্থী কারন শরিফুল হক অত্যন্ত ক্লিন ইমেজের একটা লোক। তার নামের পাশে কোনো বিতর্ক নেই। সে প্রায় আড়াই যুগের ও বেশি সময় ধরে আওয়ামীলীগের সাথেই রয়েছে। সুযোগ ও ব্যাপক সুবিধে দেওয়ার প্রলোভনেও তিনি দলছুট হননি। তার কর্মীরা অন্যন্যদের মতো বিতর্কিত নয়। সে প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মসূচীতে ছিলো সফল এবং ভোটের মাঠেও ছিলো সবচেয়ে সফল। সে একজন সক্রীয় নেতা। সে চেয়ারম্যান হলে এলাকাবাসী উপকৃত হবে। তবে আরেক প্রার্থী মীর সোহেল আলী। তথ্যমতে, মীর সোহেল আলীর বাবা মীর মোজাম্মেল গ্রাম সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। তখন ক্ষমতায় ছিলেন জিয়াউর রহমান। ১৯৯১ সালে মীর সোহেল আলী ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের আহব্বায়ক এবং পরবর্তীতে সভাপতি নির্বাচিত হন। তবে ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর বিএনপির একটি রাজনৈতিক প্রোগামে মীর সোহেল আলী অংশগ্রহনের উদ্দেশ্যে গেলে সেখানে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের হাতে মারধরের শিকার হন। অতঃপর মীর সোহেল আলীর ছোট বোন জামাতা টিপু সুলতানের মধ্যস্থতায় ফতুল্লা ডিআইটি মাঠে আওয়ামীলীগের এক জনসভায় শামীম ওসমানকে ফুলের তোড়া দিয়ে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন। তবে ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ পূনরায় ক্ষমতায় আসলে তখন এ আসনের সংসদ সদস্য হন কবরী। তখন সুবিধে বুঝে আবারও মীর সোহেল আলীর বাবা তাকে কবরীর হাতে তুলে দেন। কবরীর বলয়ে যাওয়ার পর ফতুল্লার দাপা ঘাট এলাকায় অবস্থিত কেরানীগঞ্জের আওয়ামীলীগ নেতা রশিদ ও কাশেমের ঘাট ও দোকান দখল করে নেয়। এ ঘটনায় তাকে যুবলীগের সভাপতির পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছিলো। একসময়ের বিএনপির মস্ত বড় নেতা এখন আওয়ামীলীগের বড় নেতা আবার চাচ্ছেন চেয়ারম্যান পদও। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সর্বত্র। শুধু তাই নয় এ নির্বাচন নিয়ে ২ দিন পূর্বে এক নির্বাচনী প্রস্তুতি সভায় মীর সোহেল আলী বলেন, থানায় যত লোককে আমি ছাড়িয়ে দিয়েছি তারা ভোট দিলেই তো আমি পাশ। তিনি আরোও বলেন ওসিরে বললে তারা আমার কথা ফেলতে পারে না। কারন আমার কথা ফেললে হিসেব করে ফেলতে হয়। তার এই বক্তব্যে ঘিরে সমালোচনার ঝড় বইছে গোটা ফতুল্লায়। সমালোচনাকারীদের ভাষ্যমতে, পুলিশ যাদের থানায় নিয়ে আসে তারা মূলত অপরাধী। অপরাধীদের যারা ছাড়ায় তারা অপরাধীদের শেল্টারদাতা হিসেবেই পরিচিত। মীর সোহেল আলী যেভাবে বললেন কথাটা এর মানে তিনি অসংখ্য অপরাধীকে ছাড়িয়েছেন। তাহলে তিনি অবশ্যই অসংখ্য অপরাধীর শেল্টারদাতা। এছাড়াও ভোটের মাঠে তার নিয়ন্ত্রনাধীন কেন্দ্রে ভোট পরেছে মাত্র ২৬.৬৬ শতাংশ। ভোটের মাঠে তার ব্যার্থতা সামনে আনছেন স্থানীয়রা। এ ছাড়াও এ ইউপিতে চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে ৩নং ওয়ার্ডে রয়েছে ফরিদ আহম্মেদ লিটন এর সমর্থকগোষ্ঠী, ৭নং ওয়ার্ডে রয়েছে ফাইজুল ইসলাম এর সমর্থকগোষ্ঠী। অর্থাৎ চেয়ারম্যান প্রার্থী সবাই ওয়ার্ড ভিত্তিক নেতা।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা