আজ সোমবার | ১১ আগস্ট ২০২৫ | ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৬ সফর ১৪৪৭ | রাত ১১:৪৮

হকারদের পূর্নবহালের চেষ্টায় চাঁদাবাজ পলাশের দৌড়ঝাঁপ

ডান্ডিবার্তা | ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ | ১১:০৪ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট শহরের এক চিহ্নিত চাঁদাবাজের নাম পলাশ। ২নং রেলগেট এলাকায় পাবলিক টয়লেটের পাশেই ফুটপাতের উপরে রয়েছে তার রেডিমেড পোশাকের দোকান। তবে এটাই তার মূল পেশা নয়, ২নং রেলগেট ও এর আশপাশ এলাকার হকারদের কাছ নিয়মিত চাঁদা আদায়ই তার মূল পেশা। এ দোকানে বসেই কয়েকজন সহযোগীদের মাধ্যমে পুলিশ প্রশাসন ও বিশেষ পেশার লোকদের নামে এ চাঁদা তোলে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় একাধিক বার সংবাদ প্রকাশ হলেও কোন এক অদৃশ্য শক্তির কারণে বার বার পাড় পেয়ে যায় চিহ্নিত এই চাঁদাবাজ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সারা শহরে হকারদের কাছ থেকে যেসকল চাঁদাবাজরা চাঁদা আদায় করে থাকেন, তাদের মধ্যে অন্যতম এ চাঁদাবাজা পলাশ। দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগেরও অধিক সময় ধরে এ চাঁদাবাজির সাথে যুক্ত সে। এক সময় নুন আনতে যার ঘরে পানতা ফুরিয়ে যেতো, চাঁদাবাজি করে সেই পলাশ অর্ধকোটির টাকার মালিক বনে গেছেন বলে জানা গেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, অত্যন্ত চতুর এ পলাশ ২নং রেলগেট এলাকার সকল হকারদের ডন হিসেবে পরিচিত। হকারদের যাবতীয় বিচার আচারও তিনি করে থাকেন। আর এ বিচার-আচারের মাধ্যমেও তিনি হাতিয়ে নেন মোটা অংকের টাকা। নিজেকে হকার্সলীগ নেতা দাবি করে বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে সখ্যতা রেখে এ চাঁদাবাজীর বিশাল সা¤্রাজ্য সামাল দিচ্ছেন তিনি। এ সা¤্রাজ্য টিকিয়ে রাখার জন্য তিনি একাধিক বার নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়র ডা: সেলিনা হায়াৎ আইভীর খুব কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। কেননা, মেয়র কখনোই কোনো চাঁদাবাজ বা ধান্ধাবাজদের ঠাই দেননা। পলাশ একেক সময় নিজেকে একেক জনের লোক হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে। কখনো আইভী, কখনো শামীম ওসমান আবার কখনো বিএনপি নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি করে চলেছে পলাশ। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১৮ সালে বঙ্গবন্ধু সড়কে হকার উচ্ছেদের প্রতিবাদে মেয়র আইভী বিরোধী সকল আন্দোলন সংগ্রামে উপস্থিত ছিলো এই পলাশ। চলতি মাসের ৩ তারিখ নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে গোলটেবিল বৈঠকে হকার উচ্ছেদসহ নানা সমস্যা ও তার সমাধানের বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন মেয়র ডা: সেলিন হায়াৎ আইভী, সাংসদ একেএম সেলিম ওসমান ও সাংসদ একেএম শামীম ওসমানসহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা একমত হওয়ার পর অনেকটাই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। তারা ওই দিনের পর থেকেই বঙ্গবন্ধু সড়কসহ আরও কয়েকটি সড়কে অভিযান পরিচালনা করে হকার উচ্ছেদ করে প্রশাসন। বঙ্গবন্ধু সড়কে হকার উচ্ছেদ হলেও অনেকটা নিরব ভ‚মিকায় ছিলেন কথিত হকার নেতা পলাশ। কেননা, তিনি ভেবেছিলেন তার এলাকায় হয়তো পুলিশ অভিযান চালাবে না। কিন্তু ৬ ফেব্রæয়ারি সকালে প্রশাসন শহরের ২নং রেলগেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে সকল হকার উচ্ছেদ করলে মাথা নষ্ট হয়ে যায় তার। এ হকার উচ্ছেদে যতটা না হকারদের ক্ষতি হবে, তার চেয়েও বেশি ক্ষতি হবে পলাশের। কেননা, তার পুরো চাঁদাবাজির রাস্তাই বন্ধ হয়ে যাবে। তাই পুনরায় হকার বসানোর জন্য নানান জনের কাছে ধর্না দেয় পলাশ। কিন্তু কোন কাজ না হওয়ায় সোজা নেমে পড়েন আন্দোলনে। চিহ্নিত অপরাপর চাঁদাবাজ আসাদ ও সোহেলসহ অন্যান্য চাঁদাবাজদের সাথে হাত মিলিয়ে এবারও হকারদের উস্কে দিচ্ছে চাঁদাবাজ পলাশ। ১০ ফেব্রæয়ারি হকারদের পুর্নবাসনের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতেও দেখা গেছে পলাশকে। তবে তিনি সাংবাদিক দেখে সাথে সাথেই সটকে পড়েন। পরে সাংবাদিকরা তার পিছু নিলে আগামী কর্মসূচিতে সিটি কর্পোরেশন ঘেরাও করার জন্য হকারদের প্রস্তুত থাকার আহŸান জানাতে দেখা যায় চিহ্নিত এ চাঁদাবাজ পলাশকে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা