নাসিক ২৩ ওয়ার্ড আ’লীগের তৃনমূলে ক্ষোভ
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগ নাসিকের ২৭টি ওয়ার্ড কমিটি ঘোষনা দিয়েছে। এরমধ্যে নাসিক ২৩নং ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগের তৃনমূলে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ। নাসিক ২৩নং ওয়ার্ডে যাদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বানিয়েছে তারা আওয়ামী পরিবারের লোক নয় এবং তাদের নিয়ে রয়েছে চরম বিতর্ক। এর মধ্যে পারভেজ গুমের আসামীও রয়েছে। এছাড়া তারা রাজাকার ও বিএনপি পরিবার থেকে উঠে আসা বলে অনেকে দাবি করছেন। যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নারায়ণগঞ্জের প্রভাশালী এমপি শামীম ওসমান বলেছেন, আওয়ামীলীগের কমিটি গঠনে অবশ্যই তৃনমূল নেতাদের পরামর্শ ও মাঠ পর্যায়ের থেকে নেতা বানাতে হবে। যারা আওয়ামী পরিবারের সন্তান। ২৩নং ওয়ার্ড আওমীলীগের সভাপতি করা হয়েছে মাহবুবুর রহমান কমল ও সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে মশিউর রহমান সুজুকে। যাদের পিতা একজন ছিলেন পিছ কমিটির সদস্য আর একজনের পিতা ছিলেন বিএনপির নেতা। এমন অভিযোগ তৃনমূল কর্মীদের। সাবেক কদম রসুল পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা জসিম উদ্দিন কবিরের ভাই মোসাদ্দেক আলী আঙ্গুর বলেন, আমি বুঝি না কিভাবে বির্তকিত লোকদের এত বড় দায়িত্ব দিলেন মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার ভাই ও সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা। আমার মনে হয় এড. খোকন সাহা টাকা খেয়ে বির্তকিত লোকদের দায়িত্ব দিয়েছেন। নয়তো যিনি আওয়ামীলীগের প্রথমিক সদস্যও নয় সে কিভাবে সভাপতির দায়িত্ব পান। আমরা মাঠ পর্যায়ে থেকে দীর্ঘ ধরে শামীম ওসমান ভাইয়ের নেতৃত্বে রাজনীতি করে আসছি। কিন্তু যারা বির্তকিত তাদের হাতে দলের দায়িত্ব দিলে দলের কি অবস্থা হবে? আমার প্রশ্ন এড. খোকন সাহার কাছে, তিনি কি তাদের অতীত যাচাই করেছেন। যাকে সভাপতি দিয়েছে তার পিতা জজমিয়া কে তা যাচাই করা উচিৎ ছিল। জজমিয়া বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। বিএনপি ক্ষমতা হারানোর পর নিজে দাঁড়াতে না পেরে তার ছেলেকে আওয়ামীলীগের কিছু নেতাদের পাশে ঠেলে দিয়ে নিজের গা বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন। সেই পরিবারের লোক যদি হয় আওয়ামীলীগের সভাপতি আমরা যারা আওয়ামী পরিবারের সন্তান আমরা তা মেনে নিতে পারছি না। আওয়ামী পরিবারের সন্তান কুদ্দুস মৃধা বলেন, যাকে ২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বানিয়েছে মশিউর রহমান সুজুকে। যার পিতা ড্রেজারে কি করতে গিয়ে গুলি খেয়ে মারা গেছে তা এলাকার সকলেই জানে। আর সে কোন বøকে থেকে রাজনীতি করেছে সে কার লোক তার কত বির্তক রয়েছে তা এলাকার তৃনমূলের সাথে আলাপ করলেই জানা যাবে। তৃনমূল আওয়ামীলীগ নেতা শরীফ জানান, আমরা হতাশ যাদের মধ্যে আওয়ামীলীগের প্রতি সামান্য অবদান নেই। যারা আকিজ ও দলের নাম ভাঙ্গিয়ে ঠিকাদারি করে তাদের মত বির্তকিত লোকদের দলের দায়িত্ব দিয়ে দলকে ২৩নং ওয়ার্ডে একে বারে দুবর্ল করা হয়েছে। এমন অভিযোগ ২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের একাধিক নেতাদের। নেতাকর্মীদের দাবি পূর্নাঙ্গ কমিটি হওয়ার আগে এদের পারিবারিক বিষয় ও দলের তৃনমূল নেতাদের সাথে আলোচনা করে এমন নেতা নির্বাচন করবেন দলের শীর্ষ নেতারা এমন আশা করছি। তাই মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে দলের পরীক্ষিতদের দিয়ে দলের নেতা নির্বাচন করবেন বলে আমরা দাবি জানাচ্ছি।