আজ সোমবার | ১১ আগস্ট ২০২৫ | ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৬ সফর ১৪৪৭ | রাত ৮:৩৫

আনোয়ার হোসেনকে অবাঞ্চিত ঘোষণা

ডান্ডিবার্তা | ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ | ৪:৩৬ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগ নেত্রী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভি। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের দেওভোগে ১৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের এক বৈঠকে এ ঘোষণা দেন আইভি। বৈঠকে আইভি বলেন, বুঝলাম আপনি কমিটি করলেন মাত্র দুইটা নাম আমি মনে মনে চিন্তা করে রেখেছিলাম একটা বাদল মামার আর একটা জব্বর মামার নাম। সে আমাকে দুইটা নামও দিতে দিলেন না। তিনি বললেন এইদিকে তো সবই তোমার লোক, আবার কেন নাম দিবা। আমি বললাম, কাকা আজকে আমার একটা লোক দিতে দিলেন না আপনে। তারপর আমি আর কথা বাড়াইনি। পৌরসভা থাকাকালীন সময় আমি সারাদিন পৌরসভা চালিয়েছি পাশাপাশি সবার খোঁজ খবর নিয়েছি। হয়তো পার্টি অফিসে কম আসতাম কিন্তু সবার খোঁজ খবর রেখেিেছ। ২০০৯ সালে যখন শামীম ভাই দেশে আসলো তখন খোকন সাহা আমাদের ছেড়ে ওদিকে চলে গেলেন। জানতাম আমি এটা হবে। আমি ওইসময় আওয়ামীলীগ যুবলীগ ছাত্রলীগ মহিলা আওয়ামীলীগ থেকে শুরু করে অনেকগুলো সংগঠনের অভিষেক অনুষ্ঠান ও কমিটি হয়েছে আমার উপস্থিতিতে। শহর আওয়ামীলীগ যেদিন হয় পাঠাগারে সাবের হোসেন চৌধুরী প্রধান অতিথি ছিলেন। সেখানে উনি বসে বলেছে, আপনি কার কথা বলেন, ওর উপরে ছাদ নেই কার কথা বলেন আপনি? আমি বললাম, না আমি পৌরসভার চেয়ারম্যান হয়েছি, আনোয়ার কাকা এই পদ চেয়েছে আমি বৃহত্তর স্বার্থে কোন একটা ছেড়ে দেব। ১১ সালে আপনারা জানেন আমি কিভাবে নির্বাচন করলাম। নির্বাচনে পাশও করলাম। আমার সাথে নেত্রীর কি কথা হয়েছে গণভবনে আমি জানি। ২০১১ সালে পুরা বৃহত্তর দেওভোগ আমরা একসাথে ছিলাম। আমরা একসাথে নির্বাচন করেছি। করার পর উনি আগেই আমাকে শর্ত দিয়েছিলেন মহানগরে পদ চাইতে পারবানা। মহানগরের সভাপতির পদ উনি আমার থেকে চেয়ে নিলেন। আমি যেই কথা যারে দেই আমার জীবন গেলেও আমি তা রাখার চেষ্টা করি। আমি অন্যায়ভাবে কারো সাথে কিছু করিনা। উনি সভাপতি হলেন। ২০০৩ থেকে গেল ২০১১। ২০১১ থেকে আজকে ২০১৪ পর্যন্ত উনারাই নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ২০১১ তে কমিটির হবার পর আমার নামটা পর্যন্ত তারা কমিটিতে রাখে নাই। আনোয়ার কাকার প্রচন্ড কাছের লোক ছিল। উনার নামটাও কেটে দিয়েছে। ওইদিন থেকে সে একটা প্রতিবাদ করতে পারে নাই। রহমত উল্ল্যাহ ভাই দিনরাত ২৪ ঘন্টা উনাকে সময় দিতেন। আমি রহমত উল্ল্যাহ ভাইয়ের নাম দিয়েছি জেলা আওয়ামীলীগে। উনার সাথে আমার ঘনিষ্ঠতা কোনদিন ছিলনা। কিন্তু আমার বিবেকে যখন লাগলো যে মানুষটা এত শ্রম সময় দেয়ার পরও তার নাম কেউ রাখে নাই তখন আমি রেখেছি। আইভি বলেন, আমি যখন গণভবনে গিয়েছি নেত্রী একদিন আমাকে বললেন, তোমার নাম তো মহানগরে নেই। আমি বললাম, আমি একসাথে থেকে শামীম ভাইয়ের সাথে ঝগড়া হবে দরকার নেই। নেত্রী আমাকে এখানে রাইখেন না। আপনি আমাকে যেখানে মন চায় সেখানে রাখেন। পরবর্তী নেত্রী আমাকে জেলা আওয়ামীলীগে পদ দিলেন। কোনদিন দেখছেন প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারীর সাথে ভাইস প্রেসিডেন্ট ঘোষণা হয়? আমি ভাইস প্রেসিডেন্ট হলাম হয়ে আমাদের কিছু লোককে আমি এখানে স্থান দিলাম। জাহাঙ্গীর, আদিনাথ বসু। আদিনাথ বসু এত ঘনিষ্ঠ আনোয়ার কাকার, তিনি নাম কেটে দিয়েছে। উপজেলা পরিষদে আমি জানতাম উনি ফেল করবে। তাও আমি কাদিরের পক্ষে গেলাম না। আমি চুপচাপ ছিলাম। আমার নানী বাড়ি আমার মামারা এটা নিয়া ক্ষুব্ধ ছিল। দেওভোগের কে কোনদিকে যাবে এটা তাদের ব্যাপার আমি তো চুপ ছিলাম। ৩ নাম্বার হইলেন উনি। বাদল ভাইকে যদি দাঁড় না করাইতো তাহলে কাদির ভাই উপজেলা চেয়ারম্যান হইতেন। আচ্ছা কাদির ভাইয়েরও ছিল ভুল ছিল। এখন যেই লোকটাকে আমি বার বার ছাড় দিয়েছি যেমন একটি আগে আমাকে আসাদ কাকায় বকা দিল, আমার উপর রাগ হয়ে গেল। আজও চিল্লাচিল্লি করলো আমি নাকি আমার কাকা ছাড়া কিছু বুঝিনা। একটা পদে আছেন উনি, অবশ্যই উনাকে আমি সহযোগিতা করার চেষ্টা করি। ভুলে যান কেন ২০১৬ সালে উনি তো আমার বিপরীতেই প্রার্থী হয়েছিল। সবকিছু করেছে। আমি তো মনে রাখিনাই। আমি তো দেওভোগের সবকিছু আওয়ামীলীগের বৃহত্তর স্বার্থে ছাড় দেই। আমি কোনদিনও এখানে এসে মাতবরি করিনা। আমার সাথে আপনাদের দেখা সাক্ষাৎ হয়, আপনারা আমার জন্য কাজ করেন কিন্তু আমি কখনো দল নিয়া মাতামাতি করি নাই। এই গ্রæপিংয়ের ভয়ে আমি কখনো উনার বিপক্ষে এত লোকজন বলার পরও যাই নাই। ভেবেছি যা করছেন করুক, উনি তো আমাদেরই কাকা আমাদেরই লোক। ২০১৬ সালে উনি আমার বিরুদ্ধে গিয়ে আরেক যায়গায় গিয়া আমাদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিল, আবার ঐখান থেকে যখন আসলো উনার পক্ষেই থাকলাম। এখন পর্যন্ত উনার পক্ষেই থাকলাম যখন যা বলে। ২০২২ সালেও আমার সাথে নির্বাচন করলো যেভাবে বলে সেভাবেই। এই যে ২৭টা ওয়ার্ডে এই কমিটি করতে গেল একবারের জন্য বা একদিনের জন্য আমাকে একটা যায়গায় দাওয়াত করে নাই কিংবা বলে নাই। আমি তাকে একাধিকবার বলেছি, কোথায় কি করছেন অন্তত আমার সাথে কথা বলে নিয়েন। একটা ওয়ার্ডেও আমাকে দাওয়াত দেয় নাই। আমি এই পর্যন্ত তার পাশে আছি দেখে সে আওয়ামীলীগ পার্টি অফিসে বসতে পারে। আমি যদি না থাকতাম আরাফাতরা বহু আগেই তাকে সাইজ করে দিত। সাগর তো তার কাছের লোক, সারাদিন তার চামচামি করে। আসাদ কাকা তার বন্ধু, এখানে বহু মানুষ আছে তার কাছের লোক। প্রত্যেকটা লোককে আমার বিরুদ্ধে ভুল বুঝায়েছে সব সময়। যাই করছে কখনো কিছু বলিনাই। আজ ২১ বছর পর আমাকে কথাগুলো বলতে হলো। এই দেওভোগ নারায়ণগঞ্জকে নেতৃত্ব দিয়েছে। দেওভোগের কত মানুষ আওয়ামীলীগের ৬২, ৬৬, ৫২, ৭১ এর আন্দোলনে কাজ করেছে। কিন্তু দেওভোগের কতিপয় মানুষ আমাদের এই নেতাদের নাম বিলুপ্ত করে এখন নারায়ণগঞ্জের ধারক বাহক হয়ে যাচ্ছে। আইভি বলেন, মনের দুঃখ মনের মধ্যে রেখেছেন কেন? আপনাদের তো আমাকে আগে ডাকা উচিৎ ছিল। আমি রাজনীতি করি আমাকে অনেক কাজ করতে হয়। এই ওয়ার্ডে এপন ও চঞ্চলের বিরুদ্ধে কিছু বলবোনা, ওরা ছোটভাই অবশ্যই ওরা নেতা হবার যোগ্যতা রাখে। কিন্তু এই আওয়ামীলীগের এটা কি লজ্জাজনক ঘটনা। এই আনোয়ার কাকা তার প্রতিহিংসাপরায়ন মনোভাব নিয়া মনোয়ার সজলকে ঘায়েল করার জন্য, দেওভোগ আওয়ামীলীগকে বুঝানোর জন্য যে আমি যারে চাই সেই হইতে পারে, এই কারণে তিনি এই দুইটা নাম ঘোষণা করে আমাদের সকলকে অসম্মানিত করেছে। যারা এই দেওভোগকে এইভাবে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে আমাদের সেই পূর্বপুরুষকে অসম্মানিত করেছে। উনাকে (আনোয়ার) আমি আজকে এখানে দাঁড়িয়ে দেওভোগের মানুষ হিসেবে অবাঞ্চিত ঘোষণা করলাম। এই মর্গ্যান স্কুলেও উনাকে আমি সভাপতি করেছি। এটাও বাদ দেন। যদি খোকন সাহা এবং আনোয়ার সাহেব তারা আমার হাতে গড়া। যদি উনি মুসলমানের সন্তান হয়ে থাকে আনোয়ার কাকা উনি বলুক উনাকে প্রেসিডেন্ট কিভাবে বানানো হয়েছে। যদি খোকন সাহা উনি ধর্মে বিশ্বাস করে থাকে যেই ধর্মেরই হয়ে থাকে যদি উনার ভিতরে মানবতা থেকে থাকে উনি দাঁড়াইয়া বলুক। তিনি আরো বলেন, এই কমিটি মানবো না, যদি আনোয়ার মিয়ার আর খোকন সাহার কমিটির ২০০৩ থেকে আজকে পর্যন্ত চলতে পারে তাহলে এখানেও বর্তমান যে কমিটি আছে সেটাই চলবে। যে কয়জন মারা গেছে আপনারা বৈঠক করে ঠিক করে নেবেন, দায় দায়িত্ব আমি নিব। যারা হইছে ওই দুজনের প্রতি সম্মান রেখে বলতে চাই এই আওয়ামীলীগ অফিসে এসে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা করলে পরিনাম ভাল হবে না। অফিসে আসবে বসবে কিন্তু কোন ধরনের বেয়াদবি করবে না। যদি কমিটি নিয়ে কোন বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করা হয় সেটাও হতে দিব না। যদি আমাদের রফিক ভাই কোন কারণে দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করে তাহলে বর্তমান যে যুগ্ম সম্পাদক উনি দায়িত্ব পালন করবে। আমি অবশ্যই সাংগঠনিক সম্পাদক আমাদের কেন্দ্রের মির্জা আজম ভাইয়ের সাথে কথা বলবো। আপনারা যেভাবে বললাম যেভাবে করবেন। এটা পাল্টা কমিটি ঘোষণা করা হলো। মানে যা ছিল তাই থাকবে। ২৭টা ওয়ার্ডের মধ্যে ১৭টা ওয়ার্ড ঘোষণা করা হয়েছে। অনেক স্থানেই অসন্তোষ আছে। সিদ্ধিরগঞ্জের ৯টা ওয়ার্ড কেন করে নাই? যেতে পারে নাই কারণ আমাদের আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্য শামীম ভাই বলেছেন এটা আমার আসন আমার নির্বাচনী এলাকা সেখানে তোমরা যাবানা আমি যেভাবে কমিটি করি সেভাবে হবে। এখন আমার আনোয়ার কাকার আর শ্রদ্ধেয় খোকন সাহার কাছে প্রশ্ন উনারটা যদি নির্বাচনী এলাকা হয়ে থাকে তাহলে ২৭টা ওয়ার্ডেই আমার নির্বাচনী এলাকা। কোন সাহসে কোন অধিকারে আমাকে না জিজ্ঞাসা করে আপনারা এই ১৭টা ওয়ার্ডের কমিটি দিলেন। আমি এই ১৭টা ওয়ার্ডের পাল্টা কমিটি দিব। যদি ওই ১৭টা ওয়ার্ডের লোকজন যোগাযোগ করে আমি অবশ্যই তাদের পাশে দাঁড়াব। নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের দাফন রচনা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সুপরিকল্পিত ভাবে আনোয়ার সাহেব খোকন সাহা তাদের নিজেদের পকেটের লোক দিয়ে আওয়ামীলীগকে সুপরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করছে। উনি (আনোয়ার) নিজে কারো সাথে মিশেনা, কারো সাথে কথা বলেনা। দল কিভাবে গোছাতে হয় উনি জানেনা। না গুছিয়ে উনিও যাকে যাকে দিয়েছে এরাও তার পকেটের লোক। ১৫নং ওয়ার্ডে দীর্ঘদিন ধরে কাজী সাহেব নেতৃত্ব দিয়েছে। তার নামও রাখে নাই অথচ ১২নং ওয়ার্ডের লোক এনে ১৫নং ওয়ার্ডের সভাপতি দিয়েছে। এটা কি ছেলে খেলা! দল কি আনোয়ার সাহেব আর খোকন সাহার বাবার সম্পত্তি? আওয়ামীলীগ বঙ্গবন্ধুর দল, শেখ হাসিনার দল। আমাদের কর্মী বান্ধব দলের আমি শেখ হাসিনার একজন ক্ষুদ্র কর্মী। আমি বাংলাদেশে আসছি ২০০৩ সালে। ২০০৩ থেকে ২০২৪ পযন্ত দলের কোন বিষয় নিয়ে কথা বলি নাই আজ বাধ্য হয়েছি। এখন থেকে শুরু করলাম দলের ভেতর কোন অনিয়ম চলবেনা। ২৭টা ওয়ার্ডেই আমার নির্বাচনী এলাকা। শামীম ভাই যদি তার ৯টা নির্বাচনী এলাকায় নির্ধারন করে দিতে পারে তাহলে বাকি ১৮টা ওয়ার্ডেও আমার মতামত নিয়ে করতে হবে। আমি আর শামীম ভাইয়ের মত বলতে পারবোনা, যে আমার একক এলাকা এটা আমি বলতে পারবোনা এটা শামীম ভাই বলতে পারে, আমি বলবো আমার মতামত নিয়ে যদি না করে তাহলে আমি পাল্টা কমিটি দেব। মেয়র আইভি বলেন, জেলা কিংবা মহানগর আওয়ামীলীগ, সবাই মনে করে এটা তার সম্পত্তি। এতটুকু কেউ ছাড় দিতে চায়না, মনটাকে বড় করতে চায়না। মাঝে মাঝে নেতাকর্মীদের নিয়ে বসতে হয়, কথা বলতে হয়। এদিকে বৈঠকের পরেই ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী সাব্বির আহমেদ সাগরের নেতৃত্বে পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা মহানগর আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে এসে তালা লাগিয়ে দেন। এ সময় তারা ঘোষিত ওয়ার্ড কমিটি ভুয়া ও সেখানে যোগ্যদের বঞ্চিত করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। পরে নেতা-কর্মীরা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ¯েøাগান দেন এবং তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। গত ১২ ফেব্রæয়ারি রাতে মহানগর আওয়ামী লীগের ১৭টি ওয়ার্ডের কমিটি ঘোষণা করা হয়। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা মহানগর আওয়ামী লীগের ১১ থেকে ২৭নম্বর ওয়ার্ডের কমিটি ঘোষণা করেছেন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা