আজ সোমবার | ১১ আগস্ট ২০২৫ | ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৬ সফর ১৪৪৭ | রাত ৮:৩০

ফতুল্লা ইউপি নির্বাচন নিয়ে ধুয়াশা!

ডান্ডিবার্তা | ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ | ১০:৫৬ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট অনেকটাই নিরব হয়ে পড়েছে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনের ঘটনাটি। আগামী ৯ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে যে ইউপিতে শূন্য চেয়ারম্যান পদের নির্বাচনটি সম্পন্ন হয়ে গেছে। গত ১৩ ফেব্রæয়ারী সকাল ১১টা পর্যন্ত পুরো ইউপি জুড়ে নির্বাচনী আমেজ থাকলেও এখন মনে হচ্ছে যে একক সিদ্ধান্তে নির্বাচন এখন নির্বাসনে পতিত হয়েছে। ফতুল্লা ইউপি উপনির্বাচনে অংশগ্রহনের জন্য মনোনয়ন ক্রয় করেছিলেন ১৭ জন। মনোনয়ন সংগ্রহকারীরা হলেন- পরেশ চন্দ্র দাশ, কাজী মাঈন উদ্দিন,  মোঃ মহসিন মিয়া, আমজাদ হোসেন, সেলিনা সুলতানা, কাজী দেলোয়ার হোসেন, মীর সোহেল আলী, মোঃ মজিবুর রহমান, মোঃ ফাইজুল ইসলাম, মোঃ সেলিম রেজা শাওন, মোঃ লিটন, মোঃ সজিব, আজমত আলী, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, আবু মোঃ শরীফুল হক, মোঃ শাহিন দেওয়ান এবং আলী আজম। আগামী ৯মার্চ ভোট গ্রহন হবে ৪৫ টি কেন্দ্রে। অত্র ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১২৩,৮৩৬ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬২,০১৪ জন, নারী ভোটার ৬১,৮২০ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ২ জন। উন্মুক্ত নির্বাচনের দাবী ছিলো ইউনিয়ন বাসীর কিন্তু শামীম ওসমানের একপেশে সিদ্ধান্তের কারনে থানা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মো.ফাইজুল ইসলামকে মনোনীত করা হয় চেয়ারম্যানের জন্য। প্রায় একাধিকবার বিভিন্নস্থানে মিটিং করা হলেও কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি না হওয়ার ফলে সর্বশেষ ১৩ ফেব্রæয়ারী থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউপির চেয়ারম্যান হাজী এম.শওকত আলীর বাসভবনে সকল প্রার্থীর মিণনমেলার মাঝে সাংসদ শামীম ওসমানের সিদ্ধান্তেই ইউনিয়নবাসীর কাছে অপরিচিত ফাইজুল ইসলামকেই দেয়া হয় দলীয় সমর্থন। শুধু প্রার্থীরা নয় ভোটারদেরও দাবী ছিলো উপনির্বাচনটি যেন সকল প্রার্থীর জন্য উন্মুক্ত করা হয়। তাহলে সাধারন ভোটাররা তাদের মনোনীত যোগ্য ব্যক্তিকেই চেয়ারম্যান হিসেবে গ্রহন করতেন। খোজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে যাকে চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে তার সাথে নাকি সাংসদ শামীম ওসমানের শ^শুরবাড়ির সাথে দীর্ঘদিনের সর্ম্পক। সেই পরিবারের সাথে সাথে নাকি ফাইজুলের ব্যবসায়িক সর্ম্পকও রয়েছে। তবে অনেকেই বলছেন যে, শ^শুরবাড়ির সাথে সর্ম্পকের সুত্রেই নাকি ফাইজুল ইসলাম দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। সাধারন ভোটারদের দাবী,আমরা চেয়েছিলাম একটি অংশগ্রহনমুলক নির্বাচন নির্বাচন কিন্তু সর্ম্পক ও একক সিদ্ধান্তের ফলে এটি এখন একপেশেমুলক নির্বাচনে গড়িয়েছে। ১৭ প্রার্থীর মধ্যে বর্তমানে যারা রয়েছেন তাদের অনেক প্রার্থীকেই ভোটাররা চিনেন না এমনকি যাকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তাকেও না। ভোটারদের দাবী, থানা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ফাইজুল ইসলামকে কখনও তার ওয়ার্ড ছাড়া অন্যকোন ওয়ার্ডে আনাগোনা দেখা যায়নি। নিজ ওয়ার্ড ছাড়া অন্য ৮টি ওয়ার্ডের ভোটারদের সাথে ফাইজুল ইসলামের কখনও কথোপকথন হয়েছে কিনা তাও জানেনা প্রায় লক্ষাধিক ভোটার। তারা আরও বলেন, যদি উন্মুক্ত নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হতো তাহলে নির্বাচনে প্রায় ৮০ ভাগ ভোটারের উপস্থিতি দেখা যেতো। কিন্তু এখন এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তাতে মনে হয়না ২০ভাগ ভোটারের উপস্থিতি হবে। আবার কেউ কেউ বলছেন যে, একক সিদ্ধান্তের নির্বাচনটি অনেকটা এমন পরিবশে তৈরী হয়েছে যে ৯ মার্চ আদৌ নির্বাচন হবে কিনা তা বলাবাহুল্য। কারন ৭ প্রার্থীর মধ্যে ইতিমধ্যে ২জন সরে দাড়িয়েছেন। বাকী রয়েছেন মাত্র ৪ জন। তারাও নাকি সরে দাড়াবেন এমনটাই গুঞ্জন উঠেছে ইউপি জুড়ে। যদি এমনটাই হয় তাহলে বিনাভোটে চেয়ারম্যান হচ্ছেন ফাইজুল ইসলাম শুধুমাত্র সর্ম্পকের কারনে। ভোটারদের মনে, যোগ্যতা কিংবা গ্রহনযোগ্যতা কোনটাই কাজে আসে না। এখানে সাধারন ভোটারদেরকে হতাশ করা হয়েছে। ভোটারদের পছন্দকে অবজ্ঞা ও অবহেলা করা হয়েছে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা