ডান্ডিবার্তা | ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৪, ৯:৩২ | Comments Off on বন্দরে বিএনপির অবস্থা নড়বড়ে
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বন্দর থানা ও বন্দর উপজেলা বিএনপির অস্তিত্ব সংকটে দেখা দিয়েছে। কোনভাবেই রাজপথের আন্দোলনে বন্দর থানা বিএনপি একত্মতা প্রকাশ করতে পারছে না। এদিকে বিএনপির ডাকা ১৩ দফা অবরোধের সমর্থনে বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি বা সেক্রেটারী অপর দিকে বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি বা সেক্রেটারী কেউ কোনভাবেই
আন্দোলনে আসতে যোগ দিচ্ছে না। তাদের মামলায় না আসলেও তারা নিজ নিজ বাসভবনেই থাকতেন পুলিশ-প্রশাসন ম্যানেজের মাধ্যমে বলে জানা গেছে। তা ছাড়া কঠোর আন্দোলন এমতাবস্থায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাথে আতাঁত করে বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষিত কঠোর আন্দোলন থেকে পিছপা ছিলেন বন্দর বিএনপির নেতারা। জানা
গেছে, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেনশাহ বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতা অবস্থায় সিটি কর্পোরেশনের ২০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের দায়িত্বে রয়েছেন। এমনকি সদর-বন্দর আসনের সাংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের সাথে এই বিএনপির নেতার ভালো সখ্যতা আছে বলে জানা গেছে। নির্বাচনের পূর্বে বিএনপির সুবাতাস বইতে দেখে গাঁ বাচাঁতে তিনি আবারো নানা লবিংয়ের মাধ্যমে বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি বনে যান। কিন্তু কঠোর আন্দোলনে যখন বিএনপি রাজপথে পাত্তাই পাচ্ছিল না সে সময় হঠাৎ রাজপথ থেকে আবারো নিষ্ক্রিয় হয়ে পরেন এই কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা শাহেনশাহ। বর্তমানে বিএনপির ছোট ছোট লিফলেট বিতরণকর্মসূচিতে তাকে দেখা গেলে ও বিগত দিনের মতো লোক সমাগম নিয়ে আসেন না, কোন রকম একা এসে শুধু মুখ দেখিয়ে চলে যান। অপর দিকে বন্দর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানা। বিগত দিনে যুবদল করলে ও এই নেতা বর্তমানে নানাভাবে নেতাকর্মীদের সাথে সখ্যতা বাড়িয়ে কমিটির সাধারণ সম্পাদকের পদে আসলে ও বিগত দিনের মতোই আন্দোলনে নিষ্ক্রিয় ভূমিকাই পালন করে থাকেন। এদিকে সকল নেতাকর্মীদের বলে থাকেন উনাকে পুলিশ খুঁজছে আসতে পারবো না। হরেক রকমের কথা বলে আন্দোলন থেকে পিছপা থাকা নেতা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে আতাঁত করে আন্দোলনে এলাকায় ঘুরাফেরাতে মগ্ন থাকেন। সর্বশেষ ৩০ জানুয়ারী বন্দরে রানার নেতৃত্বে কালো পতাকা মিছিল হতে নিলে
সেখানে পুলিশের বাধা পরে আর মিছিল পন্ড হয়ে যায়। সেদিন পুলিশের বাধায় পরেই তখনই তার নেতৃত্বে থানা নেতাকর্মীরা ও উধাও উনি ও উধাও হয়ে যান। আর রাজপথে এই রানাকে চোখে পরেনি। বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ তার ব্যবসায়ীক আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বেশিরভাগ সময়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের
সাথেই বেশি সময় দিয়ে থাকেন। তা ছাড়া বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুমের সাথে এই নেতাদের ভালো সখ্যতা ও এই মাসুমের সাথে এই হিরণের অনেক ছবি ইতিমধ্যে ভাইরাল। তা ছাড়া বিএনপির এই ক্লান্তিলগ্নে এই হিরণ কোন মামলায় জড়ায়নি। তা ছাড়া বয়স হওয়ায় আন্দোলন ও করেনি কোন আন্দোলনের দিকনির্দেশনা ও দেননি ৩ মাসে সর্বশেষ ঢাকায় বিএনপির কালো পতাকা মিছিলে তাকে কতক্ষনের জন্য লক্ষ্য করা গিয়েছিলো একাই ছিলো না তার সাথের রাজপথের কোন কর্মী। তা ছাড়া বন্দর উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক হারুন-অর রশিদ লিটন বিএনপির কঠোর আন্দোলন কাকে বলে তা উনি চোখেই দেখেনি। কারণ উনি আন্দোলনে বন্দর ছেড়ে তার দেশের বাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিলেন। এদিকে তার ছোট ভাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকায় এলাকায় পুলিশ-প্রশাসন তার বাসায় যায়নি। আর
তার ভাইয়ের ছত্রছায়ায় কোন মামলার আসামী হয়নি এই লিটন। বর্তমানে বন্দর বিএনপির নিজস্ব কোন অস্তিত্ব নেই, কারণ বর্তমান কমিটিতে বিএনপির ত্যাগীরা না থাকায় আন্দোলনে বন্দর বিএনপির বিগত দিনের সুনামকৃত জনপ্রিয়তা ধ্বংসের দারপ্রান্তে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ পÐ হওয়ার পর থেকে কয়েক দফায় প্রায় ১৩ দফা অবরোধের কর্মসূচি পালনে বন্দর ছিলো নিশ্চুপ আন্দোলনের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত কোন প্রকারের কঠোর আন্দোলনের রূপ দেখা যায়নি বন্দরে।এদিকে বিএনপির বিভিন্ন নেতাদের নানাভাবে লিয়াজুসহ আন্দোলন থেকে পিছপা থাকার কারণে আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছেন বিএনপি। অবশেষে দ্বাদশ জাতীয় সাংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় আর আবারো ক্ষমতায় আসেন আওয়ামী লীগ। যাকে ঘিরে বন্দরে যারা আগে বিএনপি নেতাদের সমর্থনে তাদের মিছিল মিটিংয়ে আসতেন তারা
এখন বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে রখেছেন। তা ছাড়া বন্দর বিএনপি ও আওয়ামী লীগ বর্তমানে একত্রিত থাকায় বন্দর বিএনপিকে বিশ্বাস করছে না বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা। যাকে ঘিরে অস্তিত্ব সংকটের পাশাপাশি কর্মী সংকটে ও পরছেন বন্দর বিএনপির রাজনীতি।