আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | রাত ১২:১৭

বলয়ে ধ্বংস হচ্ছে বিএনপি!

ডান্ডিবার্তা | ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ | ১০:০১ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জকে আন্দোলনের সূতিকাগার বলা হয়ে থাকে। তার কারণ, ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে ৭১’র মুক্তিযুদ্ধ কিংবা ৬৬’র ছয় দফা থেকে ৬৯’ গণঅভ্যুত্থান, সর্বক্ষেত্রেই আন্দোলনে দলমত নির্বিশেষে সকল আন্দোলনেই সক্রিয় ও ব্যাপক ভূমিকায় ছিলো নারায়ণগঞ্জের অবস্থান। কিন্তু বর্তমানে এই নারায়ণগঞ্জের বহু পুরাতন রাজনৈতিক পরিচিতি অনেকটাই বিলিন হয়ে গেছে নারায়ণগঞ্জে থাকা বিএনপির কিছু কথিত নেতাদের নানা কর্মকান্ডে, বিগতদিনের ব্যাপক পরিচিতি ও রাজনৈতিক সক্ষমতা হারিয়েছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতি। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিকে ধীরে ধীরে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিচ্ছে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু ও তারই ভ্যানগার্ড হিসেবে সুপরিচিত জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন। এই দুই নেতার হাতের ছোয়ায় নারায়ণগঞ্জ বিএনপির বিগত দিনের সুপরিচিতি বিনষ্ট হচ্ছে এমনকি মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে বিগত দিনের আন্দোলনের ভূমিকাহীন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গরা। এদিকে এই দিপু ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে রয়েছে আওয়ামী লীগের সাথে আতাঁত করে রাজনীতি করার অভিযোগ। তা ছাড়া বিভিন্ন স্থানে প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে পার্টনারর্শীপে রয়েছে নানা ব্যবসা। অপর দিকে তার সহযোগী গোলাম ফারুক খোকন ও আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে আতাঁত করেই রূপগঞ্জে টিকে আছেন। জানা গেছে, মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু কিছুদিন যাবৎ তার রাজনৈতিক উত্থান নানা লবিং ও বাপের টাকার জোরে প্রথমে কেন্দ্রীয় যুবদলের সদস্য ও পরবর্তীতে নির্বাহী কমিটির সদস্য পদে স্থান পায়। স্থান পেয়েই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পিছনে পিছনে বিএনপির একাধিক ত্যাগী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কথা বলে তাকে আশ্বাস দেয় বর্তমানে নারায়ণগঞ্জকে তারুণের রাজনীতিতে পরিনত করতে হবে। সেই হিসেবেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনকে সুসংগঠিত করার লক্ষে তার উপরে আস্থা রাখেন। কিন্তু তিনি সুসংগঠিত না করে তার বলয়ের নেতাকর্মীদের দিয়ে বিএনপির মূল কমিটি থেকে শুরু করে অঙ্গসংগঠনের কমিটিতে ও আধিপত্য বিস্তার করেছেন। তা ছাড়া তার সহযোগী নেতা গোলাম ফারুক খোকনকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বানাতে বহু নীল নকশা তৈরি করেছেনসহ তার বিপক্ষে থাকা সকলকে ধীরে ধীরে হুমকি দিয়ে বসিয়ে দেন। পরবর্তীতে ছাত্রদলের সাবেক তুখোর নেতা ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহŸায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব সাধারণ সম্পাদকের পদে নির্বাচন করতে চাইলে তাকে রূপগঞ্জের জুনিয়র নেতাদের দিয়ে বকাবকিসহ নানা হুমকি ধমকি দেন। তার পরে ও কোন কাজ না হওয়ায় তিনি নিশ্চিত বুঝে যান। যদি সঠিক নির্বাচন হয় তাহলে রাজিব সাধারন সম্পাদক বনে যাবে সেই ক্ষেত্রে দিপু ভূঁইয়া উপর পর্যায়ের নেতাদের সাথে নানা লবিং করে ব্যাপক হারে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে রাজিবকে বসতে বাধ্য করেন এবং বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় তার সহযোগী গোলাম ফারুক খোকনকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বানান। এমনভাবেই সকল অঙ্গসংগঠনের কমিটিতে উনি নানাভাবে লবিং ও টাকার জোরে তার বলয়ের নেতাকর্মীদের দিয়ে রেখে রূপগঞ্জময় বিএনপিতে পরিনত করেছে। শহরের রাজনীতি পাকাপুক্ত রাখতে কাউকে অঙ্গসংগঠনে জায়গা দেওয়া হয়নি। তা ছাড়া তার রাজনৈতিক সহযোদ্ধা বিগত দিনের রাজনীতির কিংমেকার বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুজ্জামান মনিরের সাথে তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বি›িদ্বতা রয়েছে। যাকে ঘিরে তিনি তার বলয়ের লোক দিয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষকদল, শ্রমিকদল, মহিলাদল, ওলামা দলগুলো সাজিয়েছেন এখানে কাজী মনিরের কোন লোকই আসতে দেননি। দফায় দফায় আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে ডেমকেয়ারের মাধ্যমে রাজনীতিকে ধ্বংসের থেকে শুরু করে এই দিপু ভূঁইয়া নারায়ণগঞ্জ বিএনপিকে রাজপথ থকে নিষ্ক্রিয়তার হিড়িকে পরিণত করেছেন। সূত্র মতে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিকে আরো গতিশীল ও শক্তিশালী করতে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপুর উপরে আস্থা রাখেন। কিন্তু দিপু ভূঁইয়া ও গোলাম ফারুক খোকন এই আস্থাকে সুবিধায় পরিণত করেছেন। তারা সংগঠন তাদের লোকদের স্থান দিয়ে তৈরি করেছেন। যাকে ঘিরে বিএনপি আন্দোলন থেকে পিছপা হয়ে ছিলেন বলা চলে। জানা গেছে, গত ২৮ অক্টোবরের পর কয়েক দফায় ১৩ দফা হরতাল ও অবরোধের মতো চূড়ান্ত আন্দোলনের মাধ্যমে ও ক্ষমতাসীনদল আওয়ামী লীগের এক তরফা নির্বাচন ঠেকাতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। কঠোর আন্দোলনমুখী হয়ে উঠা বিএনপির পাশে ছিলেন না নির্বাহী কমিটির সদস্য দিপু ভূঁইয়া ও তার অনুসারীরা। দফায় দফায়কৃত সকল হরতাল ও অবরোধে এক পলকে ও দেখা যায়নি দিপু ও খোকনের অনুসারীদের। যাকে ঘিরে আন্দোলনে জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন গতি হারিয়ে ফেলেন। নেতাকর্মীদের ভাষ্য অনুযায়ী আরো জানা গেছে, দিপু ভূঁইয়ার উপরে তারেক রহমানের আস্থা করাটা ভূল হয়েছে কারণ তিনি এতো দায়িত্ব নিয়ে ও দলের দূঃসময়ে নেতাকর্মীদের হাত ছেড়ে দিয়েছেন ছিল না কোন নেতাকর্মীদের সাথে তার কথোপোকথন হয়নি আন্দোলনকে গতিশীল করার আলোচনা। আন্দোলন রেখে বিভিন্ন দেশে পারি ও জামিয়েছেন এই দিপু ভূঁইয়া ও তার আস্থাভাজন গোলাম ফারুক খোকন। এদিকে জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের দায়িত্বে না থাকা স্বত্তে¡ ও বিএনপির সহ-আন্তজার্তিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, বিএনপির সহ অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমনসহ আরো কয়েকজন নির্বাহী কমিটির নেতারা রাজপথে আন্দোলনে থাকা নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করেছেন কিন্তু দিপু ভূঁইয়া কোনভাবেই কেউর সাথে যোগাযোগ রাখার কথা চিন্তা ও করেননি। তা ছাড়া নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসলে দিপু ভূঁইয়া-গোলাম ফারুক খোকনসহ তাদের বলয়ের অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে নির্বাচনের পিছনে থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান ভূঁইয়ার কেটলি মার্কার পক্ষে কাজ করার যা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় বা টিভি চ্যানেলে ও উঠে এসেছিলেন। তারা ছাড়া নৌকারসহ কেটলির পক্ষে কাজ করে প্রকাশ্যে এসে গিয়ে দিপু ভূঁইয়ার প্যানেলের বহু নেতাকর্মী বহিষ্কৃত হয়েছে। তা ছাড়া আরো অনেকেই আড়ালে থেকে ও কাজ করেছেন প্রকাশ্যে না আসায় তাদের প্রতি কোন পদক্ষেপ নিতে পারেনি কেন্দ্র আবার অনেকের নামে নানা ধরনের অভিযোগ ও প্রমান থাকলে ও দিপু ও খোকনের লোক কমিটি হওয়ার সময় মোটা অংকের টাকার কথা বেড় হয়ে যাওয়ার ভয়ে তাদের অনেককে এখনো বহিষ্কার করা হয়নি। তা ছাড়া দ্বাদশ নির্বাচন পেরিয়েছে দেড় মাস কিন্তু বিএনপির এই নেতাদের কোন খোঁজ নেই। নেতাকর্মীরা বলছে, দিপু ভূঁইয়া হয়তো মনে করেছিলেন বিএনপি এইবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে আর তিনি বাজিমাত করে বিএনপির নমিনেশন পেয়ে যাবে আর নির্বাচনে জয়ী হয়ে এমপি হয়ে যাবে কিন্তু তার সকল আশায় ধূলোবালি পড়ায় দিপু ভূঁইয়া এখন মানসিকভাবে বিকশিত হয়ে বিএনপির আন্দোলন ও রাজপথের বাহিরে আছেন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা