চাঙ্গা হয়ে উঠছে আ’লীগের তৃনমূল

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবসে চাঙ্গা হয়ে উঠছে আওয়ামীলীগের তৃনমূল নেতাকর্মীরা। নির্বাচনের পর কিছুটা ঝিমিয়ে পড়লেও সামনে উপজেলা নির্বাচনকে ঘীরে ফের চাঙ্গা ভাব দেখা দিচ্ছে নেতাকর্মীদের মধ্যে। উপজেলা নির্বাচনকে তারা আনন্দ ও উৎসব মুখর করতে চায়। এদিকে মহান ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে গিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। আর শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত করেন রাজপথ। তবে এবার উপজেলা নির্বাচনকে ঘীরে সব চেয়ে বেশী উজ্জীবীত দেখা যায় বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের তৃনমূল নেতাকর্মীদের। তাদের একটাই দাবি যদিও এবারের উপজেলা নির্বাচনে কোন দলীয় প্রতীন নেই তথাপি দল যাকে সমর্থন দিবে আমরা কোমর বেধে মাঠে নেমে তাকে নির্বাচিত করেই ঘরে ফিরব। এ ব্যপারে বন্দর উপজেলা নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হুমায়ূন কবির মৃধা বলেন, ছোট বেলা থেকে আওয়ামীলীগের রাজনীতি করতে করতে আজ আমি মহানগর আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক। আওয়ামীলীগের রাজনীতি করতে গিয়ে অনেক বার হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। আমার শিরা উপশিরায় আওয়ামীলীগের রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে। কারণ আমার পিতা প্রয়াত আশেক আলী মৃধা একজন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন। এ ব্যপারে যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন আনু বলেন, আমরা আওয়ামীলীগের পরিক্ষিত নেতা। আমার বড় ভাই বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান। জীবন ভর আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে আসছি। দল যাকে উপজেলায় সমর্থন দিবে তাকে বিজয়ী করাই হলো আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। যত বাধাই আসুক দলের প্রার্থীকে বিজয়ী করেই ঘরে ফিরব। এ ব্যপারে ছাত্রলীগ নেতা ওয়াহিদুজ্জামান অহিদ বলেন, সম্প্রতি হয়ে যাওয়া দ্বাদশ নির্বাচনে দল যার জন্য নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ছেড়ে দিয়েছে তাকে বিজয়ী করতে সার্বক্ষনিক মাঠে ছিলাম। এবং তাকে বিজয়ী করেই ঘরে ফিরেছি। আসছে উপজেলা নির্বাচন। এ নির্বাচনি যদিও উম্মুক্ত তথাপি দল যাকে সমর্থন দিবে তার জন্যই কোমর বেধে মাঠে নামব। আমি আমার সহপাঠিদের নিয়ে দলীয় সমর্থিত প্রার্থীকে বিজয়ী করেই ঘরে ফিরব। এ ব্যপারে ধামগড় ইউপি মেম্বার ও আওয়ামীলীগ নেতা হাফেজ আইয়ূব বলেন, যারাই প্রার্থী হউক আমরা শুধু দলের সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষের কাজ করব। এ নির্বাচনকে উৎসব ও আনন্দ মুখর করে তোলার জন্য আমরা সার্বক্ষনিক প্রস্তুত আছি। আর এখন থেকেই আমরা মাঠে কাজ করছি। এখন শুধু অপেক্ষায় আছি দল কাকে সমর্থন করেন। আর আমাদের ধামগড় ও মদনপুর আওয়ামীলীগের ঘাটি। এখানে আওয়ামীলীগের মধ্যে কোন বিরোধ নেই। আমরা সকলে শেখ হাসিনার হতকে শক্তিশালী করতে মাঠে রয়েছি। এছাড়া যুবলীগ নেতা এসআই জুয়েল বলেন, আমি উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী। আর দল যাকে সমর্থন দিবে তাকে নিয়ে উপজেলা নির্বাচনের পথ চলতে চাই। আমি দলের জন্য কতটুকু কাজ করেছি তা আমার দলের সকল নেতা অবগত আছেন। আর দল চালাতে হলে কর্মী থাকতে হয়। আর কর্মীদের সুখে দু:খে পাশে থাকতে হয়। আমি কর্মীদের পাশে আছি। আগামীতেও থাকব। তাই আমি বন্দর উপজেলার সকলের দোয়া প্রার্থী। এছাড়া আওয়ামীলীগের তৃনমূল নেতাকর্মীরা দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে চাঙ্গা হয়ে উঠছেন।