আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | রাত ১২:১৪

ফখরুল নীরব কেন?

ডান্ডিবার্তা | ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ | ১১:০০ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মুক্তি পেয়েছেন গত ১৫ ফেব্রæয়ারি। মুক্তির পর বিএনপি নেতারা তার বাসায় যান সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে। ২০ ফেব্রæয়ারি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ঘণ্টাব্যাপী তার সঙ্গে বৈঠক করেন। কিন্তু এ ছাড়া রাজনৈতিক কর্মকাÐে এখন পর্যন্ত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দেখা যাচ্ছে না। এক ধরনের নীরবতা অবলম্বন করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অন্যবার দেখা গেছে যে, জেল থেকে বেরিয়ে তিনি ব্যস্ত হয়ে পড়েন। দলীয় কার্যালয়ে যান, সরকারের বিরুদ্ধে নানা রকম বক্তব্য বিবৃতি দেন কিন্তু এবার তেমনটি দেখা যাচ্ছে না। শুধুমাত্র কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পর নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আন্দোলনের বার্তা দিয়েছিলেন। কিন্তু এক সপ্তাহ পার হলেও এখন পর্যন্ত তাকে রাজনীতিতে সক্রিয় দেখা যাচ্ছে না। বরং বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খুব শীঘ্রই উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যাবেন এবং সেখান থেকে ফিরে আসার পর পরবর্তী বিষয়গুলো নিয়ে তৎপর হবে না। এখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নীরব কেন- এ রকম প্রশ্নের উত্তরে বিএনপির অনেকে বলছেন যে, তিনি অসুস্থ। ৭৬ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ নানা রকম জটিল রোগে ভুগছেন বলেও দলের নেতারা বলছেন। আর হাসপাতালে থাকার কারণে তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি ঘটেছে। এখন বাসায় চিকিৎসকরা দেখছেন। খুব শীঘ্রই তিনি বিদেশ যাবেন। একটু সুস্থ হওয়ার অপেক্ষায় তিনি রাজনৈতিক তৎপরতা গুটিয়ে নিয়েছেন বলে কেউ কেউ বলছে। তবে বিভিন্ন সূত্র থেকে অন্য ধরনের খবরও পাওয়া গেছে। জানা গেছে যে, বিএনপিতে এখন একটি রাজনৈতিক মেরুকরণ চলছে। অর্থাৎ সংগঠন কী ভাবে চলবে, সংগঠনের নেতৃত্বে তারেক জিয়া শেষ পর্যন্ত থাকবেন নাকি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নেতৃত্বে আনা হবে সেই বিষয়গুলো নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ আলোচনা, তর্কবিতর্ক। আর এ কারণেই স্পর্শকাতর এই সময়ে তিনি রাজনৈতিক বক্তব্য বা সরকারের সমালোচনা ইত্যাদি থেকে দূরে সরে আছেন। অনেকে মনে করছেন যে, সরকারের সঙ্গে তিনি একটি আপোষ সমঝোতা করেই কারাগার থেকে বেরিয়েছেন। এই সরকারকে ইতোমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা দেশগুলো স্বীকৃতি দিয়েছে। তারা একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেছে। ফলে এখন নতুন সরকারকে আন্দোলন করে হঠিয়ে দেওয়া যাবে না। সরকারের সাথে একটি সমঝোতার মাধ্যমে নেতাকর্মীদেরকে কারাগার থেকে বের করে আনার একটা কৌশল গ্রহণ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সে কারণেই তিনি রাজনৈতিক আন্দোলন বা হঠকারী আন্দোলনের ব্যাপারে এখন মনোযোগী নন, বরং নতুন করে সংগঠন গুছিয়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করার ব্যাপারে তার আগ্রহ। আবার অনেকে মনে করেন যে, রাজনীতির ব্যাপারে তার এক ধরনের হতাশা তৈরি হচ্ছে। বিশেষ করে ২৮ অক্টোবর থেকে বিএনপির আন্দোলনের ব্যর্থতা, নির্বাচন এবং সামনে যে বিএনপির জন্য অনিশ্চিয়তার সময় এটি এই রাজনীতিবিদকে হতাশ করেছে। দুই একজন নেতার কাছে তিনি নির্বাচন পরবর্তী যে বিশ্ব পরিস্থিতি এবং জনগণের নিরাসক্ত ভাব নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। আর এ সময় হতাশার কারণেও তিনি নির্বাচনের আগে যেরকম উদ্দীপ্ত ছিলেন, আগ্রহী ছিলেন এখন সেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। তবে যে কারণেই হোক যারা মির্জা ফখরুল ইসলামের নীরবতা বিএনপিতে অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। অনেক নেতাই মনে করেছিলেন যে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রেবিয়ে এলেই আন্দোলনের গতি পাবে কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাস্তবতা বুঝেছেন, তিনি দেখেছেন যে, আন্দোলন করার মতো পরিস্থিতি এখন দেশে নেই।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা