আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | দুপুর ২:৩১

আতঙ্ক পিছু ছাড়ছেনা বিএনপিকে

ডান্ডিবার্তা | ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ | ১১:২৪ পূর্বাহ্ণ
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বিভিন্ন ধরনের ভয় নিয়েই আত্মগোপনীয়তা কাটিয়ে উঠতে পারছে না বিএনপির নেতারা। জানা গেছে, বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত টানা ২ মাসের কঠোর আন্দোলনের মুহুর্ত্বে দেশের বিভিন্নস্থানে দফায় দফায় মামলা ও ধরপাক্করের মতো নানা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে দিয়েই দিন কাটিয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। তাছাড়া ও নেতাকর্মীরা নিজেদের ঘর-বাড়ি-পরিবার ছেড়ে বেশিরভাগ সময় অতিবাহিত করেছে আত্মগোপনে থেকেই সীমাবদ্ধ ছিলেন আর কঠোর আন্দোলনে রাজপথে ছিলেন কর্মীরা। কিন্তু কর্মীরা রাজপথে বেশি পরিচিত না থাকায় প্রতিটি জেলার হরতাল-অবরোধকে ঘিরে মামলায় আসামী হয়েছেন কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতারা। এদিকে সারা দেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জ জেলা,
মহানগর ও অঙ্গসংগঠনের বিএনপির নেতাকর্মীরা এখনো আত্মগোপনীয়তা কাটিয়ে রাজপথে আসতে সম্ভব হয়নি। তাদের মনের ভিতরে আন্দোলনে কঠোরতা দেখাতে গিয়ে হামলা-মামলা ও ব্যাপকভাবে আন্দোলন করে ও ফ্লপ হওয়ার যে ভয় ঢুকেছে তা এখনো কাটিয়ে আবারো রাজপথে নামতে পারেনি বিএনপির মূল দায়িত্বে থাকা নেতাকর্মীরা। বর্তমানে সবাই যার যার নিজেদের ফ্যামিলি নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পরেছেন আর আন্দোলন বা সাংগঠনিক কার্যক্রম পালনে অনীহার শেষ নেই। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জে বিরোধী
দল বিএনপি বলতে দলের কোন দেখা নেই। শুধু যতটুকু ছিঁটা ফুটা আছে সেগুলো মহানগর বিএনপির আহŸায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর অবদান। কারণ নারায়ণগঞ্জে এই কঠোর আন্দোলনের ভয়কে জয় করেই আন্দালনে রাজপথে ছিলেন তারা যাকে ঘিরে সদস্য সচিব টিপু গ্রেফতার ও হয়েছিলেন। অপর দিকে আহŸায়ক এড. সাখাওয়াত ও ব্যাপক মামলার আসামী হয়ে ও কিছু সময় রাজপথে আবার কিছু সময় নির্দেশনা দিয়ে শহরের আন্দোলন অবহৃত
রেখেছিলেন আর বর্তমানেম কেন্দ্রীয় ঘোষিত ঢিলেঢালা আন্দোলনগুলো এই দুইজন আরো কিছু নেতাকর্মী নিয়ে পালন করে যাচ্ছেন। কিন্তু এই কমিটিতে স্থান পাওয়া বেশিরভাগ সদস্য ও যুগ্ম আহŸায়কের দেখা মিলেনি গত চার মাসে। অপর দিকে তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ও নানা মামলায় জর্জরিত হয়ে ভয় কাটিয়ে আবারো রাজপথমুখী হয়ে উঠেনি। তা ছাড়া জেলা বিএনপির রাজনীতি অনেকটাই দৃঢ়গতিতে পরিণত হয়েছে। এইকমিটির দায়িত্বে রয়েছে দুইজন তারা কেউ বর্তমানে ভয় রাজপথে আসতে রাজি নন। জেলা যুবদলে ও নেই কোন গতি শুধু জেলা যুবদলের সদস্য সচিব আন্দোলনের প্রথম থেকেই রাজপথে থেকে কিছু কেন্দ্রীয় কঠোর কর্মসূচি পালন করেছেন পরবর্তীতে নির্দেশনা মোতাবেক কর্মসূচি অবহৃত রয়েছে। আর বাকি স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, কৃষকদল সেই মূল দলের মতোই আন্দোলনের বাহিরে অবস্থান করছে। বর্তমানে ঢিলেঢালা আন্দোলন বিষয়ে বিএনপির একজন কর্মীও সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, নির্বাচনের আগে থেকেই নারায়ণগঞ্জে বিএনপির অবসান ঘটেছে। কারণ বর্তমানে সকলেই আন্দোলনে রাজপথে পা রাখতে ভয় পায়, আবার যদি গ্রেফতার হয়ে যায়, তা ছাড়া তাদের মূল ভয় হলো কঠোর আন্দোলনের বৃষ্টির মতো যে মামলার বর্ষণ হয়েছিলো তা বিএনপির নেতাকর্মীরা এখনো ভুলতে পারছেনা যাকে ঘিরে তারা এখন আর কঠোরতম রূপে যাচ্ছে না। তা ছাড়া বিএনপির নির্বাহী কমিটির যারা নারায়ণগঞ্জে রয়েছে তাদের নিষ্ক্রিয়তা
ছিলো সকল নেতাকর্মীদের থেকে বেশি। সব মিলিয়ে বোঝা যাচ্ছে বিএনপির নেতারা বর্তমানে ভীত আর কর্মীরা দিশেহারা। সূত্র মতে, গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের কঠোর আন্দোলন ও শুরু ও আর তার পর থেকেই তাদের উপরে বৃষ্টির মতো মামলার বর্ষণ শুরু হয়। যা দেখে ইঁদুরের মতো করে গর্তে ঢুকে পরে বিএনপির বেশিরভাগ নেতাকর্মী। এইভাবেই টানা ৩ মাস অতিবাহিত হয়। এদিকে এক দফা দাবি আদায় না হওয়ায় গত ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি।
ভোট-পরবর্তী নীরবে সরকারবিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে দলটি। ভোটের আগে দাবি আদায় নিয়ে হাঁকডাক দিলেও এখন রাজপথে আন্দোলন কর্মসূচিতে ঢিলেঢালা দলটি। তা ছাড়া একাধিক বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে অভিযোগ রয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লগি নেতাদের সাথে একত্রিত হয়ে রাজপথে কাজ করার, যার প্রকাশ্যে ছবি নানাভাবে যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলেই দল থেকে তাদের বাহিষ্কার করা হয়। কিন্তু যারা আত্মগোপনে থেকে তলে তলে আওয়ামী লীগের সাথে লিয়াজু করে নিবার্চন পরিচালনা করেছেন তারা দেদারসে বুক ফুলিয়ে নিজেকে যোগ্য ও রাজপথের পরীক্ষিত নেতা হিসেবে পরিচিতি দিয়ে যাচ্ছে। তা ছাড়া কাঠোর আন্দোলনে দলটি ৪ দফা হরতাল ও ১৩
দফা অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। এরপর লিফলেট বিতরণ ওগণসংযোগ কর্মসূচি দিয়ে আসছে দলটি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরেও কর্মসূচি দিয়েছিল দলটি। নির্বাচনের আগে ঢাকাসহ সারা দেশে মিছিল ও গণসংযোগ করে বিএনপি। পরবর্তীতে নির্বাচনের পর এই প্রথম কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি এর আগে দীর্ঘদিন যাবৎ হরতাল-অবরোধ পালনে বিএনপির নেতাকর্মীরা ঝটিকা মিছিলেই সীমাবদ্ধ ছিলেন। রাজপথে সকলে জমায়েত হতে ও পারেননি। যার মূল কারণ হলো বিএনপি বর্তমানে কয়েকভাবে বিভক্ত হয়ে পরেছেন। অপর দিকে জেলা বিএনপির রাজনীতি আংশিক কমিটি গঠনের পর যেমনটা ছিলো পরবর্তীতে সম্মেলনের পর থেকে জেলা বিএনপির রাজনীতি
আন্দোলনের পরিমান ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে যা গত চারমাস যাবৎ পুরোই নিষ্ক্রিয় হয়ে পরেছেন। অপর দিকে মহানগর বিএনপির কমিটিতে দুই নেতা ছাড়া আর কেউ রাজপথে নেই। যাকে ঘিরে নেতাকর্মীদের রাজনীতি ছন্নছাড়া হয়ে পরেছেন আর আস্তে আস্তে কর্মীরা হতাশার দিকে ঝুঁকছেন। তা ছাড়া বিএনপির নেতাকর্মীদের দাবি, নির্বাহী কমিটির যে ৫ জন নারায়ণগঞ্জে রয়েছেন তারা কেউ নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীদের বেশি একটা খোঁজ রাখেনি। যা নিয়ে তীব্র হতাশায় ছিলেন নেতাকর্মীরা। যাকে ঘিরে বর্তমানে নির্বাচনের পর ও সাহস নিয়ে রাজপথে কেউ আসতে রাজি নয় কারণ তাদের বলছে, যদি কোন সমস্যা হয় রাজপথের আন্দোলনে তাহলে তাদের দেখার মতো
কেউ নেই। যার কারণে বর্তমানে ভয় কাটিয়ে সাহস নিয়ে রাজপথে আসতে অনীহা নারায়ণগঞ্জ বিএনপির।



Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা