আ’লীগের ত্যাগীদের ক্ষোভ বাড়ছে!
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দ্বাদশ জাতীয় সাংসদ নির্বাচন। পূর্বের ন্যায় এবারও দলের দুঃসময়েও ত্যাগী নেতারা রাজপথে অবস্থানের মাধ্যমে দলের বিজয় সুনিশ্চিত করে ঘরে ফিরে এসেছেন। অথচ নির্বাচন শেষ হয়ে যাওয়ার পর আবারো তৃনমূল কর্মীদের অবস্থা সেই পূর্বের ন্যায়ের অবস্থায় চলে গেছে বলে দলের মাঠের কর্মীরা আক্ষেপের সাথে এ অভিযোগ করেন। ঘুরেফিরে সেই চাটুকারেরাই দলের সুবিধা ভোগ করছেন বলে অভিযোগ করেন তারা। দলের ভিতরে ঘাঁপটি মেরে থাকা সেই অনুপ্রবেচকারীরাই দলের সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করে আসছেন। সূত্রমতে, দলের শীর্ষ নেতারা নিশ্চুপ থাকায় দিন যতই যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের সুবিধাবাদি ও অনুপ্রবেশকারীদের দাপটও বাড়ছে। বিভিন্ন সময়ে স্থানয়ি নেতারা সুবিধাবাদি ও অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কড়া মন্তব্য করাসহ ত্যাগীদের মূল্যায়নের কথা বললেও তা বাস্তপ রূপে দেখা যায়নি। অথচ অনুপ্রবেশকারীদের দাপটে কোনঠাসা হয়ে পড়েছে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা। টানা তৃতীয় বার ক্ষমতায় থাকার পরও ত্যাগীদের ভাগ্যের পরিবর্তন না হলেও সুবিধাবাদি নেতারা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে। এনিয়ে সাংসদ শামীম ওসমানও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তব্য নিয়েছেন। ত্যাগীদের মূল্যায়ন করার আশ^াসও দিয়েছিলেন। কিন্তু এখনো অবহেলিত দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা। সূত্র বলছে, টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ। প্রায় ১২ বছর রাষ্ট্র পরিচালনায় থাকায় অন্য সংগঠনের দলছুটরা ব্যক্তিগত স্বার্থ, ব্যবসা-বাণিজ্যে সুবিধা পাওয়া সহ বিভিন্ন কারণে অন্য দল ছেড়ে যোগ দিয়েছে আওয়ামী লীগ বা সহযোগী সংগঠনগুলোতে। কখনো একা, কখনো দলবলে এসব যোগদান হয়েছে। সরকারের গত মেয়াদের শেষ দিকে এই হার ছিল চোখে পড়ার মতো। তখন যে কাউকে দলে ভেড়াতে কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা ছিল। তবে এরপরও বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতিতে সক্রিয়দের কেউ কেউ ঢুকে পড়েছেন স্বাধীনতার নেতৃত্ব দেওয়া দলটিতে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও একই সুরে কথা বলেছিলেন বিভিন্ন সময়। ঐ সময় নারায়ণগঞ্জের আনাচে কানাচে অনেক অনুপ্রবেশকারীর নাম তালিকা উঠে এসেছিল। এমকি নারায়ণগঘ্জ আওয়ামীলীগের অনুপ্রবেশকারীদের একটি তালিকাও কেন্দ্রে মজা দিয়েছিল একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থা। তবে এখনো তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় ত্যাগী নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। আর তাই দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে, অনুপ্রবেশকারীরাই কি দলে দূষণ ছড়াচ্ছে? আর তাদের কারণে আজ দলের ভাবমূর্তি হুমকির মুখে। নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের এক প্রবীন রাজনীতিবীদ নাম প্রকাশে অনিচ্ছা শর্তে বলেন, অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে আরও আগে থেকেই সংশয়ে ছিল আওয়ামী লীগ। আমরা পরপর তিনবার রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার কারণে সংগঠনের মধ্যে অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে। অনেক সুবিধাবাদীরাও সংগঠনের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে বিএনপি, জামায়াত ক্ষমতা থাকা অবস্থায় ত্রাস কায়েক করা, এবং জুট সন্ত্রাস ছাড়াও সেই সময় গড ফাদার হিসেবে পরিচিত এমন নেতারাও ঢুকে পড়েছেন আওয়ামী লীগে, এবং আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন স্থানে পদের জন্য তোর জোপ লবিং শুরু করেছেন। এখন তারা আওয়ামী লীগের নেতা হয়ে গেছে, আর দলের ত্যাগী নেতারা এখন তাদের কারণে জরে পরছে। আর এখন বর্তমান পরিস্থিতিতে অনুপ্রবেশকারীদের নানা বিতর্কিত কাজ নিয়ে অনেক আগ থেকে কথা হচ্ছে। দলীয় প্রধানও বিষয়টি অবগত আছেন।