আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | ভোর ৫:১৪

সাইনবোর্ড-চিটাগাংরোড-কাঁচপুরে প্রকাশ্যে চলছে কোটি কোটি টাকার চাঁদাবাজি

ডান্ডিবার্তা | ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ | ৯:৫৬ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট ঢাকা-চট্টগ্রাম মহামসড়কের সাইনবোর্ড, চিটাগাংরোড ও কাঁচপুর ব্যস্ততম অঞ্চল হওয়ায় এখানের পূর্বাঞ্চলের পরিবহনকে ঘিরে গড়ে উঠেছে একাধিক বাস, সিএনজি, অটো গাড়ির পরিবহন স্ট্যান্ড। প্রতিটি স্ট্যান্ডেই রয়েছে শতাধিক বাস কাউন্টার। এসব কাউন্টারকে ঘিরে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী সাধারণের সমাগম ঘটে। এছাড়া এ অঞ্চলে বিভিন্ন গার্মেন্ট ও শিল্প প্রতিষ্ঠান থাকায় নিত্য সময় জনসমাগম থাকে। এ জনসামগমকে কেন্দ্র এ সব এলাকায় ফুটপাতে কয়েক শতাধিক হকার গড়ে তুলেছে তাদের অবৈধ ব্যবসা কেন্দ্র। এসব পরিবহন ও ব্যবসা কেন্দ্রগুলোর নিয়ন্ত্রন ঘিরে চলছে অবাধে চাঁদাবাজি। শ্রমিক নেতা আসলাম, জজ মিয়া ও কথিত সাংবাদিক মুন্নার সিন্ডিকেট এসব চাঁদাবাজি করছে। আর কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ এসব সিন্ডিকেটের ফাঁদে পড়ে অবৈধভাবে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ অবৈধ আয় বহাল রাখতে তারা নিজেরাই সর্বাত্মক সহায়তা করছে। এছাড়াও হাইওয়ে পুলিশের রয়েছে রেকার ও মামলা বানিজ্য। অভিযোগ রয়েছে. ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি রেজাউল হক, শিমরাইল পয়েন্টের ট্র্যাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) শরফুদ্দিন ও শ্রমিক নেতা আসলাম-জজ বাহিনী ও কথিত সাংবাদিক মুন্না বাহিনীর ত্রি-মূখী সিন্ডিকেট তৈরী করে এসব চাঁদাবাজি করছে। সাইনবোর্ড থেকে কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পর্যন্ত এলাকায় ফুটপাতের ব্যবসায়ী ও পরিবহন সেক্টর থেকে মাসে কোটি কোটি টাকা নামে বেনামে চাঁদা আদায় হয়ে থাকে। যার দুই-তৃতীয়াংশের বেশী সংশ্লিষ্ট পুলিশ আর বাকি অংশ স্থানীয় নেতাখেতা ও কথিত সাংবাদিকের মধ্যে বন্টন হয়ে থাকে। সুত্র জানায়, ওসি রেজাউল হক ও টিআই শরফুদ্দিনের নেতৃত্বে সাজেন্ট এসআই সোহেল, এএসআই ছগির ও এএসআই সবুজের বিরুদ্ধে ডাম্পিং-রেকার বিলের নামে বাস, ট্র্যাক, কাভার্ডভ্যান, লেগুনা সিএনজি ও অটোরিক্সাসহ বিভিন্ন ধরনের পরিবহন থেকে দৈনিক লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুর্ঘটনায় পতিত বড় গাড়ি ছাড়া পুলিশের রেকার নামক গাড়িটি ব্যবহারের ছিটেফোটা চিহ্ন না থাকলেও দৈনিক অন্তত ২ শতাধিক ছোট-বড় গাড়ি আটক করে ড্রাইভারে হাতে ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে ১৫শ’ থেকে শুরু করে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত রেকার বিলের রশিদ। কখনো আবার বিল রশিদ ছাড়াই নেয়া হচ্ছে সমপরিমান অতিরিক্ত টাকা। ভ্যানচালক আয়নাল জানায় তার ভ্যান গাড়িটি আটক করে রশিদ ছাড়া ১৭শ’ টাকা আদায় করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এতো টাকা যাচ্ছে কোথায় এমন প্রশ্নের উত্তর খুজতে গিয়ে পাওয়া গেছে একটি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের নাম। ওসি রেজাউল, টিআই শরফুদ্দিন, সাংবাদিক মুন্না ও নেতা আসলামের জোটবদ্ধ সিন্ডিকেটের এরুপ ভয়াবহ চাঁদাবাজিতে নি:স্ব পরিবহন শ্রমিকরা। পরিবহন মালিক-শ্রমিক ও ফুটপাতে বসানো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জানান, পুলিশ, সাংবাদিক ও নেতাদের দৈনিক সাপ্তাহিক মাসিক নির্ধারিত হারে চাঁদা না দিলে কোন মতেই ব্যবসা চালানো সম্ভব নয়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, মহাসড়ক গুলোতে যেকোন অপরাধ প্রতিরোধ ও জননিরাপত্তাদানে হাইওয়ে থানা গুলো কাজ করে থাকে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়নগঞ্জের কাচপুর হাইওয়ে থানা তার মধ্যে একটি। আর এই থানার বর্তমান ওসি রেজাউল হক। তার নিয়ন্ত্রনে রয়েছে একঝাক টহল পুলিশ সদস্য। সাইনবোর্ড থেকে মেঘনা ব্রিজ পর্যন্ত মহাসড়কে কোন দুর্ঘটনা বা অপরাধ সংগঠিত হলে তারা ব্যবস্থা গ্রহন করে থাকেন। রাস্তার শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে ট্র্যাফিক পুলিশে সাথে জোটবদ্ধভাবে কাজ করেন। আর এই সুযোগটির কল্যানে তার থানাধীন চিটাগাংরোড ট্র্যাফিক পুলিশ বক্সের টিআই শরফুদ্দিনের সাথে জোটবদ্ধ হয়ে পরিবহন ও ফুটপাতের ব্যবসায়ী খাত থেকে মাসে কোটি কোটি টাকার চাঁদা আদায় করছেন। তবে এতো টাকা এরা একা ভোগ করতে পারেনা। তাদের উপরে নিচে অনেক রথি-মহারথিকে ভাগের টাকা বুঝিয়ে দিতে হয়। টিআই শরফুদ্দিনের অধীনে কাঁচপুর ডাম্পিং স্টেশনে সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে চিটাগাংরোডের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে শতাধিক সিএনজি, ব্যাটারি চালিত মিশুক, ইজিবাইক, অটোরিকশা আটক করে এনে রেকার বিল করা হয়েছে। সুত্রমতে দৈনিক গড়ে ১শ গাড়িতে রেকার বিল করা হয়। এরমধ্যে ১৫শ টাকা রেকার বিল এবং ১হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায়। অর্থাৎ দৈনিক এই খাতে আড়াই লাখ টাকা আদায় করা হয়। মাসে অন্তত ৭৫ লাখ টাকা। এছাড়া বাস ট্র্যাক, কাভার্ডভ্যান, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস সহ ভারি পরিহন খাতে একইভাবে মাসে আরো ৪০/৪৫ লাখ টাকার মতো রেকার বিল আদায় করা হয়ে থাকে। সুতরাং রেকার বিলের নামে মাসে অন্তত দেড় কোটি টাকা এবং মামলার জরিমানা থেকে কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকা। আর এসব মিলে এই খাতে মাসিক অন্তত ২কোটির টাকার উপরে আদায় হয়ে থাকে। তবে অবৈধ উপায়ে অর্জিত চাঁদার টাকার অংকটা আরো অনেক বড়। আর এই খাতে পুলিশের সিন্ডিকেটে রয়েছে স্থানীয় নেতা-পাতিনেতা সহ কিছু কথিত সাংবাদিক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চাঁদা আদাকারীরা জানায়, চিটাগাংরোড ও সাইনবোর্ড স্ট্যান্ডে কাগজপত্রবিহীন অন্তত ৫ হাজারের অধিক সিএনজি রয়েছে। প্রতিটির মাসিক চাঁদা ৫৫০ টাকা ও দৈনিক চাঁদা ৮০ থেকে ১২০ টাকা। চিটাগাংরোড ও সাইনবোর্ড স্ট্যান্ডে রাস্তা দখল করে দুইপাশে ছোট বড় মিলে অন্তত ২শ করে ৪শ বাসকাউন্টার বসানো হয়েছে। পুলিশের ঝামেলামুক্ত থেকে রাস্তায় গাড়ি চালানোর জন্য বাস মালিকেরা প্রতিটি বাস কাউন্টার প্রতি কমপক্ষে ৫ হাজার থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত মাসোয়ারা দিয়ে থাকে। ২শ কাউন্টার থেকে মাসিক গড়ে ১০ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করা হলে ২টি স্ট্যান্ডে ৪শ কাউন্টার থেকে মাসিক অন্তত ৪০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়ে থাকে। টিআই শরফুদ্দিন নিয়ন্ত্রনে সাইনবোর্ড স্ট্যান্ডে শ্রমিকলীগ নেতা আসলাম বাহিনী এবং চিটাগাংরোড স্ট্যান্ডে পরশ বাহিনী অন্তত ৫ হাজারের অধিক সিএনজি ও লেগুনা থেকে মাসিক সিএনজি প্রতি ৫৫০ ও লেগুনা প্রতি ১৫শ টাকা এবং দৈনিক সিএনজি প্রতি ১২০ টাকা ও লেগুনা প্রতি ২৫০ টাকা করে চাঁদা আদায় করে থাকে। আর এই চাঁদা আদায়কারীদের শেল্টার দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় সাংবাদিক মুন্না ও তার সিন্ডিকেট। সিএনজি চালক মাসুম জানায়, দৈনিক ৬৫০ টাকা মালিক জমার ভিত্তিতে গাড়ি চালাতে হয়। নেতা আসলামের লাইনম্যানের কাছে টিআই শরফুদ্দিনের জন্য সাইনবোর্ড স্ট্যান্ড থেকে প্রতি মাসে ৫শ টাকা, দৈনিক ৮০ টাকা থেকে ১২০টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিয়ে গাড়ি চালাতে হয়। এই স্ট্যান্ড থেকে নারায়নগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ৩ হাজারের মতো সিএনজি গাড়ি চলাচল করে। একই নিয়মে সবাইকে চলতে হয়। তারপরেও মাসে একবার দুইবার ধরে নিয়ে ৩৫শ টাকা পর্যন্ত রেকার বিল রাখে। আবার জরিমানার মামলা দেয়। সেলিম আশরাফ নামের এক সিএনজি ড্রাইভার বলেন, সাইনবোর্ড গোলচত্বর থেকে প্রতিদিন মুন্সীগঞ্জের মাওয়া পর্যন্ত গাড়ি চালাই। এজন্য প্রতিদিন ৬০ টাকা হারে এবং মাসিক ৫শ টাকা হারে মানতি দিতে হয়। টিআই স্যার নামে মাসে ৫শ টাকার স্টীকার খরচ আদায় করে মাসুদ, লিটন ও মঞ্জু ভাই। আর আসলাম ভাইয়ের জন্য দৈনিক ৬০ টাকা হারে আদায় করে রুবেল ও সৈকত। সিএনজিতে যাত্রী উঠার সাথে সাথেই তাদেরকে চাঁদার টাকা পরিশোধ করতে হয়। তবে চাঁদার এই টাকা যার পকেটেই যায় না কেন র‌্যাব-পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় শুধুমাত্র ৫শ টাকা রোজের কামলা রুবেল-সৈকতরা। টিআই সরফুদ্দিন স্যারের একটি স্পেশাল সিএনজি স্ট্যান্ড রয়েছে। যেখান থেকে অন্তত ৩০টির অধিক সিএনজি গাড়ি প্রতিদিন মহাসড়ক পারাপার হওয়ার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বেশী ভাড়ায় যাওয়ার সুযোগ পায়। এজন্য সিএনজি ড্রাইভারদের প্রতিদিন গুনতে হয় ১শ ২০ টাকা হারের চাঁদা। আর স্ট্যান্ডটি হচ্ছে সাইনবোর্ড মহাসড়কের উত্তর পাশে ডেমরা রোডের মাথায় ট্র্যাফিক বক্সের সমানে। এখান থেকে টিআই সরফুদ্দিন মাসে ১লাখ টাকার উপরে চাঁদা আদায় করে, যা তার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কেউ জানেনা। চাঁদা আদায়ের ক্ষেত্রে টিআই সরফুদ্দিন যেমন অতুলনীয়, তেমনি গরীব অসহায় ড্রাইভারদের কারনে অকারনে নির্যাতনের ক্ষেত্রে তার দক্ষতা রয়েছে যথেষ্ট। এছাড়া সাইনবোর্ড মহাসড়কের উত্তর ও দক্ষিণ পাশে রাস্তা দখল করে বসানো হয়েছে অন্তত ২ শতাধিক বাসকাউন্টার। আর কাউন্টার গুলো চলে মাসিক চাঁদার ভিত্তিতে। কাউন্টার প্রতি মাসে ১৫ হাজার থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে কাউন্টারের এই চাঁদার মধ্যে নেতা-খেতা ও পাতিনেতার কোন খাওয়া নেই। এটা শুধু টিআই সরফুদ্দিন ও হাইওয়ে ওসি রেজাউল হকের মধ্যে সীমাবদ্ধ। চিটাগাংরোডস্থ নাফ ও শিমরাইল নামক মিনিবাস পরিবহন সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানায়, সাইনবোর্ড থেকে মেঘনা ব্রিজ পর্যন্ত অন্তত ২শতাধিক গাড়ি থেকে দৈনিক ২২শ টাকা হারে আদায় করে ১হাজার টাকা গাড়ির মালিক, ৬৫০ টাকা টিআই-ওসির এবং অবশিষ্ট ৫৫০ টাকা নেতা-খেতা ও কথিত সাংবাদিক মুন্না বাহিনীর মধ্যে ভাগ-বন্টন হয়ে থাকে। চিটাগাংরোডস্থ ট্র্যাক স্ট্যান্ড ও কাচপুর ব্রিজের নিচে পশ্চিম পাশে শতাধিক ট্র্যাক পরিবহন ট্রান্সপোর্ট রয়েছে। আর এগুলো নিয়ন্ত্রন করে পরিবহন শ্রমিক নেতা নুরুজ্জামান জজ মিয়া। ট্র্যাক পরিবহন ট্রান্সপোর্ট গুলো থেকে টিআই সরফুদ্দিন ও ওসি রেজাউলের জন্য মাসে বরাদ্দ থাকে ট্রান্সপোর্ট প্রতি ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা। টিআই সরফুদ্দিন ও ওসি রেজাউলের ভাগের টাকা বুঝিয়ে দিয়ে চিটাগাংরোডের সিএনজি স্ট্যান্ডের চাঁদা আদায় করে মিঠু, লেগুনা থেকে টেম্পু আতিক ও ফুটপাতের দোকান থেকে জামাল ও দেলোয়ার। এদেরকে ছায়া দিয়ে মজা নেয় কথিত সাংবাদিক মুন্না। মুলধারার কোন সাংবাদিক কখনো এসব চাঁদাবাজির বিষয়ে জানতে চেয়ে টিআই সরফুদ্দিন বা ওসি রেজাউলের কাছে ফোন দিলে বা জিজ্ঞেস করলে কিছুক্ষনের মধ্যেই তাকে ম্যানেজ করার জন্য ১ থেকে ২ হাজার টাকা মাসোয়ারা অফার নিয়ে হাজির হয়ে যায় কথিত সাংবাদিক মুন্না। সাংবাদিকের আইডি কার্ড আছে, তাদের পত্রিকায় বা টিভি চ্যানেলে কোন নিউজ নাই, এমন সাংবাদিক (কথিত) অন্তত ৩ ডজনের বেশী রয়েছে, যারা ১ থেকে ২ হাজার টাকা মাসোয়ারার জন্য হাজির হয় টিআই সরফুদ্দিন বা ওসি রেজাউলের দরজায়। কাঁচপুর ব্রিজের নিচে সিলেট ও অন্যান্য রুটের অন্তত শতাধিক বাস কাউন্টার ও চট্টগ্রাম রুটের শতাধিক বাস কাউন্টার, ভুলতা-গাউছিয়ার রোডের প্রায় ২শ মতো লেগুনা, ২ হাজারের মতো সিএনজি ও অটোরিকশা, ৭/৮শ ফুটপাতের দোকান ও ব্রিজের নিচের ট্র্যাক স্ট্যান্ড থেকে একই সিস্টেমে সবমিলে মাসে অন্তত ২/আড়াই কোটি টাকার অধিক চাঁদা আদায় হয়ে থাকে। পরিচয় গোপন রেখে জিজ্ঞেস করলে চাঁদা প্রদানকারীরা চাঁদাবাজদের নাম-পরিচয় সহ সব কিছুই অকপটে বলে দেয়। এবিষয়ে শ্রমিক নেতা আসলাম বলেন, সব সাংবাদিক মুন্না সাংবাদিকের কাছে ম্যানেজ বলে আমাদের মুন্না চাঁদাবাজিতে নামিয়েছেন। এবং সাংবাদিকদের নামে প্রতিমাসে তিনি টাকা নিয়ে যান। পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীকে ম্যানেজ করে এ অবৈধ কর্মকান্ড চলছে বলে তিনি অকপটে স্বীকার করে বলেন লিখলে দ’ুচারদিন গরম পরে সব যেভাবে আছে সেভাবেই চলবে। তবে কথিত সাংবাদিক মুন্না তার বিরুদ্ধে আনীত এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। শ্রমিক নেতা জজ মিয়ার মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভি করেনেনি। কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি রেজাউল করিমের মোবাইলে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল ট্রাফিক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ টিআই শরফুদ্দিনকে ফোন দিলে তিনি এসব অভিযোগ সত্য নয় বলে মোবাইল কেটে দেন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা