সাবেক এমপি গিয়াসের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলার চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে তা অনুমোদন দেয়া হয়। দুদক কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হকের সই করা চিঠির সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার তদন্ত কর্মকর্তা দ্রæত আদালতে তা দাখিল করবেন বলে সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গিয়াস উদ্দিন অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য ছিলেন। দুদক সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর দুদক উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় ১ কোটি ৪১ লাখ ৮৬ হাজার ৯৩১ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছিল। তবে অনুমোদিত চার্জশিটে টাকার অংক কিছুটা কমেছে বলে জানা গেছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০২০ সালের ২ নভেম্বর মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেওয়া হয়। পরে ওই বছরের ২৩ ডিসেম্বর দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন তিনি। অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র ও দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী যাচাই করে গিয়াস উদ্দিনের নামে ১৫ কোটি ৭ লাখ ১৫ হাজার ৭৭৯ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ৫ কোটি ৮৮ লাখ ৭০ হাজার ৩১৮ টাকা অস্থাবর সম্পদসহ মোট ২০ কোটি ৯৫ লাখ ৮৬ হাজার ৯৭ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। সূত্র জানায়, গিয়াসউদ্দিন ২০০৮-২০০৯ করবর্ষ থেকে ২০২১-২০২২ করবর্ষে পারিবারিক ও অন্যান্য খাতে ১৭ কোটি ৪৫ লাখ ৯০ হাজার ৪৩ টাকা ব্যয়ের তথ্য পায় দুদক। এসব ব্যয়ের বিপরীতে বিভিন্ন সময়ে সঞ্চয় হিসাবে ছয় কোটি ৮১ লাখ ২২ হাজার ৮৫৬ টাকা, গৃহ সম্পত্তি থেকে আয়ের দুই কোটি ১৮ লাখ ৬৯ হাজার ৪৫০ টাকা, বাবার কাছ থেকে হেবা মূল্যে প্রাপ্ত ১১ শতাংশ জমিসহ সাত কোটি টাকার চালান, ৪ লাখ ৩২ হাজার টাকার মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ মোট ১৭ কোটি ৬৮ লাখ ৮৪ হাজার ৭৩৭ টাকার বৈধ ও গ্রহণযোগ্য উৎস পাওয়া গেছে। তবে তার নথি অনুযায়ী কাসসাফ শপিং সেন্টার নির্মাণ ব্যয় প্রদর্শনকালে ২০২১-২০২২ করবর্ষে মার্কেটের ৮০২ বর্গমিটার নির্মাণে ১ কোটি ৪১ লাখ ৮৬ হাজার ৯৩১ টাকা বিনিয়োগের বিষয়ে বৈধ উৎস পায়নি দুদক। যা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে। তাই দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় চার্জশিট অনুমোদন দেয়া হয়েছে।