মহানগর আ’লীগে জটিলতা বাড়ছে
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগে জটিলতা কমছে না। দিন দিন এ জটিলতা বেড়েই চলছে। নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের ওয়ার্ড কমিটি নিয়ে অসন্তোষ সা¤প্রতিক সময়ে ব্যাপকভাবে আলোচিত। ঠিক এমননিই অসন্তোষ দেখা যাচ্ছিল মহানগরের ওয়ার্ড সম্মেলন চলাকালীন সময় নেতা নির্বাচন নিয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহার মধ্যকার। তবে এই অসন্তোষ থেকে বিভেদে জড়িয়েছেন ঠিক এভাবেই নেতাকর্মীদের আইওয়াশ করিয়েছেন সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা। এভাবে ১৭টি ওয়ার্ডের সম্মেলন সমাপ্তি করে তাদের মধ্যকার বিভেদ জটিলতার অযুহাত দেখিয়ে বছরের অধিক সময় পার করেছেন। এর মধ্যেই হঠাৎ আচমকা মধুর সম্পর্কে মেতে উঠতে দেখা যাচ্ছিল নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহার মধ্যে সেই সাথে সাথে কিছুদিনের মধ্যোই দীর্ঘ অপেক্ষার পর নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের ১৭টি ওয়ার্ড কমিটি প্রকাশিত হয়। হঠাৎ আচমকা কমিটি প্রকাশে তাদের মনগড়া পছন্দের নেতাদের দ্বারা কমিটি গঠন করায় মহানগরের অগ্রভাগের নেতাকর্মীরা অসন্তোষ থাকলেও অত্যান্ত খোশমেজাজে রয়েছেন আনোয়ার হোসেন এবং খোকন সাহা সমর্থিত নেতাকর্মীরা। এভাবেই কৌশলের প্রয়োগ করে মহানগরের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বুঝিয়ে দিলেন আনোয়ার হোসেন এবং খোকন সাহা ‘আগে তিতা পরে মিঠা’। সূত্র বলছে, গত ১২ ফেব্রæয়ারি নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের ১৭টি ওয়ার্ডের কমিটির প্রকাশ করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। তবে ওয়ার্ড কমিটি গঠনের লক্ষ্যে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসেই ওয়ার্ড ভিত্তিক সম্মেলন করেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু ওয়ার্ড সম্মেলন করলেও নানা অযুহাতে সেখানে কমিটি গঠন করনেননি মহানগরের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক। তবে ওয়ার্ড সম্মেলনেই নেতা নির্বাচন করার এক ধরণের চাপ থাকার কারণে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক এবং অর্ধ কমিটি করেছিল। কিন্তু ওয়ার্ড সম্মেলন চলাকালেই মহানগরের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে বিভেদ সৃষ্ট হতে দেখা যায়। কোনমতে ওয়ার্ড সম্মেলনগুলো শেষ করেই বিভেদে জড়ান এরপর তাদেরকে আর এক টেবিলে বসে সভা সমাবেশ করতে দেখা যেত না। তবে মহানগরের নেতাকর্মীদের মতে, তারা তাদের স্বার্থ হাসিলে আইওয়াশ হিসেবে তাদের মধ্যকার বিভক্তি স্পষ্ট করে তারা তাদের পছন্দের নেতাদের দ্বারা কমিটি গঠনের প্রক্রিয়ার কার্য সম্পাদান করেন। কিন্তু বছরের মত সময় অতিক্রম করেও কমিটি প্রকাশ করেননি মহানগরের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু হঠাৎ মধুর সম্পর্কে জড়িয়ে এক টেবিলে বসে সভা সমাবেশ করতে দেখা মিলে মহানগরের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহাকে রীতিমতো চমকে যান মহানগরের নেতাকর্মীরা। এর কিছুদিনের মধ্যেই ১৭টি ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের কমিটি প্রকাশ করেন হঠাৎ আচমকা মহানগরের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা। আর এই কমিটি নিয়ে মহানগরের নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রকট আকারে অসন্তোষ দেখা দেয়। আর এই অসন্তোষ থেকে মহানগরের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন মহানগর আওয়ামীলীগেরই এক বহিষ্কৃত নেতা হুমায়ন কবির মৃধা। এরপরই নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীও ১৭টি ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ কমিটি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। তবে নেতাকর্মীরা অসন্তোষ হলেও এরমধ্যেই তারা বুঝে গিয়েছেন পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক অনেকটা সুকৌশলে ওয়ার্ড কমিটি নিয়ে মহানগরের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক নিজেদের পছন্দের লোক বসাতে মহানগর আওয়ামীলীগে জটিলতা সৃষ্ট করেছিলেন। আর এই জটিলতার মধ্যে মহানগরের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক ‘আগে তিতা পরে মিঠা” কৌশল প্রয়োগ করেছেন। যেখানে ওয়ার্ড সম্মেলন চলাকালীন সময়ে তাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্ট করেন আবার এখন ওয়ার্ড কমিটি গঠন করে মধুর সম্পর্কে রয়েছেন। আর এই মধুর সম্পর্কে থাকাকালীন সময়েই ওয়ার্ড কমিটি নিয়ে বহু আলোচনা সমালোচনা ওয়ার্ড নেতাকে বহিষ্কার তার পাল্টা প্রতিবাদ থেকে ১৭টি ওয়ার্ডের বিদ্রোহের ঘোষণা এইরকম নানা কিছু ঘটলেও কোন কিছুতেই ঘা না ভাসিয়ে ওয়ার্ডের নেতাদের নিয়ে বীরদর্পে মহানগরের রাজনীতি করে যাচ্ছেন আনোয়ার হোসেন-খোকন সাহা।