দুইজনেই আটকা জেলা আ’লীগ
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন হলেও বছরের অধিক সময় পার হলেও জেলার পূর্ণ কমিটি গঠন করতে পারেনি। যার কারণে জেলার সভাপতি আব্দুল হাই এবং সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকে যাচ্ছে জেলা আওয়ামী লীগ। এতে করে দীর্ঘদিনে জেলার অন্যান্য নেতারা দীর্ঘ সময় অতিক্রমের পরও কমিটিতে নিজেদের ঠাঁই না পাওয়াতে জেলার রাজনীতি থেকে অদূরে রয়েছে। জেলায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নেতাদের অনীহাও জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতি পরিচালনায় কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে জেলার সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের। এতে করে এক প্রকার বাধ্য হয়েই জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে আক্ষেপ নিয়ে মুখ খুললেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল। সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল বলেছেন, মদনপুরের কমিটি নেই গোগনগরে কমিটি নেই আমার থাইকা লাভটা কী? হাই সাহেবের কাছ থেকে পদত্যাগপত্র নেন আমি দিয়ে দিব। জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই চলেন সবাই মিলে আমরা কেন্দ্রে যাই। কবে কতদিনের মধ্যে কমিটি হবে সেটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী সদর-বন্দর আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দেয় নাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই আসনে বড় ক্ষোভ ছিল। কেন ভুল আমাদের আমাদের ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রী কাছে ব্যর্থ হয়েছি। আওয়ামী লীগের জন্মভূমি নারায়ণগঞ্জ এই আসনে নৌকা মার্কার প্রার্থী থাকবে না এটা কোন কথা। ঠিক এভাবেই জেলার সাধারণ সম্পাদক নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান রাজনীতি নিয়ে আক্ষেপ করেন। দলীয় সূত্র বলছে, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই সম্মেলনের দীর্ঘ পাঁচ মাস পর ২০২৩ সালের ১৮ মার্চ জেলা আওয়ামী লীগের ৭৫ সদস্য প্রস্তাবিত কমিটি কেন্দ্রে জমা দেন। অপরদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল দীর্ঘ ছয় মাস পর ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল জেলা আওয়ামীলীগের ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট প্রস্তাবিত কমিটি পৃথক কমিটির জমা দেন। তাদের পৃথক পৃথক কমিটির জমা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রের নির্দেশনা রয়েছে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে সমন্বয় করে কমিটি দেয়ার জন্য। তবে সমন্বয় করে কমিটি এখনো জমা দিয়েছে কিনা এখনো খুলাশা না করলেও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের ভাষ্য কমিটি কেন্দ্রে জমা দেয়া আছে কেন্দ্রে যেকোন সময় কমিটির অনুমোদন দিতে পারে। জেলা আওয়ামী লীগের পৃথক পৃথক ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট প্রস্তাবিত কমিটি কেন্দ্রে জমা দিয়ে দায় এড়ালেও এখনো সে কমিটি অনুমোদিত না হওয়ায় পড়েছেন বিপাকে। কারণ সংগঠন থেকে তাদের প্রতি তিক্ততা চলে আসছে। যার কারণে জেলার রাজনীতি ধীরে ধীরে দুর্বল সংগঠনে পরিণত হচ্ছে। এ সকল বিষয়বস্তুর কারণেই আক্ষেপ করে মুখ খুলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল। তবে কমিটি নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাইয়ের। কারণ তিনি পূণরায় জেলার নেতৃত্বে আসার পর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থা বা কমিটি নিয়ে মুখ খুলেন না। কারণ পৃথক কমিটি করেই তিনি দায় সেরেছেন জেলার নেতাদের অভিমত। অপরদিকে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এই বিষয়টিও স্পষ্ট করেছেন ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বের অভাবে দলীয় প্রধানের কাছে ব্যর্থ হয়েছেন। যার কারণে জেলা আওয়ামীলীগ থেকে জোড়ালোও দাবি থাকলেও সদর-বন্দর আসনে আওয়ামীলীগের প্রার্থীই দেয়া হয়নি। তবে সদর-বন্দর আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই এবং সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল। কিন্তু বাদলের ভাষ্যে স্পষ্ট জেলার রাজনীতিতে একের পর এক ব্যর্থতায় দৈন্যদশার পরিণত হতে যাচ্ছে। কিন্তু এ সকল বিষয়বস্তু নিয়ে জেলার সভাপতি আব্দুল হাইয়ের কোন মাথা ব্যথা নেই। এতে করে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা হতাশায় ভোগছেন।