শহীদ নগরে শিশু ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টা
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জে প্রবাসীর ৪ বছরের কন্যা শিশু ধর্ষণের ঘটনা গ্রাম্য বিচার সালিশ করে ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মাতুব্বর সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। এমনকি এ ঘটনায় মামলা না করতে এবং কাউকে না জানাতে শিশুর পরিবার কে চাপ দেওয়া হচ্ছে।ভুক্তভোগী পরিবার তাদের ভয়ে থানায় যেতে না পেরে ৯৯৯ এ ফোন করে সহায়তা কামনা করেন।কিন্তু নুন্যতম প্রতিকার বা সহায়তা না পেয়ে লোকলজ্জার ভয়ে অসহায় শিশুর পরিবার বাসা ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে। ধর্ষক লিমন ও তার পরিবার স্থানীয় মাতুব্বর সিন্ডিকেট কে টাকা দিয়ে অবুঝ শিশু ও তার পরিবারের প্রতি অবিচার করেছে। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে।ক্ষোভে ফুসে উঠছে সাধারণ মানুষ। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নাসিক ১৮নং ওয়ার্ড শহীদ নগর ২নং গলি শেষ মাথায় ওয়াখিল উদ্দিন জামে মসজিদের পিছনে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুর রহমানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় বাদশা মিয়া এবং পিয়ারী বেগম জানান,ভাড়াটিয়া আব্দুর রশিদ ড্রাইভারের ছেলে ধর্ষক লিমন (১৭) এবং নির্যাতনের শিকার শিশু (৪) পরিবারসহ একই বাড়িতে দীর্ঘদিন যাবত মাটি ভাড়া নিয়ে পাশাপাশি ঘর তুলে বসবাস করে আসছে।শিশুর বাবা ওমান প্রবাসী।শিশুর মা ও চাচা এবং দাদী একসাথে থাকে।গত শুক্রবার বিকেলে লম্পট লিমন পেন্সিলের রাবার দেওয়ার কথা বলে ওই শিশু কে ডেকে ঘরে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে দরজা বন্ধ করে জোরপূর্বক শিশু কে ধর্ষণ করে এবং কাউকে কিছু না বলার জন্য ভয় দেখায়।পরে বাসায় এসে শিশুটি পেটে ব্যাথা করছে বলে কান্নাকাটি করে।পরবর্তীতে দাদী সখিনা বেগম ও মায়ের কাছে লিমন কর্তৃক ধর্ষণের ঘটনা বলে। তখন শিশু কে স্থানীয় ফার্মেসীতে নিয়ে যায় এবং বাড়ির মালিক সহ অন্যান্যদের ঘটনা জানান। মুনসুর নামে শিশুর এক স্বজন জানান, গত শনিবার রাত ৮ টার দিকে বাড়ির মালিকের ভাই কালাম ও স্থানীয় মাতুব্বর নুর হোসেন, জামাল হোসেন, পোকা আসলাম সহ আরও কয়েকজন ভুক্তভোগী শিশুর ভাড়া বাসায় গিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় বিচার সালিশ করেন।ধর্ষক লিমন ও তার বাবা রশিদ ড্রাইভার সহ তার পরিবারের লোকজন বিচারকদের সামনেই ভুক্তভোগী পরিবারকে বাসা ছেড়ে চলে যেতে হুমকি দেয়।এসময় সালিশ সিন্ডিকেট শিশুর মা ও দাদীকে এ বিষয় নিয়ে কোনো মামলা না করতে এবং কাউকে না জানাতে বলে।তাই মাতুব্বরদের ভয়ে থানায় যেতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে গত শনিবার রাত ১০ টার দিকে ৯৯৯ এ ফোন করে সহায়তা কামনা করেন। কিন্তু কোনো আইনী সহায়তা পাননি বলে অভিযোগ করেন ওই স্বজন। অসুস্থ হয়ে পড়ায় পরিবারের সদস্যরা গতকাল রবিবার বিকেলে পুনরায় শিশুটিকে নগরীর চাষারাস্থ সিটি লাইফ ক্লিনিকে নিয়ে যান বলে জানান। ওই শিশুর দাদী বলেন, শিশুটির পরিবার দরিদ্র হওয়ায় এবং অভিযুক্ত তরুণের পরিবার স্থানীয় হওয়ায় এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা মামলা না করার জন্য শিশুটির পরিবারকে চাপ দিয়ে বিচার সালিশ করে দেয়। এ বিষয় জানতে চাইলে বাড়ীর মালিকের ভাই কালাম বলেন, ভাড়াটিয়াদের মধ্যে একটা তুচ্ছ ঘটনা ঘটেছে। আমরা বিচার সালিশ করে সমাধান করে দিয়েছি।