ঈদের পর বিএনপি রাজনীতির মাঠ গরম করতে চায়
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট বিএনপির একদফার আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার পর নেতারা প্রায় ঝিমিয়ে পড়েছে। যাকে ঘিরে নির্বাচনের ৩ সপ্তাহ পর কালো পতাকা মিছিল পরবর্তীতে আরো ১৪ দিন পর গণসংযোগের বাইরে এ পর্যন্ত বড় কোনো কর্মসূচি দেয়নি দলটি। নেতাকর্মীদের দাবি-নানা কারণে এবার কর্মসূচি ঘোষণা হবে ভেবেচিন্তে। আর বর্তমানে এসএসসি পরীক্ষা ও রমজানের কারণে শিগগিরই বড় কর্মসূচিতে যেতে পারছে না দলটি। এজন্য নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত ও সংগঠনকে শক্তিশালী করতে চলছে নানা পরিকল্পনা। সুবিধাজনক সময়ে টানা কর্মসূচিও দেওয়ার চিন্তা রয়েছে নীতিনির্ধারকদের। সেই অনুযায়ী সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলন সামনে রেখে দল পুনর্গঠনের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিএনপি। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন আংশিক কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে এই প্রক্রিয়া শুরু করল দলটি। তা ছাড়া রমজানের মধ্যে আর তার আগেই একটি একটি করে সকল অঙ্গসংগঠনের কমিটি ভেঙ্গে দেওয়া হবে তার পরবর্তিতে ঈদের পরপরই শুরু হতে পারে জেলা ও মহানগর বিত্তিক অঙ্গসংগঠনের কমিটি পরিবর্তন তার পরে কেন্দ্রীয় হাইকমান্ডের আলোচনার সাপেক্ষে পরবর্তীতে মূল কমিটিগুলোতে ও বইতে পারে পরিবর্তনের হাওয়া। দলীয় সূত্র মতে, গত বছরের জুলাই মাসে একদফার আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে ছিল বিএনপি। পরবর্তী সময়ে রাজধানীসহ সারা দেশে কঠোর কর্মসূচি পালন করে দলটি। যুগপৎভাবে একই কর্মসূচি পালন করেছে সমমনা ৩৬টি দলও। ২৮ অক্টোবর থেকে ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত হরতাল, অবরোধসহ অসহযোগ আন্দোলনও পালন করেছে দলগুলো। যাকে ঘিরে কারবন্দি ও নাশকতা মামলা আসামী হয়েছিলেন বিএনপির শীর্ষপদের নেতাকর্মীদের থেকে শুরু প্রতিটি জেলা, থানা, ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। যার বর্তমানে ২ মাস কেউ ৩-৪ মাস পর এসে কারামুক্ত হচ্ছেন এমনকি এখনো বহু নেতাকর্মীরা কারাবন্দি রয়েছেন। অনেকে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেতে আবেদন করলে ও এখনো সেই আবেদনের জামিন মঞ্জুর করা হচ্ছে না, যাকে ঘিরে হতাশায় বিএনপির বহু নেতাকর্মী। জানা গেছে, বর্তমানে কারাবন্দি দলের শীর্ষনেতাদের বেশিরভাগ নেতার মুক্তি মিলেছে। এখন ২৮ অক্টোবরের আগে-পরের বিষয়াদি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরীণ ও ভূরাজনৈতিক সমীকরণ মিলিয়ে নতুন করে একদফা কর্মসূচির চিন্তা করছে বিএনপি। যাতে কর্মসূচি পালনে কোনো ধরনের দুর্বলতা না থাকে। গত বছরের শেষের দিকে ‘কার্যকরী কর্মসূচি’ না দেওয়া ও শীর্ষ-কেন্দ্রীয় নেতাদের আত্মগোপনে চলে যাওয়ার ঘটনায় বিব্রত খোদ দলটির অনেক নীতিনির্ধারক। যাকে ঘিরে এবার যাচাই করে সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে কয়েক দফায় আলোচনায় বসে কমিটির রদবদলের আশঙ্খা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এদিকে শীর্ষ কিছু নেতৃবৃন্দরা বলছে, বর্তমানে সংগঠনিকভাবে বিএনপির অঙ্গসংগঠন যেমন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলে চলে এসেছে পরিবর্তন এখন বাকি যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, মহিলা দল, কৃষকদল, মৎস্যজীবি দল, শ্রমিক দল, তাঁতীদল এগুলোকে দ্রুতই সাংগঠনিকভাবে সাজিয়েই ঈদের পর পরই জেলা ও মহানগর বিত্তিক কমিটিতে রদবদল আসতে পারে। আর সেই রদবদল শেষে তারা রাজনীতির মাঠ গরম করতে চায়। এসব সংগঠনে আগামীতে কাদের শীর্ষ নেতৃত্বে আনা যায় এবং কমিটির বর্তমান শীর্ষ নেতাদের কোথায় পদায়ন করা হবে, সেগুলো নিয়ে এখন কাজ চলছে দলের মধ্যে। তা ছাড়া বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের সকল অঙ্গসংগঠনের নয়া কমিটিতে আসতে হরতাল-অবরোধে টানাভাবে পরিশ্রমী নেতারা ইতিমধ্যে কেন্দ্রে লবিং করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদল আন্দোলনকে হাস্যকরে পরিণত করেছিলেন জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক খাইরুল ইসলাম সজিব তাদের দুই একটি কার্যক্রমে দেখা গেলে ও দেখা যায়নি তা ছাড়া সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনিকে কিছু সময় রাজপথে আবার কিছু সময় রাজপথের বাহিরে অবস্থান করতে দেখা গেছে। এদিকে বর্তমানে জেলা যুবদলে নেই কোন সখ্যতা তারা তিনজনই আলাদা এভাবে থাকলে আগামীতে সংগঠনকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বের আভাস রয়েছে। একই দিকে মহানগর যুবদলে আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব শাহেদ আহমেদ কোন রকম একত্রিত থাকলে ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধানের সাতে নেই দুই জনের মধ্যে একজনের ও সখ্যতা। এখানে ও ইউনিট বা পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে রয়েছে কিছু বেজালের আভাস। তা ছাড়া মহানগর যুবদলের উভয় নেতারা কম করে হলে ও রাজপথের কঠোর আন্দোলনে কোর রকম ভূমিকায় ছিলেন। অপর সাইডে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহাবুব ও সদস্য সচিব সাল্লু প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মাত্র একদিন কঠোর আন্দোলনে রাজপথে ছিলেন। অপর দিকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রফিক দিপু ভূঁইয়ার অনুসারী হওয়ায় তিনি ও নামেনি যাকে লক্ষ্যে করে মাঠে নামেনি রফিক ও। মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন রানাকে রাজপথে গ্রেফতারের আগমুহুত্ব পর্যন্ত দেখা গেলে ও সদস্য সচিব মমিনুল ইসলাম বাবুকে রাজপথের আনাচে কানাচে ও দেখা যায়নি তা ছাড়া কোন মামলায় ছিলো না তার নাম। জেলা ছাত্রদলের রাজনীতি আন্দোলন থেকে শুরু করে সাংগঠনিকসহ কোনভাবেই পরিপূর্ন নয়। নেতা থেকে শুরু করে কর্মীরা হতাশায় এই কমিটি শীগ্রই বাতিল চেয়ে আন্দোলন আসতে পারে রাজপথে। অপর দিকে মহানগর ছাত্রদল আন্দোলনে না থাকলে ও কমিটি গঠনে একটিভ আছেন। কিন্তু বর্তমানে যেহেতু আন্দোলন মূল পয়েন্ট সেই ক্ষেত্রে পিছিয়ে এই সংগঠনটিও। তা ছাড়া কৃষকদল, শ্রমিক দলসহ সকল সংগঠনের কমিটি আসা অতন্ত বলে মনে করছে বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা তা না হলে দল সাংগঠনিকভাবে দূর্বল হয়ে পরবে। ঝিমিয়ে থাকা মনোভাব আর চাঙ্গা হয়ে উঠবে না। তা ছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির রাজনীতি বিনষ্ট হয়ে গেছেন সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক রাজপথে না নেমে আন্দোলনে কোন প্রকারের নির্দেশনা না দিয়ে সংগঠনটি পুরো ধ্বংসের দিকে ঢেলে দিচ্ছেন। অপর দিকে মহানগর বিএনপি শহরে প্রথম থেকেই ছিলেন এমনকি বর্তমানের ঢিলেঢালা কর্মসূচিগুলো ও রাজপথে থেকেই পালন করে আসছেন। এ দিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের কমিটি যেহেতু ত্যাগী ও যোগ্যদের সমন্বয়ে নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি দেওয়া হয়েছে। মাঠের নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করায় সংগঠনটির নেতাকর্মীদের মধ্যে স্বস্তি দেখা গেছে। এমনইভাবে সামনে সকল কমিটিতে ও চমক হবে আর জেলা ও মহানগরের সকল অঙ্গসংগঠনে যোগ্য ও পরীক্ষিত দ্বারাই আসার শঙ্কা পাওয়া গেছে।