নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের শেল্টারে কিশোর অপরাধীরা অপ্রতিরোধ্য
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট কুতুবপুরে কিশোর অপরাধীদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে সখ্যতা রেখে, ছবি তুলে এলাকায় প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে নানা ধরনের অপরাধ সংগঠিত করছে। ইতোমধ্যে কিশোর অপরাধীদের হামলায় এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। তবুও এই বাহিনীর অপতৎপরতা থেমে নেই। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, কুতুবপুরে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় কিশোর অপরাধীরা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, কুতুবপুরের কিশোর অপরাধীদের দমন করবে কে? স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, কুতুবপুরেট আলোচিত কিশোরগ্যাং লিডার লিমন, ইমরান, নাঈম, রায়হান, মুজাহিদের নেতৃত্বে প্রায় সহস্রাধিক কিশোর অপরাধী সক্রিয় রয়েছে। এদের সঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা এবং প্রশাসনের একাধিক কর্তার সঙ্গে সখ্যতা রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসন এবং নেতাদের নাম ব্যবহার করে এসব উঠতি বয়সের সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, কুতুবপুরের অপরাধ জগৎ মূলতঃ কিশোর অপরাধীদের হাতেই পরিচালিত হচ্ছে। এলাকায় চাঁদাবাজি, জোর করে নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবসা, নেট, ডিস ব্যবসা এবং উঠতি বয়সের সন্ত্রাসীদের সংগঠিত করে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সংগঠিত হচ্ছে কিশোর অপরাধীদের হাতেই। সূত্র জানায়, কুতুবপুরে বৌবাজার, শাহীবাজার, রসুলপুর, আমতলা, নূরবাগান, পাগলা রেললাইন এলাকায় নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে মূল হোতা লিমন, ইমরান, নাঈম, মিশাল। এদের নেতৃত্বে কয়েকশ কিশোর অপরাধী এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ছিনতাই করে বেড়াচ্ছে। সাংসদ শামীম ওসমানের পুত্র অয়ন ওসমানের নাম, ছবি ব্যবহার করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে এলাকাবাসীকে জিম্মি করে রেখেছে। প্রায় সময়ই এই বাহিনীর হামলা নিরিহ মানুষ আহত হচ্ছে। সম্প্রতি মাদকসহ লিমন-ইমরান বাহিনীর সদস্য রকি, শুক্কুর, মিসাইল, টাইগার, নাঈম মাদকসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। একই অভিযোগ আদর্শ নগর এলাকার রায়হান, শহীদ নগরের মুজাহিদ, মুন্সীবাগের টিপু, রোমান, মিজানের বিরুদ্ধেও। রায়হান নিজেকে অয়ন ওসমানের ঘনিষ্ঠজন পরিচয় দিয়ে মুজাহিদ, মিজানকে নিয়ে বিশাল বাহিনী গড়ে তুলে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে বেড়াচ্ছে এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। এই বাহিনীর এলাকায় মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, জোর করে নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবসা, নেট,ডিসের ব্যবসার নিয়ন্ত্রক এই বাহিনীর সদস্যরা। ইতোমধ্যে এই বাহিনীর অন্যতম হোতা শহীদ নগরের মুজাহিদ বিপুল পরিমাণ মাদকসহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি) হাতে গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন জেল হাজতে ছিল। সম্প্রতি রায়হান বাহিনীর হামলায় কুতুবপুর ক্যানেলপাড় এলাকায় সালমান (১৭) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। সিগারেট খাওয়াট প্রতিবাদ করায় সালমানকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।