সোনারগাঁয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠে
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট উপজেলা নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা করেছে নির্বাচন কমিশন। তারই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জের ৫টি উপজেলার মাঝে সোনারগাঁ উপজেলার সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা মাঠে নেমে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। কখনো উঠান বৈঠক, কখনো হাটে, ঘাটে মাঠে মানুষের কাছে গিয়ে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা মাঠে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে প্রচারনা চালাচ্ছেন। তাছাড়া ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জের ৫টি উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। এজন্য সম্ভাব্য প্রার্থীরা ভোটারদের মনজয়ের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এদিকে উপজেলা পরিষদ আইন, ১৯৯৮-এর ১৭(১) ধারা অনুযায়ী উপজেলা পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখের আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোট গ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ হিসাবে আগামী মার্চই হচ্ছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের উপযুক্ত সময়। ২০১৯ সনের প্রথম ধাপে উপেজলা নির্বাচন হয়েছে ১৮ মার্চ। কিন্তু এবার মার্চে রমজান মাস থাকায় এই সময় নির্বাচন না হয়ে তা মে মাসে গিয়ে পড়েছে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জ সদর এবং বন্দর উপজেলার নির্বাচন আগামী ৪ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁ,রূপগঞ্জ ও আ্ড়াই হাজার উপজেলা নির্বাচন ১১ মে অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য এখন থেকেই প্রার্থীরা মাঠে নেমে নিজেদের মত করে প্রচারনা চালিয়ে গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। অপরদিকে উপজেলা নির্বাচন সামনে রেখে ইতিমধ্যেই আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছে। তবে বিএনপি ও তাদের সমমনা জাতীয় নির্বাচনকে যে ভাবে বয়কট করেছে তা উপজেলা পর্যায়েও বয়কট করতে যাচ্ছে। তবে উপজেলা এই নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। দলের ভেতর চলছে নানা আলোচনা। এছাড়া এবার উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকায় আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী সোনারগাঁ উপজেলা থেকে নির্বাচনের জন প্রস্তুতি নিচ্ছে। কেননা গতবারের নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী থাকায় সকলের জন্য উম্মুক্ত ছিল না। তার মাঝে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ার জানান দিয়ে তিনজন প্রার্থী এখন থেকে পুরোদমে মাঠে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার মাঝে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কমিটির সদস্য মাহফুজুর কালাম চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হবে জানান দিয়ে পুরো উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। তার সাথে পাল্লা দিয়ে মাঠে রয়েছেন সোনারগাঁ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান বাবুল ওমর বাবু। একই সাথে কোন অংশে পিছিয়ে নেই সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু। তারা প্রত্যেকেই সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন এলাকার চায়ের দোকান থেকে শুরু করে হাটে ঘাটে মাঠে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই সাথে ভোটারদের সাথে কুশল বিনিময় করছেন। উপজেলা পরিষদ একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় সরকার। বস্তুত গ্রামীণ জনপদের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও জনগণের জীবনমান উন্নয়নের প্রশ্নে উপজেলা পরিষদই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। উপজেলা পরিষদের নির্বাচন দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হয় বলে রাজনৈতিক দলগুলো এতে অংশ নিয়ে থাকে। ইসি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রস্তুতিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে এ নির্বাচনের প্রশ্নে আস্থায় নিয়ে আসাটাই মূল কথা। সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দল বিএনপি সহ সমমনা দলগুলোর মধ্যে ইসির বিরুদ্ধে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। ইসির দায়িত্ব হবে নির্বাচনের আগে এমন কিছু পদক্ষেপ নেয়া, যাতে করে উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি সহ বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। ইসির জন্য এ নির্বাচনও একটি বড় চ্যালেঞ্জ।