দৃষ্টান্ত সৃষ্টি এসিল্যান্ড কনকের
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট আড়াইহাজারে ভূমি অফিসের চালকের আসনে আছেন একজন নারী এসিল্যান্ড। অল্প সময়েই শক্তভাবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার নজির স্থাপন করেছেন এই এসিল্যান্ড শামসুজ্জাহান কনক। স্থানীয়দের মতে, তিনি আড়াইহাজারে যোগদানের পর দূর করেছেন সকল অনিয়ম। তার কঠোর অনুশাসনে ভূমি অফিসের দালালচক্র থেকে মুক্তি পেয়েছেন সেবাগ্রহীতারা। এভাবেই তিনি সাধারণ মানুষের কাছে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। ভূমি অফিসে আসা সেবাগ্রহীতারা জানান, তিনি কাজ করেন সকল প্রকার ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে। কারো সাতে-পাঁচে না গিয়ে আড়াইহাজার ভূমি অফিসকে জনবান্ধব অফিস হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে সুধীমহলের প্রশংসা অর্জন করতে পেরেছেন শামসুজ্জাহান কনক। তিনি ৩৬তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তা। কনকের গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর জেলা সদরের বিনোদপুর ইউনিয়নে। পড়াশোনা করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণিবিদ্যা বিভাগে। তার পিতার নাম এম. শামসুল হক। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবী এবং মা ফিরোজা আক্তার নিলু গৃহিণী। জানা গেছে, এসিল্যান্ড শামসুজ্জাহান কনক মিসকেসের ব্যাপারে রায় দেন নির্ভয়ে। তিনি কোনো প্রকার ভয়-ভীতির তোয়াক্কা করেন না। কাগজপত্র ঠিক থাকলে দ্রুত মিসকেস নিষ্পত্তি করেন। এছাড়া কাগজপত্র দেখে সঠিক নামজারি করে দেন। ২০২৩ সালের ১৪ জুন তিনি আড়াইহাজার উপজেলায় যোগদান করেন। তিনি যোগদান করার পর থেকেই আড়াইহাজার ভূমি অফিসে কাজে কর্মে শৃঙ্খলা ফিরে আসে এবং কাজে গতির সঞ্চার হয়। আড়াইহাজার উপজেলায় দুটি পৌরসভা ১০টি ইউনিয়নের ৩১৬টি গ্রামের মানুষের আস্থা অর্জন করেছে উপজেলা ভূমি অফিস। আগের চেয়ে পরিচ্ছন্ন ও গোছানো অফিসে কাজও হয় দ্রুতগতিতে। কনক বলেন, সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে সবার সহযোগিতা আশা করি। আমরা মান বাড়িয়ে জনগণকে আরও উন্নত সেবা দিতে চাই।