আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | বিকাল ৩:০৪

বন্দরে বিএনপির বিরোধ চাঙ্গা

ডান্ডিবার্তা | ১০ মার্চ, ২০২৪ | ১০:৫৫ পূর্বাহ্ণ
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
মহানগর বিএনপির আওতাধীন বন্দর উপজেলা বিএনপিতে চিড় ধরেছে।
কোনভাবেই রাজপথের আন্দোলনে বন্দর উপজেলা বিএনপি একত্মতা
প্রকাশ করতে পারছে না। এদিকে বিএনপির ডাকা ১৩ দফা অবরোধের
সমর্থনে বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি বা সেক্রেটারী
কোনভাবেই আন্দোলনে আসতে রাজি ছিলেন না। যাকে ঘিরে কঠোর
আন্দোলনে বন্দর উপজেলাতে আন্দোলনের ছিঁটা ফুটা ও দেখা যায়নি।
এদিকে অল্প কিছুদিন মহানগর বিএনপির ব্যানারে মহানগর বিএনপির এদিকে সাধারণ সম্পাদক হারুন অর-রশিদ লিটন টাকা না পেলে উনি
সভাপতির উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে পরেন। পরবর্তীতে বন্দর উপজেলার আওতাধীন
বিভিন্ন ব্যাবসায়ী থেকে আন্দোলনের নামে টাকা তোলেন সাধারণ
সম্পাদক লিটন সে টাকার ভাগ ও উনি কাউকে দেননি। তাদের দলাদলিতে
পিষ্ট সিনিয়র সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন শিশির। তিনি ও বর্তমানে
আলাদা রয়েছেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক থেকে। আর তাদের দ্ব›েদ্ব
বিভক্ত হয়ে পরছেন বন্দর উপজেলা বিএনপির রাজনীতি। বর্তমানে কোন
কর্মসূচিতে সভাপতিকে দেখা গেলে ও সাধারণ সম্পাদককে দেখা
যায় না। আর সাধারণ সম্পাদককে দেখা গেলে দেখা যায় না
সভাপতিকে যা নিয়ে প্রকাশ্যে না হলে ও ভিতরে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন
মহানগর বিএনপির শীর্ষ দুই নেতা। সূত্র মতে, গত বছরের ২৬ মে
মাজহারুল ইসলাম হিরনকে আহŸায়ক করে ৬৩ সদস্যের আহŸায়ক
কমিটির অনুমোদন দেন মহানগর বিএনপির আহŸায়ক অ্যাডভোকেট
সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এডভোকেট আবু আল
ইউসুফ খান টিপু। এই কমিটিতে সদস্য সচিব পদ দেওয়ার কথা
ছিলো বর্তমানের সিনিয়র সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন শিশিরকে। কিন্তু
পরবর্তীতে গত বছরের ১৩ জুন সম্মেলনের মাধ্যমে ভোট প্রয়োগ হয়
এতে সভাপতি হয় মাজহারুল ইসলাম হিরণ ও শাহিন মিয়া ও সম্রাট
হাসানকে হারিয়ে সাধারণ সম্পাদক হন হারুন অর-রশিদ লিটন। কিন্তু
বেশির ভাগ মানুষেরই দাবি মহানগর বিএনপির এক শীর্ষ নেতাকে
টাকা দিয়ে টাকার জোরে সাধারণ সম্পাদকের পদ-ভাগিয়ে দিয়েছে
এই নেতা হারুন অর-রশিদ লিটন। যা নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনার
ঝড় বইতে বইতেই লাগাতার আন্দোলনের মধ্যে চলে যায় বিএনপি সে
সময় বিএনপির নেতারা আন্দোলনে ফোকাস দেওয়ায় এ বিষয়টি
নিয়ে কোন প্রকারের আলোচনা সৃষ্টি হয়নি। এদিকেই নিজেদের
কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে বরাবরই ব্যর্থ হয়েছেন এই সভাপতি ও
সাধারণ সম্পাদক। তা ছাড়া ও গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির
মহাসমাবেশ পÐ হওয়ার পর থেকে কয়েক দফায় প্রায় ১৩ দফা অবরোধের
কর্মসূচি পালনে বন্দর উপজেলা ছিলো নিশ্চুপ আন্দোলনের প্রথম
থেকে শেষ পর্যন্ত কোন প্রকারের কঠোর আন্দোলনের রূপ দেখা যায়নি
বন্দরে। এদিকে বিএনপির বিভিন্ন নেতাদের নানাভাবে লিয়াজুসহ
আন্দোলন থেকে পিছপা থাকার কারণে আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছেন
বিএনপি। অবশেষে দ্বাদশ জাতীয় সাংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় আর
আবারো ক্ষমতায় আসেন আওয়ামী লীগ। যাকে ঘিরে বন্দরে যারা আগে
বিএনপি নেতাদের সমর্থনে তাদের মিছিল মিটিংয়ে আসতেন তারা
এখন বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে রখেছেন। তাছাড়া বন্দর বিএনপি ও
আওয়ামী লীগ বর্তমানে একত্রিত থাকায় বন্দর বিএনপিকে বিশ্বাস
করছে না। যাকে ঘিরে অস্তিত্ব সংকটের পাশাপাশি কর্মী সংকটে ও
পরছেন বন্দর বিএনপির রাজনীতি। তা ছাড়া এই সভাপতি ও সাধারণসম্পাদক কঠোর আন্দোলনে একটি ও মামলায় না আসলেও তারা নিজ
নিজ বাসভবনেই থাকতেন পুলিশ-প্রশাসন ম্যানেজের মাধ্যমে বলে
জানা গেছে। তাছাড়া কঠোর আন্দোলন এমতাবস্থায় ক্ষমতাসীন
আওয়ামী লীগের সাথে আতাঁত করে বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষিত
কঠোর আন্দোলন থেকে পিছপা ছিলেন বন্দর বিএনপির নেতারা।
তাছাড়া সভাপতি হিরুণের সাথে আওয়ামীলীগ নেতা মাসুমের বহু
সখ্যতা ও তার কিছু আত্মীয় ও আওয়ামী লীগের সাথে জরিত অপর দিকে
সাধারণ সম্পাদক লিটনের ভাই আওয়ামী লীগ নেতা আর বেশির ভাগ
সময় লিটন থাকেন আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথেই এই দুই জনই দুই
নৌকায় পাঁ দিয়ে চলেন। বর্তমানে আন্দোলনের টাকা গেল কোথায়
এটাই আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা নিয়ে বর্তমানে টাকায়
টাকায় বাকযুদ্ধের কারণে কোনভাবেই বন্দর উপজেলাকে রাজপথে
ঐক্যবদ্ধতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে বন্দর উপজেলা বিএনপির
সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ বলেন, আমাদের দুইজনের জন্য কোন
প্রকারের দ্ব›দ্ব নেই। আমি এতোদিন অসুস্থ ছিলাম তাই একত্রিত
হতে পারিনি। আর এটা কেউ ষড়যন্ত্র করে আমাদের নেতৃত্বকে ধ্বংস
করতে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। বন্দর উপজেলা বিএনপির সাধারণ
সম্পাদক হারুন অর রশিদ লিটনকে কল দিলে উনি ব্যস্ত আছেন বলে
ফোন কেটে দেন। মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির এক শীর্ষ নেতা বলেন,
বন্দর উপজেলা বিএনপি বলতে যে একটি দল আছে এটা অনেকেই
জানে না। কারণ বর্তমানে বন্দর উপজেলা আওয়ামী বিএনপিতে পরিণত
হয়েছে। বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে কিছু দ্ব›দ্ব
থাকায় বন্দর উপজেলা একেবারেই দিশেহারা তা ছাড়া তারা দুইজন
মানুষের ঘাড়ে পা দিয়ে সামনে যেতে চান। যা সামনে আর হতে
দেওয়া হবে না বলে জানা যায়। সামনে তাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে
আরো সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে জানা গেছে।



Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা