আ’লীগকে দুবর্ল করার মিশন!
ডান্ডিবার্তা | ১০ মার্চ, ২০২৪ | ১১:০৪ পূর্বাহ্ণ
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের ওয়ার্ড কমিটি বিরোধ দিন দিন চাঙ্গা হতে শুরু করেছে। এতে করে দুর্বল হয়ে পড়ছে মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক কর্যক্রম। মহানগর আওয়ামলীগের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতা কর্মীরা অভিযোগ করেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কমিটি বাণিজ্যের কারণে দল অনেক দুর্বল। তারাটাকার বিনিময়ে অযোগ্যদের দিয়ে ওয়ার্ড কমিটি করায় মহানগর আওয়ামীলীগ দুর্বল থেকে অধিক দুর্বল হয়ে পড়েছে। যাদের নেতা বনিয়েছে তাদের নেই সমাজে গ্রহণযোগ্যতা ও কর্মী বাহিনী।
তাদের কথায় আন্দোলন সংগ্রামে কাউকে পাওয়া যাবে না। আমরা আওয়ামীলীগকে শক্তিশালী করতে এতদিন যাদের নেতৃত্বে রাজপথে ছিলাম তারা আমাদের পরিকল্পিত ভাবে রাজপথ থেকে উপরে ফেলে দিয়েছে কমিটি বাণিজ্যের মাধ্যমে। নেতাকর্মীরা বলেন, আমরা মনে করি কারো সাথে আতাঁত করে দলকে দুর্বল করার মিশন নিয়ে পরিকল্পিতভাবে অযোগ্যদের দিয়ে ওয়ার্ড কমিটি ঘোষনা দিয়েছে। যা তৃনমূল নেতাকর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। আর এমন লোকদের নেতা বানিয়ে যারা বির্তকিত, রাজাকারের সন্তান ও মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকারীর সন্তান। আমরা তাদের এ সকল কমিটি বয়কট করেছি। এ ব্যপারে ফলহর এলাকার আওয়ামীলীগ নেতা ওয়াহিদুজ্জামান অহিদ বলেন, দলতে শক্তিশালী করতে হলে দলের নিবেদিত যারা, যাদের পাশে কর্মী রয়েছে, যাদের কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর সামর্থ রয়েছে সেই সাথে আওয়ামীলীগ পরিবারের কিনা তা যাচাই করেই নেতা বানানো উচিৎ। দল দুর্বল হলে ভবিষ্যতে দলের দু;সময়ে এর খেসারত দিতে হবে। এ জন্য সকল কিছু বিবেচনা করেই দল গঠন করা জরুরী। এ ব্যপারে নবীগঞ্জ এলাকার হাজী সামাদ বলেন, যাকে নেতা বানানো হয়েছে সে একজন দারোয়ান। সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা নেই। তার কর্মী নেই। অর্থের যোগান দেয়ার মত সামর্থ নেই। এসকল লোক দিয়ে দল গঠন করলে দলের ১২টা বাজতে সময় লাগবে না। এ ব্যপারে কুড়িপাড়ার কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম বলেন, যাকে নেতা বানিয়েছে সে মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকারীর সন্তান। সে কখনো স্বাধীনতার পক্ষের লোক হতে পারে না। তাকে দিয়ে দল চলবে না। সেই সাথে তার কোন কর্মী বাহিনী নেই। আর সে এলাকায়ও বসবাস করে না। এধরনের লোক দিয়ে দলের ভবিষ্যত ভালো হবে না। এ ব্যপারে শাহী মসজিদ এলাকার নাজমুল হাসান আরিফ বলেন, ছোট বেলা থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করে আওয়ামীলীগ করে আসছি। এবার যে ওয়ার্ড কমিটি করা হয়েছে যাদের দিয়ে তাদের কেহ চিনে না। তারা বিগত সময় দলের জন্য কোন অবদানও রাখেনি। শুধু মহানগরের নেতাদের চাটুকারিতা করে পদ পেয়েছে। তাদের দ্বারা দলের কতটুকু সন্মান রক্ষা হবে তা বুঝার বাকি থাকে না। মনে হতে মহানগরের নেতারা কোন অদৃশ্য পরিকল্পনা নিয়ে ধরকে দুর্বল করার মিশন হাতে নিয়েছে। এ ব্যপারে ২৩নং ওয়ার্ড নেতা হুমায়ূন কবির মৃধা বলেন, এ ওয়ার্ডে যাকে নেতা বানিয়েছে সে আওয়ামী পরিবারের লোক নয়। তার পিতা বিএনপি ঘরানার লোক। সেও বিএনপি করত। দল ক্ষমতায় আসার পর হালুয়া রুটির আশায় দলে প্রবেশ করে। আর চাটুকারিতা করে দলের পদ পদবী বাগিয়ে নেয়। এভাবে দল চলতে পারে না। আমি মনে করে যে সকল কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে তা বিলুপ্ত করেকাউন্সিলের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করা হলে দল শক্তিশালী হবে। নয়তো আগামী দিনে এর খেসারত আমাদের সকলের দিতে হবে। এ সকল অযোগ্যাদের দিয়ে কমিটি গঠন করায় সর্বত্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।