ডান্ডিবার্তা | মার্চ ১০, ২০২৪, ১১:২৪ | Comments Off on পুরো পরিবার মাদক ব্যবসায়ী
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
সোনারগাঁ উপজেলার সোনারগাঁও পৌরসভার মল্লিকপাড়া উত্তমদি
গ্রামের মৃত করম আলীর ছেলে জসীম উদ্দীন দীর্ঘদিন যাবত
প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে, বাড়িতে টিনের বেড়ার প্রাচীর তৈরি
করে বাড়ির চতুরদিকে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করে মাদক ব্যবসা
চালিয়ে যাচ্ছে।স্থানীয় প্রশাসন তার পঙ্গুত্বের কথা চিন্তা করে
নানাভাবে ছাড় দিচ্ছে। সোনারগাঁয়ের মাদক সম্রাট জসিমের ছত্র
ছায়ায় তার স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে, ভাতিজা এই মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে
পড়েছে। মাদক সম্রাট জসিমের কারণে মাদকে ভাসছে মল্লিকের পাড়ার
উত্তমদি গ্রামটি। মাদক ব্যবসায়ী জসিমের মাদকের ভান্ডারে কারণে
মল্লিকের পাড়ায় হাত বাড়ালেই মিলছে ফেন্সিডিল, ইয়াবা, হেরোইন,
গাঁজাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য। জেলা পুলিশের উদ্ধর্তন
কর্মকর্তারা বার বার মাদকের ব্যাপারে কঠোর হুংকার দিলেও কিছুতেই
কর্ণপাত করছে না মাদক ব্যবসায়ী জসিম।মাদক সম্রাট জসিম যেন
দিব্বি তার এই অবৈধ ব্যবসা দিনে দুপৃুরে তার স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে ও
তার আপন ভাতিজাকে দিয়ে পরিচালনা করে যাচ্ছেন। তাই সচেতন মহল
দাবী তুলেন এই মাদককারবারী মাদক সম্রাট জসিমের বিরুদ্ধে এখনি
কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় তার মাধ্যমে যুব সমাজ ধ্বংস
হবে। তবে সোনারগাঁ থানা পুলিশ থানার অন্যান্য এলাকায় মাদকের
ব্যাপারে কঠোর ভূমিকা নিলেও সোনারগাঁ পৌরসভা এলাকার
মল্লিকের পাড়া উত্তমদি গ্রামে স্থানীয় পুলিশের তৎপর না থাকায় এইসুযোগে এলাকার মাদক ব্যবসায়ী জসিম আরো বেপরোয়া হয়ে
উঠছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। তাছাড়া এলাকাবাসি
জানান,মাদক সম্রাট জসিম উদ্দিন এলাকার মাদকের ডিলার। তার
সহযোগী হিসেবে রয়েছেন তার স্ত্রী মেয়ে ও ছেলে। কয়েক দিন
আগে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ৪০ বোতলসহ
ফেনসিডিল সহ জসিমের ছেলে গ্রেফতার হন। কারাগার থেকে ছাড়া
পেয়ে আবার ব্যবসা শুরু করেন জসিম ও তার পরিবার। ইতিমধ্যে এই
এলাকায় মাদক সম্রাট জসিম এখানকার মাদকের নব্য ডন হিসেবে
পরিচিতি লাভ করেছেন। তার কাছে গেলেই মাদক পাওয়া যায় বলে
জানান স্থানীয়রা। তার ভয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী কেউ মুখ খুলতে চায়
না। সোনারগাঁ থানা সূত্রে জানা যায়, মাদক সম্রাট জসিম উদ্দিন
এর বিরুদ্ধে ডজনখানেক মাদক মামলা সহ চাঁদাবাজি মামলা রয়েছে।
তবে সচেতন মহল মনে করেন, শুধু ছিচঁকে মাদক ব্যবসায়ীকে
গ্রেফতার করে মাদক নির্মূল কিছুতেই সম্ভব নয়। এছাড়া থানা
পুলিশের দূর্বল চার্জশিটে, মামলার দীর্ঘ সূত্রতা সাক্ষীর অভাবের
কারণে আইনের ফাঁক-ফোঁকড় দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা আদালত থেকে
জামিনে বের হয়ে আবারও মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে যাচ্ছে। জেলা
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মাঝে মাঝে কিছু মাদক ব্যবসায়ীদের
ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা দিচ্ছে। এই সাজা আপিল যোগ্য
বিধান থাকায় এরা সাজা শেষ হওয়ার আগেই জামিনে বের হয়ে
আসছে। সচেতন মহলের অভিযোগ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে
যে সব মাদক ব্যবসায়ীরা গ্রেফতার হয় তার বেশীর ভাগই সেলসম্যান
অথচ মাদকের মুল গড ফাদাররা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে
থাকছেন ধরা ছোয়ার বাহিরে। তাদের সেলসম্যানরা গ্রেফতার হলে মূল
ব্যবসায়ীরা তাদের আদালত থেকে জামিনে মুক্ত করে আবার একই
ব্যবসায় নিয়োজিত করান। এছাড়া মাদক সম্রাটরা কখনো কখনো
কোন না কোন রাজনৈতিক দলের নাম ব্যবহার করে। আবার কেউ কেউ
নিজেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স পরিচয় দিয়ে জমজমাট
পরিসরে মাদক ব্যবসা করছে। এ মাদকের বিষয়ে এলাকার সচেতন মানুষ
যদি কোন প্রতিবাদ করে তবে মাদকের গডফাদার জসীমউদ্দীন সে সব
লোকজনকে কোন না কোন ভাবে ফাঁসিয়ে দিয়ে উল্টো তাদেরকে
হয়রানি করতে থাকেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের দাবী মাদক
ব্যবসায়ীরা সমাজের এবং দেশের শত্রæ। মাদককারবারি করে কেউ পার
পাবে না। এই বিষয়ে মাদক সম্রাট জসীমউদ্দীনের সাথে একাধিকবার
মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তার নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।
নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল পিপিএম বার
জানান, আমরা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স। কোন
মাদককারবারিকে ছাড় দেয়া হবে না।